লিভিং ইনসাইড

খাদ্যাভাসে সংযমী হওয়ার উপায়গুলো কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/04/2020


Thumbnail

বিশাল লম্বা ছুটি পেয়েছেন। সারাদিন ঘরের মধ্যেই। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আপনার বাইরে যেতে হচ্ছে না। ঘরে শুয়ে-বসে ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, টিভি দেখায় আরামদায়ক আলস্যে সময় বেশ কেটে যাচ্ছে। সকালে উঠেই খাওয়া, ছুটির দিন বলে দুপুরেও দারুণ একগাদা মেন্যু, সন্ধ্যায় ভরপুর নাস্তা, আবার রাতে একগাদা ডিনার। এদিকে আড্ডার ফাঁকে, সিনেমা দেখার ফাঁকে কিছু না কিছু খাচ্ছেন। পরিবারের এক এক সদস্য এক একটা আবদার করছে, খাওয়ার হুলুস্থুল বেধে গেছে যেন। আপনি তো ওজনদার হচ্ছেনই, পকেট থেকেও যে এই শুধু খাওয়া-দাওয়ার জন্য বেশ মোটা টাকা খরচ হচ্ছে, বুঝতে পারছেন?

আপনি খাবেন খুব ভালো কথা। কিন্তু এই দুর্মূল্যের বাজারে টাকাপয়সা নিয়েও তো একটু চিন্তা করতে হবে। সবকিছু বন্ধ, বেতন পেতে দেরিও হতে পারে, আর সেই বেতনের আগে যদি এতো বেশি খরচ করে ফেলেন, পরে টানাটানিতে পড়বে। তাই খাদ্যাভাসে সঞ্চয়ী হতে হবে আপনাকে। সেটা কীভাবে, জানাচ্ছি আপনাকে।

জানেনই তো যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এখন বাইরে যাওয়া একেবারেই নিষেধ। প্রতিদিনের রকমারি বাজারের জন্য যদি বার বার বাইরে যেতে হয় সেটা সবার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে আপনি একটা কাজ করতে পারেন। কয়দিনের বাজার-সদাই একবারে করে রাখুন। হিসাব করে রাখুন, কোনদিনের কি মেন্যু তা আগেই ঠিক করে রাখলে আপনি আর বেহিসেবি হবেন না।

হুট করে বিশ্রামে থেকে এমন রাজকীয় খাওয়াদাওয়া করলে যে আপনার স্বাস্থ্যের কি অবস্থা হতে পারে একবার ভেবে দেখেন তো। আপনি মুটিয়ে যাবেন, অলস হয়ে যাবেন। এজন্য ছুটির এই কয়দিন আপনাকে একটি নির্দিষ্ট খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত হতে হবে। ডায়েট চার্ট বানাতে পারেন, কোনদিন কি মেন্যু হবে তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে পারেন।

এই ঘরবন্দি অবস্থায় টাকাপয়সায় টান পড়লে আপনার বিপদ। ঝুঁকি বিবেচনায় আপনাকে অন্যান্য খরচাপাতি নিয়েও অবশ্যই ভাবতে হবে। একটু ভারি খাবার দাবারেই যদি বেশি খরচ হয়ে ‍যায়, আপনার অন্যান্য খরচে টান পড়ে যাবে। এই সংকটকালে তাই আপনাকে তো একটু সঞ্চয়ী হতেই হবে।

আপনি একটু অন্যভাবে ভাবুন। বড় বাজেট মানেই খুব ভালো খাওয়া দাওয়া নয়। আপনি নতুন নতুন মুখরোচক খাবার যা আপনার ঘরে হাতের নাগালেই থাকে, সেগুলো দিয়ে নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করে ফেলতে পারেন। এতে আপনার দারুণ এক্সপেরিয়েন্সও হবে, খরচাপাতিও কম হবে, সময়ও ভালো কাটবে।

আপনার ঘরে অসুস্থ, বয়স্ক, শিশু থাকতেই পারে। বেশি ভারি খাবার তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিমাত্রায় বাড়তি খাবার খেয়ে অসুখে পড়বেন, ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হবে সেটা ভেবেও এই সময়টাতে খাওয়ায় সংযত হতে পারেন আপনি।

আর সর্বশেষ একটা কথা মনে রাখবেন। চারদিকে অদ্ভুত এক মহাসংকটের মাঝখানে আপনি। আর এই কারণেই ঘরে থাকা, আরাম করে মুখরোচক খাবার খাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন আপনি। কিন্তু আপনার আশেপাশেই হয়ত অনেকে ঠিকমতো খাওয়ার সুযোগটাও পাচ্ছে না। কর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেরই রুটিরুজি বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের কথা ভাবুন। নিজের কথা বাদ দিয়ে নিজের বাড়তি কিছু খাবার অন্যদের জন্যও না হয় রাখুন।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭