ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিশন ২০২০: কে হবেন ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/02/2020


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনও আট মাস বাকি। চূড়ান্ত সেই নির্বাচনের আগে এখন চলছে আরেক নির্বাচন অর্থাৎ প্রার্থী বাছাই। রিপাবলিকান দল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়াটা নিশ্চিতই বলা চলে। কিন্তু ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়নের পাবার জন্য লড়ছেন ১১ জন প্রার্থী। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হটানোর চূড়ান্ত যুদ্ধের আগে এই প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা।

শুরুতে জো বাইডেনকে ডেমোক্রেটিকদের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাবা হলেও ককাসে তার ফল তেমন একটা ভালো না। বাইডেনের চেয়ে বরং অনেকটাই এগিয়ে গেছেন বার্নি স্যান্ডার্স। ভ্যাম্পায়ার উইকেন্ড ও দ্য স্ট্রোকস’র মতো ব্র্যান্ডগুলোর জন্য ভারমন্টের সিনেটর স্যান্ডার্স খুব পছন্দের নন। কিন্তু উভয় কোম্পানিই তার সাম্প্রতিক সমাবেশে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক ডজনের বেশি অঙ্গরাজ্যে একের পর এক চলবে তাদের প্রচারণা। মাত্র কয়েকদিন আগে হার্ট অ্যাটাকে চিকিৎসা করে প্রচারণায় যোগ দেওয়া এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের জন্য এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।

ডেমোক্র্যাটদের বিতর্কিত আইওয়া ককাসে ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ডের সাবেক মেয়র পিটি বুটিগিয়েগ দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের বেশিরভাগ প্রতিনিধিরা তাকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু স্যান্ডার্স তার থেকে কয়েক হাজার বেশি ভোট পেয়েছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারে আবারও বুটিগিয়েগের চেয়ে সামান্য এগিয়ে ছিলেন তিনি। অঙ্গরাজ্যটি প্রতিনিধিদের ভোটে উভয়েই ছিলেন সমান সমান।

চার বছরে আগেও স্যান্ডার্স আইওয়াতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর নিউ হ্যাম্পশায়ারে জয় পেয়েছিলেন। ওই জয় ছিল আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। ডেমোক্র্যাটদের হট ফেভারিট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে তিনি ২০ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন। 

২০১৬ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ারে স্যান্ডার্সের জয় শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়া প্রার্থীর সবচেয়ে ভালো জয় হিসেবেই থেকেছে। নিউ ইংল্যান্ডের বড় জয় পেলেও নেভাদাতে অল্পের জন্য তিনি হেরে যান। ডেমোক্র্যাটদের ভোট ব্যাংক বলে পরিচিত সাউথ ক্যারোলিনাতে হেরে যান বড় ব্যবধানে। এবারের নির্বাচনে নতুন করে ফিরে এসেছেন স্যান্ডার্স। এবার আর তার সামনে ক্লিনটন মেশিন নেই। এমনকি নিউ হ্যাম্পশায়ারে জয় পাওয়ার পর নিজের পায়ে নিচের মাটি আরও শক্ত হয়েছে তার।

২০১৯ সাল থেকেই ডেমোক্র্যাটদের হট ফেভারিট প্রার্থী ছিলেন সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। প্রথম দুটি মনোনয়ন লড়াইয়ে তার ফল খুব খারাপ। লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পছন্দের প্রার্থী এলিজাবেথ ওয়ারেন দুই অঙ্গরাজ্যেই স্যান্ডার্সের পেছনে ছিলেন। এই দুজনের সামনে কাতারে এগিয়ে আসার মতো কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

২০২০ নির্বাচনে ডেমোক্রেট শিবিরের আরেক ঘোড়া আর বুটিগিয়েগ। তার সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, বুটিগিয়েগের সম্পদ আছে কিন্তু তার রাজনৈতিক জীবন খুব বর্ণাঢ্য নয়। তাই তার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধনকুবের থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়ার জীবন্ত উদাহরণ যখন চোখের সামনেই আছে তখন এসব কথাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন বুটিগিয়েগের সমর্থকরা।

অন্যদিকে নিউ হ্যাম্পশায়ারে আলোচনায় এসে মিডিয়া কভারেজ পাচ্ছেন অ্যামি ক্লোবুচার। তবে অনেক দেরিতে আলোচনায় আসার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তার নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার মতো সক্ষম জাতীয় সংগঠন নেই। ফলে চূড়ান্ত প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে তিনি কিছুটা পিছিয়েই আছেন।

নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরেক শক্তিমান প্রার্থী নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ। তিনি এখনো ডেমোক্র্যাট দলের প্রাইমারিতে অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেননি; কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচারণায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে হারাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করতে প্রস্তুত আছেন। তার প্রচারণা কৌশল কাজ করছে। কারণ ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে টুইটারে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে গেছেন তিনি। এরই মধ্যে খবর এসেছে যে—ব্লুমবার্গ সাবেক ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে তার রানিংমেট করার চিন্তাভাবনা করছেন। কারণ ব্লুমবার্গের অভ্যন্তরীণ জরিপ বলছে, এই জুটি হলে তা দুর্ধর্ষ শক্তির হবে। যদিও হিলারি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এখন রাজনীতির মানুষ নন। তবে হিলারি ভক্তরা আশা করতেই কারণ রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭