ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে শর্তে অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করতে রাজি ছিলেন ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/02/2020


Thumbnail

২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলার ক্লিনটনের ই-মেইল ফাঁসের সঙ্গে রাশিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এমন বিবৃতি দিলে তাকে ক্ষমা করা হবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের মামলার শুনানিকালে এমনটা দাবি করেন আইনজীবী এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ড। যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না, আগামী সপ্তাহে তা নিয়ে শুনানি শুরু হওয়ার কথা। ওই শুনানি পরিচালনা নিয়ে আইনজীবীরা আলোচনা করার সময় কারাগার থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতে হাজির হন অ্যাসাঞ্জ।

লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হাকিম আদালতে অ্যাসাঞ্জের ব্যারিস্টার এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ড বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রতিনিধি ডানা রোরাবাকার ২০১৭ সালে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমা প্রস্তাব দিয়ে তাকে অ্যাসাঞ্জের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

২০১৬ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হিলারি ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে সব ইমেইল ফাঁস হওয়া কারণে তার সঙ্গে রাশিয়া জড়িত ছিল না, অ্যাসাঞ্জ এমনটি বললে তাকে ক্ষমা করা হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছিল; প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দেওয়া বিবৃতিতে রোরাবাকার এমনটি বলেছিলেন বলে আদালতকে জানান ফিটজেরাল্ড।

তবে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীর এই বক্তব্যকে অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিফেনি গ্রিসহ্যাম বলেন, তারা যেসব কথা বলছে তা অবান্তর। প্রেসিডেন্ট সাবেক কংগ্রেসম্যান রোরাবাকারকে তেমনভাবে চেনেন না। তিনি এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো দিন কথাও বলেননি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

ফিটজেরান্ডের দাবি প্রতিক্রিয়ায় রোরাবাকারও প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। এক বিবৃত্তিকে তিনি বলেন, ইমেইলগুলো কীভাবে পেয়েছেন অ্যাসাঞ্জ তা প্রকাশ করলে তাকে ক্ষমা করার জন্য ট্রাম্পের কাছে সুপারিশ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি এবং যা করেছেন নিজ দায়িত্বেই করেছেন।

হিলারির ই-মেইল ফাঁস নিয়ে তদন্ত করার পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতানোর জন্য রাশিয়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল। ট্রাম্পকে জেতাতে তারা হিলারির ই-মেইল হ্যাক করে সেগুলো প্রকাশ করেছিল।

আগে থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। আর ট্রাম্পও মস্কোর হস্তক্ষেপ অস্বীকার করে আসছে। তবে মার্কিন বিশেষ কাউন্সিলর রবার্ট মুয়েলারের তদন্তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ প্রমাণিত হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোপন নথি ফাঁস করে ২০১০ সালে সবার সামনে আসেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১২ সালে দেশচ্যুত হন অস্ট্রেলিয়ার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক অ্যাসাঞ্জ। দীর্ঘ সাত বছর তিনি যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসে অবস্থান করেন। গত বছরের এপ্রিলে ধর্ষণ মামলায় তাকে দূতাবাস থেকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ১৮টি মামলা দায়ের রয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার কয়েক দশকের জেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএস



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭