ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ব নেতৃত্ব: কতটা প্রস্তুত জার্মানি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/07/2017


Thumbnail

বর্তমানের নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অদূরদর্শী নীতিমালার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না অন্য দেশগুলো। বিশ্বে মুক্তবাণিজ্যের যে জোয়ার তৈরি হচ্ছিল তা ট্রাম্পের বাণিজ্য সংরক্ষণ নীতি ও ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে হুমকির মুখে। বিশ্ব নেতৃত্বের জন্য চীন ও জার্মানির দিকে তাকিয়ে আছি সবাই।

জার্মানি ইউরোপ মহাদেশের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি দেশ। গত বছরে তাঁদের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানী নির্ভর অর্থনীতির দেশটিতে বেকারত্বের হার ৪ শতাংশেরও কম। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়াও অন্যান্য দেশে জার্মানির পণ্যের চাহিদা রয়েছে। চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র একত্রে জার্মানি থেকে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ পণ্য আমদানি করে। দিনে দিনে জার্মানির সঞ্চয় বেড়ে চলেছে।

সম্প্রতি জি ২০ সম্মেলনে জার্মানি বিশ্বজুড়ে জাগ্র্রত বাণিজ্যে সংরক্ষণশীলতা ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। শক্তিধর দেশগুলোকে চাপ দেয় মুক্তবাণিজ্যকে টিকিয়ে রাখতে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জলবায়ু চুক্তি প্রত্যাহারের সমালোচনা করেন এবং অঙ্গীকার করেন এ চুক্তিতে জার্মানী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। পাশে মিত্র হিসেবে পান ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে।

সামরিক শক্তিতেও জার্মানি এগিয়ে রয়েছে। আফগানিস্তানে নিজেদের সেনা পাঠিয়েছে তাঁরা। মালি ও লিথুয়ানিয়াতেও নতুন সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপকে ঘুরে দাঁড়াতে মার্শাল প্ল্যান তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানিও মার্কিন পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান শরণার্থী মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েছে একদম গোঁড়া থেকে। পশ্চিম আফ্রিকায় উগ্রপন্থী দল বোকো হারামকে প্রতিহত করতে সেখানে অর্থ বিনিয়োগ করছে তাঁরা।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জার্মানির ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। আকারে ছোট এ দেশ সামরিক দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় শক্তিশালী নয়। এখনো তাঁদেরকে সামরিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে হয়। জার্মানির অর্থনীতিও বাণিজ্য নির্ভর এবং বহুপাক্ষিক চুক্তির ওপর তাঁদের বেশি নির্ভর করতে হয়।

তবে এতো সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও নেতৃত্বের প্রশ্নে এগিয়ে রয়েছে জার্মানি। অর্থনীতিতে তাঁদের মিতব্যয়ী নীতি সমালোচনায় এসেছে। সারাবিশ্ব থেকে পরামর্শ আসছে তাঁরা যেন খরচের দিকে ঝুঁকে। আইএমএফ জার্মানিকে বেশি বেশি বিনিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাঁদের অনুরোধ করেছে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যেমন, ইতালি ও গ্রিসকে যেন সাহায্য করতে এগিয়ে আসে।

নতুন বিশ্বব্যবস্থায় মুক্তবাণিজ্য ও পরিবেশকে রক্ষার দায়িত্বে জার্মানি নেতৃত্ব নিতে না পারলেও সমঝোতার ক্ষেত্রে প্রভাবশালী মধ্যস্থাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে। এতে সাম্প্রতিক সংকট দূর করা সহজ হবে।

বাংলা ইনসাইডার/আরএইচবি  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭