লিভিং ইনসাইড

ফলমূল-শাকসবজি জীবাণুমুক্ত করছেন কীভাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 05/04/2020


Thumbnail

করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে আমাদের জীবনে যেন একেবারে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। কি করবো, কীভাবে কতটুকু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবো, কোনটা খাবো কোনটা খাবো না, খাবার কীভাবে পরিচ্ছন্ন জীবাণুমুক্ত করে খাবো- এগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম একেবারে হারাম। আপনি অনেককিছুই হয়ত জানেন, আবার অনেককিছু না জেনে বিভ্রান্তও হচ্ছেন। তাই অন্তত খাবার দাবারের পরিচ্ছন্নতার দিকে আপনাকে নজর দিতে হবে।

অনেকেই বাড়তি সতর্কতা বা আতঙ্কিত হয়ে শাকসবজি বা ফলমূলও ডিটারজেন্ট, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুচ্ছেন। এগুলো পেটে গেলে ক্ষতি হয়। কিন্তু আপনি ভাবছেন যে জীবাণুমুক্ত করতে এগুলো দিয়ে পরিস্কার করা ছাড়া আর উপায় নেই। তাই আপনার বিভ্রান্তি দূর করতে সঠিক পন্থা জানানোর চেষ্টা থাকছে আজকের প্রতিবেদনে-

কীভাবে জীবাণুমুক্ত করবেন?

এখনও পর্যন্ত এই তথ্যের কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি যে খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে করোনা ছড়ায়। কাজেই স্বাভাবিক নিয়মের মতো খুবই সাধারণভাবে ট্যাপের রানিং কোল্ড ওয়াটারে সবজি ধুয়ে ফেলুন, অর্থাৎ কল চালু রেখে সাধারণ পানিতেই ধুয়ে নিন। ব্যস, হয়ে গেল। যা কিছুই ওতে থাকুক না কেন, ৯০-৯৯%ই চলে যাবে। শাক-সবজি রান্নার সময় যে তাপমাত্রা আমরা ব্যবহার করি তাতে করোনা টিকতে পারবে না।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, সবজি কেনা ও সংরক্ষণের প্রসেসিংয়ে কোনো সমস্যা হতে পারে কিনা? হ্যাঁ পারে। এটাই আসলে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বাজারে বা সুপার শপে যাওয়ার আগে নিজে মাস্ক এবং গ্লাভস পরে সুরক্ষিত হয়ে নিবেন। সবজির ঝুড়ি ডিজইনফেকটেন্ট দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে নিবেন। সুপার শপে ঢোকার পর একটু সময় খরচ করে ট্রলিটা ডিজইনফেকটেন্ট দিয়ে মুছে নিবেন।

শপে থাকা অন্যান্যদের সাথে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। সেলসম্যান বা অন্যান্যরা গ্লাভস এবং মাস্ক পরেছে কিনা খেয়াল করুন। বাজার শেষে বাসায় ফিরে নিজের পোশাক পরিবর্তন করবেন, সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুবেন ভালো করে। সম্ভব হলে গোসল করে ফেলবেন।

যে ফলমূল কাঁচা খাবেন

ভিনেগার দ্রবণে ১০-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সিঙ্ক পানি দিয়ে ভরে এক কাপ সাদা ভিনেগার দিয়ে দেবেন। অনুপাত হলো ৮:১। যদিও ভিনেগার রেজিস্টার্ড ডিজইনফেকটেন্ট না, তবে এতে থাকা এসিটিক এসিডের কারণে কীটনাশক চলে যাবে কিছু। ৯৮% ব্যাকটেরিয়া চলে যাবে। কিছু ভাইরাসও যাবে। কিন্তু কোভিড-১৯ যাবে কিনা তা জানা যায়নি।

তবে এটা বোঝা গেছে যে, এই ভাইরাস জীবিত হোস্ট পছন্দ করে, মৃত নয়। আর তাই, কেবল রানিং কোল্ড ওয়াটারে ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট। অধিক সতর্ক থাকতে চাইলে ভিনেগারের দ্রবণ ব্যবহার করতে পারেন। লবণ পানি বা খাবার সোডা কেবল কিছু পেস্টিসাইড বা কীটনাশক সরাতে সাহায্য করবে, এর বেশি কিছু নয়।

এখন কথা হলো, করোনাভাইরাসের চলার পথ হচ্ছে হাত থেকে মুখ হয়ে শ্বাসতন্ত্র বা সরাসরি নাক হয়ে শ্বাসতন্ত্র। খাদ্যতন্ত্রের মাধ্যমে যেহেতু এটি বিস্তার লাভ করে না, কাজেই এটা নিয়ে ততটা উদ্বিগ্নতার তেমন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আমাদের কেবল মনে রাখতে হবে হাত, নাক, মুখ এই তিন রুট সুরক্ষিত রাখার কথা। এজন্য মাস্ক ব্যবহার, প্রয়োজনে গ্লাভস ব্যবহার এবং আশেপাশের যে সারফেসে আমরা হাত দিচ্ছি সেটা পরিষ্কার রাখা জরুরি।

ঘরে থাকুন, সতর্ক থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

সূত্র: মেডিভয়েস



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭