কালার ইনসাইড

অভিনয়শিল্পীরা যেভাবে এগিয়ে আসছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/04/2020


Thumbnail

‘বিশ্বব্যাপি এখন খারাপ অবস্থা চলছে। একটা বিপর্যয় এবং সকলের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। যে আতঙ্ক থেকে আসলে আমরা কেউ মুক্ত নয়। যে আতঙ্ক মজবুত ইমরাত হোক কিংবা টিনের চালা হোক, সবজায়গায় বিরাজমান। যুদ্ধকালীন সময়ের চেয়েও বেশি আতঙ্কিত এই সময়ে মানুষ। কিন্তু এর বিরুদ্ধে তো আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। তার জন্য সর্বপ্রথম দরকার নিজের সচেতনেতা। যাতে এটা না ছড়ায়। এই পরিস্থিতিতে সরকার যে ঘরে থাকতে বলেছে। তা ছাড়া তো অন্য কোন উপায় নেই।’ কথাগুলো বলেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। 

তিনি বলেন,‘সকলের মতো আমাদের নাট্যাঙ্গনও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমাদের ২৬ মার্চ, পহেলা বৈশাখ এবং ঈদের কাজের জন্য প্রস্তুতি তার কোনটাই আমরা ঠিকমতো করতে পারিনি। কারণ উদ্ভূত পরিস্থিতি কোনদিকে যায়, কতদূর আমাদের নিয়ে যাবে তা নিয়ে এখনি আমরা কোন ব্যাখ্যা বা প্লানিংয়ে যেতে পারছি না। সরকারীভাবে যে নিষেধাজ্ঞা এবং ঘোষণাগুলো দেওয়া হয়েছে আমরা তার সঙ্গে একমত হয়ে প্রথমে ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমাদের শূটিং আমরা স্থগিত করেছিলাম। পরবর্তীতে তা সরকারী নির্দেশমতো চার তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখবো। তারপর যদি সরকার এই মেয়াদ বাড়ায়, তাহলে আমরাও এটাকে বাড়িয়ে নিয়ে যাবো।’

শিল্পীদের সাহায্য নিয়ে বলেন,‘এই সময়ে যারা আমাদের সঙ্গে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজ করে। সেটা শিল্পীদের মধ্যেও আছে। অন্যান্য কলাকুশলীরাও আছে, এতে আমাদের প্রডাকশন বয় থেকে শুরু করে যে ছেলেটা মাইক্রোবাস চালায় সকলেই আমাদের পরিবার। তাদের সকলের কথাই আমরা মাথায় রেখেছি। আমাদের চারটা সংগঠন আছে, অভিনয়শিল্পী সংঘ থেকে শুরু করে বাকি যারা আছে। আমরা প্রত্যেকে একটা ফান্ড রাইজিংয়ের প্রকল্প হাতে নিয়েছি আলাদা আলাদাভাবে। আমরা সকল সংগঠনের কাছে একটা তালিকা তৈরীর অনুরোধ জানিয়েছি, তারা তাদের সংগঠনের আর্থিকভাবে যারা অসচ্ছল তাদের তালিকা দেবে। সেই অনুযায়ী আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেবো প্রয়োরিটি ব্যাসিসে কাদের এই সাহায্যগুলো করা যায়। ইতিমধ্যে আমরা সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। শ্রদ্ধেও মামুনুর রশীদ ভাই উনি কথা বলেছেন মাননীয় মন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি মুখ্য সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সেখানেও ওনারা ইতিবাচক সারা দিয়েছেন। ওনারা বলেছেন, আপনারা সেই সমস্ত শিল্পী এবং কলাকুশলীর তালিকা দেন, দেখি আমরা সরকারীভাবে কতদূর কি করতে পারি।’ 

আগামী দিনের প্রস্তুতি নিয়ে বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি এই যে যুদ্ধ এটা এক বা দুইদিনে থামবার নয়। এই যুদ্ধের রেশ থেকে যাবে পরবর্তী মাসগুলোতেও। যদি আমরা এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু সামনের দিনের জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। অর্থনৈতিকভাবেও এক ধরণের প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছি সকলে মিলে।’ 

অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন,‘ ৮৮ সালের বন্যার সময় আমার তখন সবে পড়াশুনা শেষ করেছি। তখন টিএসসিতে যে ক্যাম্প করা হয়েছিল সেখানে রুটি বানাতাম। রুটি সেকে বন্যার্তদের মধ্যে দিতাম। যেখানে প্রয়োজন হতো জনগণ সরকারের সঙ্গে ঝাপিয়ে পড়ো সেই রাস্তাটি বা এলাকাটি বাধ দিয়ে রক্ষা করতে। আমরা ডেমরা নারায়ণগঞ্জের  যে বাধটা ওটা তৈরী করতে আমরা শরীক হয়েছিলাম। জনগণের পাশে থেকেছি সর্বত্রভাবে। তবে বন্যার সঙ্গে এই মহামারি আমি মেলাবো না। কারণ সেটা দেখা যেত সবাই মিলে ঝাপিয়ে পড়তাম। কিন্তু এখন তো একজনের মৃত্যু হলেও যেতে পারছি না নিয়মানুযায়ী। অদেখা একটা শত্রু এটা।

তখন টেলিভিশনে শুধু বিটিভি ছিল। পানি উঠে গিয়েছিল সারা শহরে। নৌকায় যাতায়াত করতে হতো। কিন্তু টেলিভিশন নাটককে তো তখন কেউ প্রফেশন হিসেবে নেয়নি। তাই শিল্পীদের যে খুব সমস্যা হয়েছিল তা বলবো না। এখন তো সিনেমার চেয়ে নাটকের মার্কেট বড়। সিনেমার চেয়ে বেশি মানুষ কাজ করে ইনভেস্ট হয় এখানে।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭