নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 16/02/2020
ছোটখাট গড়নের একজন মানুষ। সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখ। নাটক নির্মাণের নেশা ছিল মানুষটার। বিটিভিকে যারা বিনোদনের কেন্দ্রে পরিণত করেছিলেন তাদের অন্যতম ছিলেন তিনি। বলছি, জনপ্রিয় টিভি-প্রযোজক ও নাট্য নির্মাতা ও বিটিভির সাবেক মহাব্যবস্থাপক শেখ রিয়াজউদ্দিন বাদশার কথা। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে আজ রোববার পরপারে পাড়ি জমালেন তিনি। এর মধ্য বিটিভির সোনালী প্রজন্মের শেষ প্রতিনিধিটিরও বিদায় ঘটলো।
একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাপ্তাহিক নাটকের জন্য মানুষ সপ্তাহজুড়ে অপেক্ষায় থাকতো। পালাবে না রুমকি, বাবার কলম কোথায়, সংশপ্তক, ইডিয়ট, রক্তকরবী, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই- এই নাটকগুলো এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, শুধু বাংলাদেশ নয় ওপার বাংলার মানুষও বাংলাদেশের নাটক দেখার অপেক্ষায় থাকতো। নাটকগুলো শুরু হলে রাস্তায় মানুষের দেখা মিলতো না। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেত। যে যেভাবে পারতো টিভির সামনে বসে যেত। এই সব নাটকের মধ্য দিয়ে বিনোদনের প্রধান মাধ্যমে পরিণত হয়েছিল টেলিভিশন। নওয়াজেশ আলী খান, মোস্তাফা কামাল সৈয়দ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আতিকুল হক চৌধুরী, জিয়া আনসারি, মোহাম্মদ বরকতউল্লাহদের নিয়ে বিটিভির যে সোনালী প্রজন্মটা গড়ে উঠে ছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন মোস্তফা মনোয়ার। সে সময় বিটিভির সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেই রক্তকরবী নাটক নির্মাণ করেছিলেন তিনি। যেকোনো বিচারে সেটা ছিল আন্তর্জাতিকমানের কাজ। সেই মোস্তফা মনোয়ার গোত্রের শেষ প্রতিনিধি ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন বাদশা।
শুধু নাটকই নয়, আনন্দমেলার মতো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানেরও শুরু করেছিলেন তিনি। শেখ রিয়াজউদ্দিন বাদশাহ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। ২০০৭ এর পর বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে অবসর নেওয়ার পর প্রায় অর্ধ যুগ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন শেখ রিয়াজউদ্দিন বাদশা। সেখানেই স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল ৫টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। গুনী এই নির্মাতার মৃত্যুতে নাট্যাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭