ইনসাইড আর্টিকেল

৪০তম পর্ব: ঠগিবাজ শহর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/02/2020


Thumbnail

আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সরকার ২০২০ এর ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ এর ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে। ১০ জানুয়ারি থেকে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ১০ জানুয়ারি হলো জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এই মহামানবের জীবন, বেড়ে ওঠা, রাজনীতি এবং বাঙালির জাতির পিতা হয়ে ওঠার যে গল্প তা তিনিই তার বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতি, অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং ডায়রিতে লিখে গেছেন। সেখান থেকে সংগ্রহ করে মুজিববর্ষে বাংলা ইনসাইডারের এই বিনম্র নিবেদন:

“থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ চীন সাগর পাড়ি দিয়ে বেলা একটায় হংকংয়ের কাইতেক বিমানঘাঁটিতে পৌঁছালাম। ‘সিনহুয়া’ সংবাদ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আমাদের অভ্যর্থনা করল। ইংরেজিতে ‘নিউ চায়না নিউজ এজেন্সি’ বলা হয় সংবাদ প্রতিষ্ঠানটাকে।

রাতে ও দিনে হংকং ঘুরে দেখলাম। হংকংয়ের নাম ইংরেজরা রেখেছে ‘ভিক্টোরিয়া’। নদীর এক পাড়ে হংকং, অন্য পাড়ে কৌলুন। আমরা সকলেই কিছু কিছু গরম কাপড় কিনে নিলাম। আমাদের টাকা বেশি নাই; কিন্তু জিনিসপত্র খুব সস্তা। তবে সাবধান হয়ে কিনতে হবে। এক টাকা দামের জিনিস পঁচিশ টাকা চাইবে, আপনাকে এক টাকাই বলতে হবে, লজ্জা করলে ঠকবেন। জানাশোনা পুরনো লোকের সাহায্য ছাড়া মালপত্র কেনা উচিত না। হংকংয়ের আরেকটা নাম হওয়া উচিত ছিল ‘ঠগিবাজ শহর’। রাস্তায় হাঁটবেন পকেটে হাত দিয়ে, নাহলে পকেট খালি। এত সুন্দর শহর তার ভিতরের রূপটা চিন্তা করলে শিউরে উঠতে হয়। এখন ইংরেজের কলোনি। অনেক চীনা অর্থশালী লোক পালিয়ে হংকং এসেছে। বাস্তুহারা লোকেরা পেটের দায়েও অনেকে অসৎ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এক পাকিস্তানী বন্ধুর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। সিন্ধুতে তার বাড়ি ছিল, এখন হংকংয়ে আছে। তার সঙ্গে বসে বসে অনেক গল্প শুনলাম। পরে অনেকবার হংকংয়ে যেতে হয়েছে এবং কয়েকদিন থাকতেও হয়েছে। হংকং এত পাপ সহ্য করে কেমন করে, শুধু তাই ভাবি।


পৃষ্টা২২৪; অসমাপ্ত আত্মজীবনী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

চলমান……

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭