কালার ইনসাইড

করোনাতেও ফুলটাইম ব্যস্ত সজল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/04/2020


Thumbnail

সময় বেশ ভালোই কাটছে আব্দুন নূর সজলের।করোনার এই দিনে তিনি বসে নেই। ফুল টাইম ব্যস্ত রেখেছেন নিজেকে। কী সেই ব্যস্ততা জানালেন,  আমি প্রথম দিন থেকে আমার রুটিন ঠিক করে নিয়েছিলাম। আমরা তো ৭/৮ ঘন্টা ঘুমাই। বাকি সময়টায় কি করবো প্রথম দিন থেকেই সেট করে নিয়েছি।ছক বাধা কাজে মনে হচ্ছে আরেকটু সময় থাকলে আরো কাজ করতে পারতাম।সকাল বেলা ফজরের ওয়াক্তে উঠে নামায পড়ি। এরপর আল্লাহর যে নিরানব্বই নাম আছে। সেখান থেকে প্রতিওয়াক্তে কিছু নাম ধরে ডাকতে থাকি। ফজরের নামাজ পড়ে আরেকটা ঘুম দেই। উঠতে উঠতে ৯.৩০ বেজে যায়।উঠে ছাদে পানি দিতে চলে যাই। ফজরের নামাজের পরপরও অনেক সময় পানি দিয়ে আসি। পানি দেওয়ার পর ইয়োগা করি। তারপর নাস্তা খাই। নাস্তা খাওয়ার পর প্রিপারেশন শুরু হয় ঘর মোছার। কারণ বাসার যারা হেল্পিং হ্যান্ড তাদের সবাইকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আর মা বাবার পক্ষে তো এসব কাজ এখন করা সম্ভব নয়। সেজন্য ঘর ঝাড়ু দেওয়া আর মোছার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আমি প্রতিদিনই এটা করি।’

এরপর তিনি ব্লিচিং পাউডার পানিতে মিলিয়ে জীবানুনাশক তৈরী করেন। ‘আমাদের বিল্ডিংয়ের আরো কিছু ছেলে আছে সবাই মিলে পুরা বাসার সিড়ি থেকে শুরু করে একদম বাইরে যে লম্বা রাস্তাটা আছে সবটায স্প্রে করি প্রতিদিন। এটা করে আসার পরে শাওয়ার নেই। তারপর বাসার একটা পদের রান্নার জন্য মাকে হেল্প করি।আর এই সময়টায় আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে পরিমিতভাবে খাবো। যেকোন একটা দুটো পদের মধ্যে থাকবো। দুপুরের খাওয়া নামাজের পর একটা ছোট ঘুম দেই। তারপর জিম করি। বাসায় ছোটখাটো একটা জিমের সেটআপ করেছি অনেকদিন আগেই।এর মধ্যে আছরের সময় হয়ে যায়। নামাজ পড়ে ছাদে চলে যাই। সেখানে ঘন্টা খানেক হাটি। এর মধ্যে মাগরিবের সময় হয়ে যায়। মাগরিবের নামাজ শেষে বই পড়তে শুরু করি। বাসায় ছোটখাটো একটা লাইব্রেরি আছে। যেখানে অনেক পুরনো বই আছে। সেবা প্রকাশণীর রাকিব হাসান দিয়ে আমি পাঠ্য বই ও কমিকস ছাড়া বই পড়া শুরু করি। এরপর তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা পড়েছি। তারপর হুমায়ূন আহমেদ। আমি আবার সেই পুরনো বই পড়া শুরু করেছি। এর মধ্যে বাবা মায়ের সঙ্গে আড্ডা হয়। আর আমাদের একই বিল্ডিংয়ে ফুপু চাচারা অনেকেই থাকেন। সন্ধার সময় দেখা যায় কোন একটা খাবার তৈরী হয়। সেটা বাড়িতে বাড়িতে যায়। তবে সেটা বড়জোর ৯/১০ টা পর্যন্ত পড়ি। ক্যারাম খেলাও হয় এই সময়। একটা ডান্স টিউটরিয়াল দেখছি। সেটা কিছুটা প্রাকটিস করি। নামাজ ও রাতের খাবার খেয়ে মুভি দেখা শুরু করি। সেটা আসলে খুব বেশি দেখা্ হয় না। কারণ বেশি রাত জাগা হয় না।’

শুধু নিজেকে নয়, মানুষের জন্যও কাজ করছেন এই সময়। তিনি বলেন,‘ আমার একটা ফ্যান গ্রুপ আছে।ওদের সঙ্গে আমার কথাবার্তা্ হয়। ওদের সঙ্গে মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রতিটা জেলায় সাহায্য করার। আমি ঢাকার ভিতর সক্রিয় অনেক গ্রুপই দেখলাম। কিন্তু ঢাকার বাইরে তুলনামূলক কম। সে কারণে ঢাকার বাইরে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। তবে ঢাকার বাইরেও কিছু কিছু জায়গায় করছি। আর এটা আমার কাছে দান না, এটা দায়িত্ব। নিজের পরিবারের দায়িত্ব যদি আমার হয়, দেশের দায়িত্ব তো অন্য করো না।আমি নিজে ভিডিও কলের মাধ্যমে তদারকি করছি।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭