ইনসাইড গ্রাউন্ড

সব্যসাচী ক্রিকেটার নাসির হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/07/2017


Thumbnail

নাসির হোসেন! এই আছেন, এই নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে এই তার বর্তমান অবস্থা। এই আসা-যাওয়ার মাঝে নাসির হোসেনের মনের গভীরে যে ছবি আঁকা হয়ে গেছে, তা শুধুই বেদনার। তবে নাসির সেই বেদনাকে নিয়েছেন তার ফিরে আসার অস্ত্র হিসেবে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে নাসিরের আবির্ভাব ফিনিক্স পাখির মত। একটা সময় তিনি ছিলেন জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ দেখেছে অনেক ম্যাচের সফল সমাপ্তি। মাশরাফি তার খেলা দেখে বলেছিলেন-“তোর যা গড় তা ধরে রাখার চেষ্টা কর, চেষ্টা কর আরো উন্নতির। তুই দলের ভবিষ্যত।”

নিয়মিত পারফরম্যান্সের কারণে নাসিরের নাম হয়েছিল `মি. ফিনিশার’ ও `মি. কনসিসটেন্স’। কিন্তু সেই নাসিরই দলে অনিয়মিত, অবশ্য পারফরম্যান্সের জন্য নয়। কোন এক ভূতুরে কারণে!

ঘটনার শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে। পুরো আসরেই নাসির বাংলাদেশ দলের নিয়মিত দ্বাদশ ব্যক্তি। তাসকিন ও আরাফাত সানী বোলিং অ্যাকশনের জন্যে বাদ পড়লে তাদের জায়গায় ডাক পান সাকলাইন সজীব ও শুভাগত হোম। সবাই আশা করেছিল এখন হয়তো নাসির সুযোগ পাবেন, কিন্তু খেলানো হলো শুভাগতকে।

নাসির একজন পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার। সে হতে পারত সাকিবের যোগ্য সহযোগী। ২০১৫ সাল পর্যন্ত দলকে দারুণ সার্ভিস দিয়েছেন। হয়ে উঠেছিলেন সব্যসাচী ক্রিকেটার। কিন্তু এক বছরের মাথায় কী এমন হয়ে গেলো যে নাসির আজ দলে অপ্রয়োজনীয়!

তবে নাসির হাল ছাড়েননি। তিনি পারফর্ম করে যাচ্ছেন নিয়মিত। জাতীয় লিগ, প্রিমিয়ার লিগ কিংবা ইমার্জিং এশিয়া কাপ, সব টুর্নামেন্টেই তার সেঞ্চুরী। সেই সাথে তিনি বল হাতেও দুর্দান্ত। সেই কারণেই হয়তো এবার ত্রিদেশীয় সিরিজে দলে ডাক পেলেন। ত্রিদেশীয় সিরিজকে ধরা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবে। মূল টুর্নামেন্টের দলে যদি নাই থাকবেন, তবে তাকে প্রস্তুতির সিরিজে দলে রাখা হয়েছিলো কেন!

কিছুদিন আগেই শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও করেছেন দারুণ পারফরম্যান্স। দলকে জিতিয়েছেন প্রথম শিরোপা। লিগে ৮ ম্যাচ খেলে ২৪০ গড়ে করেছেন ৪৮০ রান। অপরাজিত ছিলেন ৬ ম্যাচে! সর্বোচ্চ স্কোর ১৩৪*। স্ট্রাইক রেট ৯৪.৮৬। আর বল হাতে ৪১.২ ওভার বল করে ১৩৪ রানে নিয়েছেন ৯ উইকেট। সেরা বোলিং ৩/৩৬।

একজন অলরাউন্ডারের নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এই পারফরম্যান্স কী যথেষ্ট নয়?

নাসিরের আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানও ঈর্ষা করার মত। টেস্ট ও ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় যথাক্রমে ৩৭.৩৪ ও ৩২.৩৫। টেস্টে ও ওয়ানডেতে আছে সমান সংখ্যক ১টি শতক ও ৬টি অর্ধশতক। বল হাতে টেস্টে তার ইকোনোমি রেট ২.৮৭ এবং ওয়ানডেতে ৪.৬৪।

এরকম একজন খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে তার চেয়ে অনেক কম গড়ের খেলোয়াড়দের স্কোয়াডে রাখছে বিসিবি! তাছাড়া দলের বিপদের সময় উইকেট এনে দিতেও নাসির পটু। অভিজ্ঞতাতেও নাসির এগিয়ে অনেকের চেয়ে।
তাই সকল টাইগার সমর্থকের একটাই প্রশ্ন কবে শেষ হবে এই নাসির, নাসির খেলা?


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭