লিভিং ইনসাইড

ইফতারে ভাজাপোড়াকে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 29/04/2020


Thumbnail

চলছে মাহে রমজান। বছরের মাঝামাঝি সময়ে এবছর রোজা পালন করতে হচ্ছে আমাদের, সেই সাথে সারাদেশেই চলছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। করোনা ভাইরাসের কারনে রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ থাকলেও গতকাল থেকে খুলতে শুরু করেছে ঢাকা শহরের বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টগুলো। সে হিসাবে মানুষ চাইলেই হাতের নাগালে পাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের ইফতার সামগ্রী।

সারাদিনের রোজা শেষে ইফতার শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে প্লেট ভর্তি ছোলা, বেগুনি, পেয়াজু, জিলাপি আর মুড়ি মাখা। প্রায় বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষের ইফতারের মেন্যুতেই এসব খাবারের ব্যবহার চলমান। তবে ইফতারের সময়ে এই ধরনের ভাজাপোড়া আর অস্বাস্থ্যকর খাবার বাড়াচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্যঝুকি।

সারাদিনের রোজার পরে ইফতারের সময়টাতে শরীরে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি, কিন্তু এসব ভাজাপোড়া থেকে যার কোনটাই পাওয়া যায় না। তাছাড়া বাইরে থেকে আনা ভাজাপোড়ায় ঝুকি থেকে যায় তেল বারবার ব্যবহারের সেক্ষেত্রে পোড়া তেল থেকে পাওয়া এসব খাবার স্বাস্থ্যঝুকি বাড়ায়।

অতিরিক্ত ভাজাপোড়ার কারনে এসিডিটি এবং ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে, তাছাড়া প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি ভাজা বা পোড়ানো হলে এসব খাবার পরিপাকে সমস্যা হতে পারে।

ছোলা, কাবাব এসব খাবারে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, ইফতারের এই সময়ে একসাথে এতো পরিমাণের এই উচ্চ ক্যালরী গ্রহণের ফলে অনেকেরই শরীর ছেড়ে দেয় এবং হাঁসফাঁস লাগতে শুরু করে। তাই এই ধরনের অবস্থা থেকে বাঁচতে অবশ্যই তেলে ভাজা খাবার ইফতারে পরিহার করতে হবে।

যেহেতু করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখা দরকার তাই অবশ্যই ইফতারে পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য উপকারী এসকল খাবার গ্রহণ করা আবশ্যক।

অবশ্যই এই রমজানে অতিরিক্ত তেল এবং তেলে ভাজা এসকল অস্বাস্থ্যকর খাবারকে না বলুন এবং সুস্থ থাকুন।    



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭