নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 19/07/2017
যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়— গানটি শুনলে মনে করিয়ে দেয় নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কথা। জোছনার আনন্দে ভরপুর ছিল তাঁর হৃদয় নদী। ছুটতেন কোনো নদীর কূলে কখনো খোলা প্রান্তরে। পূর্ণিমা হলেই ছুটে যেতেন জোছনা উৎসবে। আর সকালের ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ছন্দে কদম ফুলের দোল— তার মনে তৈরি করতো এক অনন্য শিহরণ। আজ এই কথা সাহিত্যিকের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী।
’নন্দিত নরকে’ উপন্যাসটির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হুমায়ূন আহমেদের। এরপর শুধু লিখেছেন। সমাজচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে শিশু সাহিত্য কিংবা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে রেখেছেন তাঁর অবদান। কখনো পাঠককে হাসিয়েছেন তো কখনো কাঁদিয়েছেন। নিজেকে বিশ্লেষণ করেছেন ’হিমু’ কিংবা ’মিসির আলী’ মাধ্যমে। একুশের বই মেলা যেন হুমায়ূন আহমেদের জয়যাত্রা। আকাশে বাতাসে তার জয়ধ্বনী।
আশির দশকে টিভির জন্য নাটক নির্মাণ করে নাট্যজগতে পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। ’কোথাও কেউ নেই’, ’আজ রবিবার’ এর মতো অসংখ্য নাটক মানুষকে চুম্বুকের মতো টিভিপর্দার সামনে টেনেছে।
চলচিত্র নির্মাণেও তাঁর সফলতা প্রশংসনীয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ’আগুনের পরশমণি’ ও ’শ্যামল ছায়া’ সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমকে নাঢ়িয়েছে। ’দুই দুয়ারী’, ’চন্দ্রকথা’, ’শ্রাবণ মেঘের দিন’র মতো চলচ্চিত্র করে জননন্দিত হয়েছেন এই লেখক।
মানুষের ভালোলাগা ভালোবাসার প্রতি যাঁর এত খেয়াল ছিল সে কিনা নিজের প্রতিই ছিলেন বড্ড বেখেয়াল। বেখেয়ালি হুমায়ূন আহমেদের দেহে এক সময় বাসা বাঁধে মরণব্যাধি ক্যানসার। চিকিৎসা নিতে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। সেখানেই ক্যানসারের কাছে হার মানেন তিনি।
এই নন্দিত কথাসাহিত্যিক ভালবাসার ছোঁয়ায় গড়েছিলেন নুহাশ পল্লী। একাকী সময় কাঁটাতে অসংখ্যবার ছুটে গেছেন সেখানে। আর সেই নুহাশ পল্লীতেই তাঁর শেষ ঠাঁই হয়েছে। একাকী হুমায়ূন আহমেদ এখন আছেন তাঁর প্রিয়তীর্থ নুহাশ পল্লীতে। তবে তাঁর সৃষ্টি ছড়িয়ে সারাদেশে, সারাবিশ্বে। যেখানে আছে বাংলা, আছে বাঙালি সেখানে আছেন তিনি। বাংলার মধ্যে আছেন হুমায়ূন আহমেদ, থাকবেন অনন্তকাল।
বাংলা ইনসাইডার/টিআর
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭