ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নারীরাও পারবে যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/02/2020


Thumbnail

পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। সেনাবাহিনীতে নারী নেতৃত্ব সংক্রান্ত এক মামলায় সরকার পক্ষের দেওয়া যুক্তিকে ‘বৈষম্যমূলক ও বিরক্তিকর’ আখ্যা দিয়ে এই রায় দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় এবং অজয় রাস্তোগিরের দেওয়া এই ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়েছে, ‘নারীদের শারিরীক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তাদের অধিকারের সম্পর্ক নেই। প্রয়োজনে মানসিকতায় বদল আনতে হবে।’

রায়ে আরও বলা হয়, লিঙ্গের ভিত্তিতে বিবেচনা করা মর্যাদাবোধ এবং দেশের জন্য এক ধরণের প্রতিবন্ধকতা। সমানাধিকার থেকে শুরু করে যৌক্তিকতা পর্যন্ত নারীরা যে পুরুষের তুলনায় কম নয় তা বিবেচনা করার সময় এসেছে। রায়ে বলা হয়, ‘নারীরা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক এবং চিরাচরিত ধারণা ভিত্তিক। নারী সেনা কর্মকর্তারা দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে’।

প্রসঙ্গত যে, সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পেলেও ভারতীয় নারীরা যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেতেন না। সেনা সার্ভিস কর্পস, অর্ডিন্যান্স, সেনা শিক্ষা ক্ষেত্র, অ্যাডভোকেট জেনারেল, ইঞ্জিনিয়ার, সিগন্যাল, গোয়েন্দা ও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পেতেন তারা। সম্প্রতি এই নিয়ম বদলে যুদ্ধ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন নারী কর্মকর্তা।

ওই আবেদনের বিরোধিতায় সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাধারণত গ্রামীণ এলাকা থেকে আসেন। সংস্কারবদ্ধ মানসিকতার কারণে কোনও নারী কর্মকর্তাকে মেনে নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়াও সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ বা কোনও দুর্গম জায়গায় পোস্টিংয়ের সময় যে শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তার দরকার, সেটাও নারীদের খুব একটা থাকে না। কিন্তু আজ ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে সরকারের এই যুক্তি নাকচ করে দিয়ে নারীদের অধিকারের পক্ষেই রায় দিলেন।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭