সোশ্যাল থট

করোনাকাল; পুলিশ-নাট্য পরিচালক-সাংবাদিকের ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 26/04/2020


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করেন সেখানে সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তাদের মনের অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে। বাংলা ইনসাইডার নিয়মিত আপনাদের সেসবের খোঁজ দেবে। তবে এই লেখার সমস্ত দায় দায়িত্ব একান্তই পোস্ট দাতার।

সানী সানোয়ার

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা (এসপি)

কয়েকদিন আগে একজন আমাকে ইনবক্স করলো

- ভাই, প্রতিটি থানায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দাফন-কাফন-জানাজা পড়ানোর নিয়ম শিখিয়ে দিন। কাজে লাগবে।

আমি কোন উত্তর দিলাম না। কারণ আমি `থ খাইয়া` গেছি। এ কাজও পুলিশকে করতে হবে!!

আবার একজন ইনবক্স করলো,

- ভাই, মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তদের জন্য কিছু করেন। এরা তো সাহায্যও চাইতে পারছে না! খুব কষ্টে আছে এরা।

- আমি তো পুলিশে আছি, ভাইয়া?

- আমি জানি। আর বলার মতো কাউকে দেখছি না। তাই আপনাকে বললাম আর কি।

সেদিন রাতেই আরেকজন ইনবক্স করলো। একটা নাম-ঠিকানা-ফোননাম্বার দিয়ে বলল,

- মোহাম্মদপুর এলাকায় এই লোক আমার প্রাক্তন কলিগ। গতকাল রাত থেকে নাকি বাসায় খাবার নেই। কিছু কি করা যায়?

আমি ঐ এলাকার একজন পূর্ব পরিচিত পুলিশ অফিসারকে বিষয়টি জানালে সে বলল,

- স্যার, দুই ঘন্টার মধ্যে বাজার পৌচ্ছে যাবে। আমি ওনার সাথে কথা বলে নিচ্ছি। কোন চিন্তা করবেন না আপনি।

পরদিন সকালে আরো একটা ঠিকানা পাঠালো একজন বন্ধু। এক ভদ্রলোকের বাসায় নাকি বাজার-সদাই-টাকা-পয়সা কিছুই নেই। থাকেন ওয়ারী। আমি তৎক্ষণাৎ ওয়ারী বিভাগের ডিসি, আমার দোস্ত-কাম-ব্যাচমেট ইফতিকে বিষয়টি জানালাম। সে সাদরে একটি ছোট্ট নোটবুকে তার নাম-ঠিকানা লিখে নিয়ে বলল,

- দোস্ত, আজকেই এরকম ৭টি পরিবারের নাম নোট করলাম। এপর্যন্ত কয়েক ডজনের ব্যবস্থা হয়েছে । এই পরিস্থিতি যতদিন থাকবে এই পরিবারগুলোকে তাই দেয়া হবে যা আমার পরিবার পাবে ইনশাআল্লাহ,

-আরেহ তুই দিবি কিভাবে! অনেকেই তো দিচ্ছে তাদেরকে দিতে বল।

-সেটা নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না।

- আচ্ছা। থ্যাংক্স।

একলোক ইনবক্স করলো,

- ভাইয়া, পুলিশ সব বিষয়ে এত কড়া হলে হবে। ধানকাটার শ্রমিক পাচ্ছি না। ধান না উঠলে খাবো কি?

- হমম৷ কি একটা অবস্থা!

পরদিন পত্রিকায় দেখলাম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ নিজ উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েক হাজার ধানকাটা শ্রমিকদের গাড়ির বহর নিয়ে হাওর এলাকায় যাচ্ছে। মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চারিদিকে এসব হচ্ছেটা কি!

ভাড়া দিতে না পারায় এক ভাড়াটিয়েকে বাসা থেকে বের করে দিলো আড়াই-কাঠা জমির এক বাড়িওয়ালা জমিদার। পুলিশ গিয়ে তাদের আবার সেই বাসায় তুলে দিয়ে আসলো। জমিদার পরলো ফ্যাসাদে।

`করোনা রোগী` ভেবে অসুস্থ জ্যান্ত মা`কে ফেলে দিল সন্তান, মৃত ভাইকে ফেলে দিল সহোদর… এরকম অহরহ ঘটনায় পুলিশ তাদের তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেল কিংবা দাফনের ব্যবস্থা করলো।

চাল চোর, তেল চোরদের ধরে জেলে ঢুকালো পুলিশ। এটা অবশ্য তাদের নিয়মিত কাজ, তবুও চোখ খোলা রেখেছিল বলে সাধুবাদ পেলো।

দোকান, বাজার, মহল্লায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে ২৪ ঘন্টা জেগে রইল।

অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চল কলারোয়া থানা, সাতক্ষীরার পুলিশও আধুনিক প্রযুক্তি তথা ড্রোন উড়িয়ে পেট্রোলিং করে আড্ডাবাজদের গ্রেফতার করলো।

করোনা রোগীদের অনেক কবরস্থান দাফন করতে দিচ্ছে না। গেইটে নোটিশ ঝুলিয়ে দিল। এসব দেখে এক পুলিশ অফিসার তার এক টুকরো জমি `করোনা কবরস্থান` -এর জন্য ওয়াকফ করে দিল।

ডিএমপি`র পুলিশ লাইনের কিচেন থেকে প্রতিদিন সাত হাজার লোকের খাবার রান্না হচ্ছে আর পৌচ্ছে যাচ্ছে ক্ষুধার্তদের ঘরে ঘরে।

পুলিশের দুই শতাধিক সদস্য করোনা আক্রান্ত, কোয়ারেন্টাইনে কয়েক হাজার। প্রতি ইউনিটের পুলিশকে ভাগ করা হয়েছে ২-৩টি ভাগে। এক ভাগের সাথে আরেক ভাগের দেখা করা নিষেধ। উদ্দেশ্য একটিই- ন্যুনতম কোন একটি ভাগকে শেষ দিন পর্যন্ত হলেও ডিউটি`র জন্য সুস্থ রাখা। কারণ - "পুলিশ ব্যর্থ হলে দেশ ব্যর্থ হবে।"

আজ সকালে একজন সাংবাদিক ভাই ইনবক্স করেছে। তিনি একটি তালিকা তৈরি করে লিখেছে যে, পুলিশ বর্তমানে নিজ কাজের অতিরিক্ত হিসেবে ৯টি মন্ত্রণালয়ের কাজ একাই করছে। আমি সঙ্গত কারণে তালিকাটি এখানে দিলাম না। কারণ, ঐসব মন্ত্রণালয়ও তাদের সামর্থের মধ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছে। হয়তো এরকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাদের কাজ করার অভিজ্ঞতা কম, কিন্তু তারা কেউ বসে নেই।

যাহোক, পুলিশের মধ্যে এই ব্যতিক্রমধর্মী মানসিকতা থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে পুলিশ সব সময় প্রতিকূলতার মধ্যেই কাজ করে আসছে। পুলিশের কমিউনিটি এনগেইজমেন্ট, মনোবল, অভিজ্ঞতা, পেশাগত জ্ঞান, মানবিকবোধ, শৃঙ্খলাবোধ, আনুগত্য যেকোন পেশার উর্ধ্বে। বিষয়টির উপর ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানীদের গবেষণা করা দাবি রাখে।

একটু খুলে বলিঃ

১৮৬১ সালে পুলিশ গঠনের পর থেকে পুলিশ কখনো পিছ পা হয়নি। পুলিশের আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি। পুলিশ সব সময় সব যুগে তার সীমিত সাধ্য এবং ইকুইপমেন্ট দিয়েই অপরাধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। ব্রিটিশ, পাকিস্তানী, গণতান্ত্রিক, সামরিক প্রভৃতি শাসনামলে তারা ছিল আনুগত্যের প্রতীক। সমালোচনা হতে পারে - কোন কোন ক্ষেত্রে কতিপয় সদস্যের অসদাচরণ নিয়ে, শোষনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করা নিয়ে। একথাও আসতে পারে - তাদের কি মেরুদন্ড ছিল না! এসব প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। তবে, ২৫ মার্চ কালো রাতে কিন্তু তেমনটি ঘটেনি। তারাই সবার আগে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেছিল।

একবার ভেবে দেখুন ন্যুনতম একটি ইউনিট এমনই দরকার আছে কিনা, যে ইউনিট রাষ্ট্রের প্রতি শতভাগ অনুগত থাকবে। নিজেদের জীবন-মৃত্যু-লাভ-লোকসান তোয়াক্কা না করে শুধু সরকারের আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে। আজ পুলিশের মাঝে এই চর্চাটুকু আছে বলেই সরকারি আদেশে পুলিশের মধ্যে অসম্ভবকে সম্ভব করার এক আদিম প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বণ্যায় সব ডুবে গেলেও ডুবন্ত থানার পাশে কৃষকের গরুর নিরাপত্তার জন্য খোয়ারের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে পরিবার কর্তৃক ফেলে রাখা `করোনায় মৃত` লাশের দাফন-কাফন করা পর্যন্ত অনেক বিরল কাজের ধারাবাহিকতা শুধুমাত্র পুলিশেরই আছে। কয়েক লাখ উন্মাদ লোকের বিপক্ষে করেক শত অপ্রস্তুত পুলিশ (বর্তমান আইজিপি, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার ড. বেনজীর আহমেদ -এর নেতৃত্বে) লড়াই করে ন্যুনতম ক্যাজু্য়্যালিটির মাধ্যমে শাপলা চত্তর দখল করে নিয়েছিল। চাল-চুলাহীন পুলিশের নবগঠিত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট দুই বছরের মধ্যে (সিটি চীফ জনাব মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে) দেশের জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা শূণ্যের কোঠায় নিয়ে এসেছে। আর বিশ্বের দরবারে সব থেকে দ্রুতগতিতে উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণের রোল মডেল হিসেবে অনুকরণীয় একটি ইউনিটের মর্যাদা পেয়েছে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে পুলিশের পিকুলিয়ার আচরণ, সাহসিকতা, মানসিকতা, পেশাদারিত্ব, অভিজ্ঞতার এবং আনুগত্যের ফলে। তাই `করোনা` আক্রান্ত হবার এই চরম ঝুঁকির মধ্যেও ২ লাখ ১২ হাজার পুলিশের একজন সদস্যও আজ পর্যন্ত এই `করোনা যুদ্ধে` দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকৃতি জানায়নি। ভয় পায়নি। এখনো পরিবারের পিছু টান তাদেরকে কর্তব্য পালন থেকে এতটুকু বিচ্যুত করতে পারেনি।

এটি গর্ব বা অহংকারের বিষয় নয়। এটি গবেষণার বিষয়। একটি তুমুল অজনপ্রিয় পুলিশ ইউনিট কিভাবে এতটা মানবিক, জনপ্রিয় এবং আস্থার প্রতীক হয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিল?

মাহফুজুর রহমান

সাংবাদিক ও নারায়ণগঞ্জের স্থানীয়

সকালে ভাবছিলাম, এলাকায় কোলাহল বেড়ে গেছে কেন?

দুপুরে জানলাম, নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস খুলে দেয়া হয়েছে।

অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে, ভাবতে ভাল লাগছে।

কিন্তু হাসপাতালগুলো রোগীর মিছিল সামাল দিতে প্রস্তুত তো?

কামরুজ্জামান মিলু

পাবলিক রিলেশন অফিসার- স্বপ্ন

করোনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তাদের নিজ নিজ জেলখানা ও ডিটেনশন সেন্টারগুলো খালি করতে শুরু করেছে। সৌদি আরবের পর এবার মাস্কাটের জেলে থাকা ২৯২ বাংলাদেশিকে স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে ওমান সরকার।

যদিও ঢাকা চেয়েছিল করোনার এই কঠিন মুহুর্তে কোনো প্রবাসী ফেরত না আসুক। বিশেষ করে জরুরি ভিত্তিতে তৈরি হতে যাওয়া ৪০০০ প্রবাসী বা বিদেশ ফেরতের একসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিন সুবিধার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু না, তার আগেই সৌদি আরব চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ওমরাহ করতে গিয়ে আটকে পড়া ১৪৪ বাংলাদেশির সঙ্গে ১৬৮ প্রবাসী, যারা বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে ছিলেন তাদের স্পেশাল বিমানে তুলে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। এই কায়দায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ওমানে এয়ারের বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকায় নামে।

মাসুদ হাসান উজ্জল

পরিচালক

দু:খজনক ভাবে আমি মধ্যবিত্ত। গাড়ি চড়া মধ্যবিত্ত। আমার মত আর যারা গাড়ি চড়া মধ্যবিত্ত তারা সম্ভবত কোনভাবেই এটা প্রকাশ করতে নারাজ যে আমরা বিত্তবান নই! সমাজে ছোট হয়ে যাওয়ার একটা ব্যপার আছে না ! আমি বিনীতভাবে বলতে চাই এটা একধরণের Un Smartness ! রুবানা হককে দেখে শিখেন কীভাবে টাকা চাইতে হয় !

এদেশে এই করোনা ইস্যুতে দুই শ্রেণীর মানুষ হাত পেতে টাকা চাইতে দ্বিধা করছে না -এক হলো বিত্তবান শ্রেণী ( যাদের টাকা চাওয়া শেষই হচ্ছে না ) আরেক হলো দরিদ্র শ্রেণী । এই মধ্যবিত্ত শ্রেণী যাত যাওয়ার টেনশনে টু শব্দটিও করছে না - যদি কেউ ফকির ভাবে! অথচ কেউ জানেই না আমরা ট্যাক্স কেন দেই ! কেউ বোঝেনা আপদকালীন সময়ে প্রণোদনা , ভর্তুকী এসব সরকার নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে দেয় না , আপনার আমার ট্যাক্সের টাকা থেকেই দেয় । আর সেই টাকার সিংহভাগই আমার আপনার মত মধ্যবিত্তর রক্ত পানি করা টাকা । বিত্তবানরা হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আরো বেশী বিত্তবান হয়। মধ্যবিত্তর পালানোর কোন পথ নেই , সরকারী কোষাগারে নিয়মিত কর দিতেই হবে !

অথচ অবাক হয়ে দেখলাম এই লকডাউনের কর্মহীনতায় সরকারের মধ্যবিত্ত নিয়ে নুণ্যতম কোন পরিকল্পনা নেই -আলাপও নেই! মধ্যবিত্তরও তাতে কোন হেলদোল নেই ! লকডাউনে স্বামী রান্না করছে , স্ত্রী থালাবাসন মাজছে , দাম্পত্ত সম্পর্ক গভীর হচ্ছে , এতেই সবাই খুশী ! আর আমাদের মিডিয়ার সবাই তো সুপারস্টার , সুপারস্টারদের কী যেকোন পরিস্থিতে মাটিতে নামলে চলে!

আমি ভাই ক্যামেরাট্যামেরা নিয়ে কাজে নেমে পড়ব! নিউজ পড়লাম ভিআইপিদের করোনা চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল, ভেন্টিলেটর প্রস্তুত করা হচ্ছে। সুতরাং সরকারের যেহেতু করোনা প্রস্তুতি ভিআইপি আর সিআইপি নিয়ে , আমি যে আদৌ Exist করি কীনা তা নিয়ে কোন মাথাব্যথা নাই , আমার জন্য এই লকডাউন বিলাসীতা ছাড়া আর কিছুই নয়। সুতরাং এইসব গালভরা শব্দ কোয়ারেন্টিন , Stay home -stay safe দিয়ে আমার কোন কাজ নাই! আপনারা যারা করোনা আসার পর এমন আচরন করছেন যে এর আগে অমরত্ব পেয়ে বসেছিলেন , তাদের সাথে স্বর্গে দেখা হচ্ছে না, আফসোস !



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭