লিভিং ইনসাইড

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার করণীয় জানেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 30/03/2020


Thumbnail

করোনাভাইরাস মহামারী পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তাও বহুদিন। দেশে দেশে এখন লাশের মিছিল, হাহাকার, কোয়ারেন্টাইন, লকডাউন, আইসোলেশন। আর এখন করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ করার জন্য সোশ্যাল ডিসট্যান্স বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে বার বার। সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বুঝিয়ে বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব কি, এটি বজায় রাখতে কী করা উচিৎ আর কী নয়। সামাজিক দূরত্ব হলো নিজের বাসায় থাকা, ভিড়ে না যাওয়া, একজন আরেকজনকে স্পর্শ না করা।

প্রশ্ন আসে এ সময় কি কোনো বাজারে যেতে পারবেন কিনা। এর উত্তর হলো, হ্যাঁ। নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে আপনি যেতে পারেন তবে কম যাবেন। এমন সময় যাবেন, যখন বাজারে কম লোক থাকে। ভিড় এড়িয়ে চলুন। বাজার থেকে বের হয়ে হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। বাসায় ফিরেই ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। তরকারি-ফল ধুয়ে নেবেন। বাজারের ব্যাগ নাড়াচাড়া করার পর আবারো হাত ধোবেন। খাবার কিনে মজুত করবেন না। খাদ্যশস্য কম পড়ার কোনো কারণ ঘটেনি।

খাবার অর্ডার দিয়ে বাসায় এনে খেতে পারা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কথা শোনা যায়নি। তবে যে প্যাকেটে খাবার আনা হবে, সেটা ধরার পর হাত ধুয়ে নিতে হবে। কাঁচা সালাদ বা ফল বাইরে থেকে আনাবেন না। যিনি খাবার ডেলিভারি দিতে আসবেন, তাকে বলবেন খাবার দরজার বাইরে রেখে দিতে। দাম ও টিপস দেবেন অনলাইনে। আমাদের দেশের ক্ষেত্রে একটা প্যাকেটে করে টাকাটা আপনি বাইরে রেখে দিতে পারেন।

যদি পারেন, গণপরিবহন- বাস, ট্রেন এড়িয়ে চলুন। তা না হলে সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখুন। হাতল ধরার পরেই হাত পরিষ্কার করুন। নামার সঙ্গে সঙ্গে হাত পরিষ্কার করুন।

অফিস যদি ছুটি না দেয়, যতটা সম্ভব সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং করুন। দরকার হলে, মাস্ক ব্যবহার করুন। যতটা পারেন, বাসায় থাকুন। হাসপাতালে, বাজারসদাই করতে যেতে হতেই পারে। সিনেমা, থিয়েটার, মন্দির-মসজিদ, জাদুঘর- সব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এসব জায়গায় পরে আবার যাওয়া যাবে। এখন না গেলেও চলবে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, আপনার এখন ভ্রমণ করা নিষেধ, সেটা দেশের ভেতরে হোক বা বাইরে। বাস, ট্রেন, প্লেন, জাহাজ, লঞ্চ লোকে ভরা থাকে। তবে যাদের কাজই ভ্রমণসংক্রান্ত, যেমন এয়ারলাইনসের ক্রু, ট্রেনের চালক- তাদের কথা আলাদা।

সবসময় মাস্ক পরতে হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, মাস্ক রোগীদের হাঁচি–কাশির ছিটা বাইরে যেতে দেয় না। কিন্তু বাইরের ভাইরাস আপনার নাকেমুখে প্রবেশ ঠেকাতে পারে না। আপনার নিজের হাঁচি–কাশি থাকলে দয়া করে বাইরে বের হবেন না।

ঘরের বাইরে ফাঁকা জায়গায় ব্যায়াম করার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। জিমে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, খুব বেশি দরকার না হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। করোনাভাইরাস সন্দেহ হলে চিকিৎসকের সঙ্গে প্রথমে ফোনে যোগাযোগ করবেন।

রোগী দেখতে বা প্রবীণ স্বজন-পরিজনদের দেখতে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদনটিতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ফোনে আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ নিন। বাজারসদাই লাগলে সাহায্য করুন। বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন। ভিডিও চ্যাট করুন।

বাচ্চারা বাইরে একা একা খেলতে পারে, তবে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে নয়। কারণ, তারা পরস্পরকে ছুঁয়ে ফেলবে। হাত ধোয়ার নিয়মও তারা ভুলে যেতে পারে। শিশুপার্কের স্লাইড ইত্যাদি কারও সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না। কাজেই পার্কেও নিয়ে যাওয়া যাবে না।

সন্তানের কাছে যেতে পারবেন, তবে যদি আপনি মনে করেন দুজনের একজন এরই মধ্যে সংক্রমিত হয়ে আছে, তাহলে দূরত্ব বজায় রাখুন।

কতদিন এই রকম সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং করতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, এ সময়টি কমপক্ষে পাঁচ মাস। পরে আবারও করতে হতে পারে। এটা একেবারে সেরে যাবে না সহসা। বার বার ফিরে আসতে থাকবে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭