ইনসাইড হেলথ

বেড়েছে সর্দি-কাশি-জ্বরের প্রকোপ, প্রয়োজন আপনার সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/02/2020


Thumbnail

এরই মধ্যে শীত পেরিয়ে বসন্ত এসেছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টা আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। কিছু রোগের প্রকোপ বাড়ে। বাতাসে ধুলোবালি বেশি থাকে। গাছে গাছে ফুল ফোটে, নতুন পাতা আসে, ফুলের রেণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এসবের মাধ্যমে অ্যালার্জির প্রকোপও বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের শ্বাসতন্ত্রের রোগ এ মৌসুমে বাড়ে। এসবের মধ্যে সাধারণ সর্দি-কাশি খুব বেশি দেখা যায়। তবে এই অসুখ সারাতে সাধারণ প্যারাসিটামলই যথেষ্ট। আর অ্যালার্জি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন প্রয়োজন হয়।

আদা-লেবু চা, মধু, তুলসী, কুসুম গরম পানি ভালো। গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে স্বস্তি পাবেন। তবে কফ বা সর্দি হলুদ বা সবুজাভ হলে অথবা জ্বর সাত দিনের বেশি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এ সময় ঠাণ্ডা পানীয় পান এবং আইসক্রিম খাওয়া শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি শুষ্কতা ও ধুলাবালুর প্রকোপ বাড়ে। এসবের প্রভাবে টনসিল ও সাইনাসের প্রদাহ হতে পারে। হাঁপানি ও ক্রনিক ব্রংকাইটিসের মতো শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগের তীব্রতাও বাড়তে পারে। জলবসন্তেরও প্রকোপ বাড়বে এ সময়। এতে জ্বর-সর্দির পাশাপাশি ত্বকে ফোসকার মতো দানা দেখা যাবে। এই অসুখে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। গরমে অনেকেই হয়তো পথেঘাটে শরবত বা আখের রস পান করবেন। এতে কিন্তু ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, টাইফয়েড হতে পারে। তাই বেরোনোর সময় খাওয়ার পানি সঙ্গে বহন করাই ভালো।

এ সময়ে সুস্থতার জন্য ধুলাবালু এড়ানোর প্রয়োজনে নাক-মুখ ঢেকে রাখার পোশাক বা মাস্ক ব্যবহার করুন। যাঁদের পোলেন বা ফুলের রেণুতে অ্যালার্জি আছে, তাঁরা পার্ক, বাগান থেকে দূরে থাকুন। বিশুদ্ধ পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে। প্রতিদিন টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল খান, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে।

নিয়মিত হাত ধুতে হবে

জীবাণু থেকে বাঁচতে নিয়মিত হাত ধুতেই হবে। ভেজা হাতে সাবানের ফেনা করে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে এবং কবজিও বাদ দেওয়া যাবে না। এরপর হাত ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। অপরিষ্কার হাত কোনোভাবেই মুখ, নাক এবং চোখে স্পর্শ করবেন না। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার না করে সাধারণ সাবান ব্যবহারই ভালো। এছাড়াও ছোট একটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে পারেন নিজের অফিস ডেস্কে অথবা ব্যাগে।

পরিষ্কার রাখুন কী-বোর্ড

আপনি নিজেকে যতই পরিষ্কার রাখুন না কেন, আপনার ডেস্ক, বিশেষ করে কী-বোর্ড পরিষ্কার নাও থাকতে পারে। আপনি কি জানেন, টয়লেটের চাইতেও বেশি ময়লা থাকতে পারে আপনার কী-বোর্ড? এ কারণে অফিসে সবাই অসুস্থ হওয়া শুরু করলে ডেস্ক এবং কী-বোর্ড পরিষ্কার রাখুন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওয়াইপ দিয়ে পরিষ্কার রাখতে পারলে ভালো। অন্য কারও কী-বোর্ড স্পর্শ করলে হাত ধুয়ে ফেলুন দ্রুত।

প্রচুর তরল পান করুন

সবসময় নিজের কাছে একটা পানির বোতল রাখুন। যদি আপনি চা পান করতে ভালোবাসেন তবে গরম চা পান করুন এ সময়ে। এতে মধু এবং লেবু যোগ করতে পারেন। লেবু শ্লেষ্মা তরল করে ফলে আপনার নাক সর্দিতে বন্ধ হয়ে থাকলে সে সমস্যা কেটে যাবে। আর মধু কাজ করে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে। গরম পানিতে আদা এবং মধু দিয়ে পান করলে এটাও খুবই উপকারে আসবে।

ঘুমান প্রয়োজনমতো

ইনফেকশন হলে তার সঙ্গে লড়াই করতে শরীরের প্রয়োজন হয় যথেষ্ট বিশ্রাম। ঠাণ্ডা লাগলে অনেকে ঘুমাতে পারেন না। কিন্তু ঘুমালে দেখবেন শরীরটা অনেক ভালো লাগছে।

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭