নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 29/03/2020
প্রকৃতি রূপ বদলায়, শীত, গরম আর ফাঁকে ফাঁকে বৃষ্টি কিংবা গরমের মাঝে হঠাৎ ঠাণ্ডা। আমাদের আবহাওয়াতে এগুলো নিয়মিত ঘটনা। আর তাই ঠাণ্ডাজনিত অসুখ বিসুখেরও কোনো শেষ নেই। এর মধ্যেই হুট করে গরমের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ফ্লু, ভাইরাস এবং ঠাণ্ডার কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয় এসময়।
এরই মধ্যে এখন করোনার ঝুঁকি, আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত। আর করোনার সাধারণ লক্ষণগুলো এই সাধারণ সর্দিজ্বরের মতো। এতে সর্দিকাশি, গলাব্যথার মতো ঘটনাগুলোই ঘটে। তাই সর্দিকাশি, জ্বর গলাব্যথা হলে উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত হওয়ার কথা। কিন্তু আগেই উদ্বিগ্ন না হয়ে আপনাকে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে, পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হবে। আর মনে রাখবেন ভাইরাস জ্বর নিজে থেকেই ৪, ৫ দিনের মাথায় সেরে যায়। তাই চিন্তিত না হয়ে আপনার সচেতনতা বেশি জরুরি।
মোট কথা, আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে সব জ্বর মানেই করোনা নয়। আপনাকে ডেঙ্গু নিয়েও চিন্তাভাবনা করতে হবে। কারণ ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে দেশে। জ্বরটি ডেঙ্গু কিনা, ডেঙ্গুর কোনো লক্ষণ রয়েছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
এছাড়াও বাড়িতে বসে আপনাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জ্বর হলে সাধারণত ডাক্তারা নাপা বা প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে প্যারাসিটামলের অতিরিক্ত কোনো ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া মোটেও উচিত হবে না।
যেকোনো জ্বরের প্রধান ও প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে প্রচুর তরল খাবার খাওয়া। পানি তো চলবেই, সাথে গরম স্যুপ, আদা-চা, জুস ইত্যাদিও চলবে। গরম পানীয়তে কাশিটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। আদা-চা ও গরম পানীয় গলা ব্যথা ও মাথা ব্যথা দূর করতে সহায়ক গরম পানিতে লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে আদা কুচি খেতে পারেন। এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করে। ফলে জ্বর কমতে পারে। আর সরাসরি ঠাণ্ডা পানি না খেয়ে পানি কিছুটা কুসুম গরম করে নিতে হবে।
এছাড়া জ্বরের সময় আরেকটি উপকারী খাবার হলো চালের সুজি, সঙ্গে সামান্য আদাকুচি ও সিদ্ধ করা সবজি। কিশমিশে আছে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে কমলালেবু, পেয়ারা, আনারস খাবেন। ফল খেতে না পারলেও ফলের জুস করে খাবেন।
জ্বরের রোগীর জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হলো টমেটো ও গাজরের স্যুপ।
গোসলের দিকেও আপনাকে নজর দিতে হবে। কপাল এবং ঘাড়ের পেছনের অংশে জলপট্টি দেওয়া জ্বর কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। পুরোদস্তুর গোসলের পরিবর্তে কুসুম গরম পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে শরীর মোছাও দ্রুত জ্বর কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া জ্বর নিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা যাবে না। অন্যথায় শরীরে কাঁপুনি দেখা দিতে পারে এবং জ্বর আরও বেড়ে যেতে পারে।
এ সময়ের জ্বরে আপনার বিশেষ বিশ্রামের প্রয়োজন। চেষ্টা করবেন সবসময় ঘরে থাকার। বাড়ির বাইরে যত কম যাবেন, আপনার জন্য ততো ভালো। শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বেশি খেয়াল রাখুন, তাদের পর্যাপ্ত সেবা দিন।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭