ইনসাইড বাংলাদেশ

বড় রদবদল থাকছে সচিব পদে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 05/07/2017


Thumbnail

সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে চলছে অসন্তোষ। সচিব হওয়ার তালিকায় যারা থাকেন, তাদের অপেক্ষা হচ্ছে দীর্ঘ। এ নিয়ে তৈরি হচ্ছে হতাশা। এই প্রেক্ষাপটে সচিবালয়ে বড় ধরনের সচিব রদবদলের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব বেগম শাসসুন্নাহার ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ইতিমধ্যে অবসরে গেছেন। এতটা সময় পার হলেও এই পদে নিয়োগ পাননি কেউ। খালিই রয়েছে তাদের স্থান। এদিকে, পদ দুটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ। সম্প্রতি বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় করণীয় সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা শিল্প মন্ত্রণালয়ের। এই পদে কেউ না থাকায় প্রশাসনের কাজে ব্যাঘাত তো ঘটবেই। এছাড়া প্রবাসীদের বিভিন্ন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপর। খুব শিগগিরই এই দুই পদে নতুন সচিব আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবার আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও দুই বছরের জন্য তিনি আবার তার দায়িত্বে চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। এতে আবার পদোন্নতি জ্বরে ভুগছে প্রশাসন। আর এর সঙ্গে তীব্র ক্ষোভ তো রয়েছেই। কেননা, এই এক পদে পুনবর্হালের জন্য যাদের সচিব হওয়ার কথা ছিলো তারা আবারও পিছিয়ে গেলো। এতে শুধু সচিব হতে ইচ্ছুক কর্মকর্তাই নন, ১৮ কর্মকর্তার পদোন্নতি বাধাগ্রস্থ হয়।

বর্তমানে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন ১৩ জন সচিব। আর এই বছরই ১১ জন সচিবের পদ খালি হতে চলছে। অবসরে যাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কয়েকজন সচিব। তার মধ্যে অর্থ সচিব, স্বাস্থ্য সচিবসহ আরো অনেকেই রয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের পর অবসরে গেলে এ পদ কতদিন শূন্য থাকবে তা নিয়েও নানা আলোচনা তো রয়েছেই। দেশের বিভিন্ন কাজের আয় ব্যয়ের যাবতীয় কার্যক্রম এই মন্ত্রণালয়ের অধীন। এই পদ খালি থাকলে যেমন সরকারি কাজে ব্যাঘাত ঘটবে তেমনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও এই পদ পাওয়া থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন অনেকেই বঞ্চিতের খাতায় আবারও নাম লিখবেন।

এদিকে, বিসিএসে প্রতিব্যাচে শতাধিক জন অফিসার থাকলেও যোগ্যতা অনুযায়ী এদের সেই পদোন্নতি। ৮২ ব্যাচে যারা ভালো অফিসার, দক্ষতায় ও মেধা তালিকায় বেশ এগিয়ে তাদের অনেকেই এখনো সচিব হতে পারে নি। ১৯৮৩ সালের বিশেষ ব্যাচের অতিরিক্ত সচিব হওয়ার ক্ষেত্রে যুগ্ম সচিব পদে থাকতে হয়েছিল ৩ বছর ১০ মাস ২২ দিন। তাদের এই পদোন্নতির ফলে সচিব হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ’৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা। আর এখনো ৮৫ ব্যাচ অতিরিক্ত সচিবেই রয়ে গেছে। আর এ নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েই চলছে।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসনের নিয়মিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও বারবার তা উপেক্ষা করা হচ্ছে। সব সরকারের সময়ই কম-বেশি চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার মুখে মুখে একাধিকবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিরুত্সাহিত করার কথা বললেও তারা এ ধরনের নিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিছু কিছু সচিবদের কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগেই প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর একটা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।


বাংলা ইনসাইডার/টিআর




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭