ইনসাইড বাংলাদেশ

চীনের করোনার প্রভাব বাগেরহাটে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/02/2020


Thumbnail

চীনের করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাগেরহাটের শরণখোলার কাকড়া চাষী ও সুন্দরবনের কাকড়া আহরণকারীরা পড়েছে মহা বিপাকে। চীনের করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের কাকড়া রপ্তানী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাগেরহাটের শরণখোলার ৬ শতাধিক কাকড়া চাষী পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাকড়া উত্তোলন করতে না পারায় ঘেরের কাকড়া ঘেরেই মারা যাচ্ছে। অপরদিকে একই কারণে পূর্ব সুন্দরবনের কাকড়া আহরণকারী জেলেরা রয়েছেন চরম হতাশার মধ্যে। 

৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা গঠিত। সুন্দরবন উপকুলীয় এ উপজেলার ১ লাখ সত্তর হাজার লোকের জীবিকার প্রধান উৎস কৃষি উৎপাদন ও সুন্দরবনে মৎস আহরণ । ঝড়-জলোচ্ছাস ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকার দরিদ্র মানুষেরা যুগ যুগ ধরে সুন্দরবনে মাছ ও কাকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কাকড়া আহরণের পাশাপাশি গত ৬/৭ বছর ধরে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদী তীরবর্তী এলাকায় জেলেরা ছোট পরিসরে কাকড়া চাষ শুরু করেন। লাভজনক বিধায় বর্তমানে এখানে কাকড়া চাষীর সংখ্যা প্রায় ৬ শত।

বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে লোন ও ধার দেনা করে চাষিরা এ বছর তাদের ব্যবসার আরও প্রসার ঘটায়। কিন্তু চীনে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ এবং ব্যাপক প্রানহানির ঘটনায় আন্তর্জাতিক  বাজারে কাকড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দারুণ সংকটে পড়ে ৫ সহাস্রাধিক কাকড়া চাষী, আহরণকারী ও ব্যাবসায়ী। বিপননের সুযোগ না থাকায় ঘেরের কাকড়া মরতে শুরু করেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১২ কোটি টাকা হতে পারে বলে জানা গেছে। কোন কোন চাষী কাকড়া ধরে  স্থানীয় বাজারে পানির দরে বিক্রি করছে।

চাষীরা তাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারলে আগামীতে তাদের কাকড়া চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের ঘুরে দাড়াতে সরকারী সহায়তার প্রয়োজন হবে বলে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

বাংলা ইনসাইডার

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭