ইনসাইড হেলথ

ডায়াবেটিক কোমা’র ঝুঁকিতে আছেন কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/07/2017


Thumbnail

ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে গেলে অথবা খুব কমে গেলে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিক কোমা। যারা ইনসুলিন ব্যবহার করেন তারাই এমন অসুবিধার সম্মুখিন হতে পারেন। আজ ‘ঘরোয়া চেম্বারের’এই পর্বে জানবো ডায়াবেটিক কোমা বিষয়ে।

নির্দিষ্ট সময়ের ইনসুলিন না নিলে অথবা অপর্যাপ্ত পরিমাণে নিলে ডায়াবেটিক কোমা’র সূত্রপাত ঘটে। এ সময় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় তবে সে গ্লুকোজ শরীর কাজে লাগাতে পারেনা ফলে শক্তি সরবরাহের জন্য চর্বি ভাঙতে শুরু করে। অস্বাভাবিকভাবে এই চর্বি ভাঙ্গার ফলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। রোগী এই অবস্থাকেই বলা হয় ডায়াবেটিক কোমা।

ডায়াবেটিক কোমার ভয়াবহতা

সবার আগে জেনে নেয়া যাক সময় মত ডায়াবেটিক কোমা নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে কী ধরনের বিপদ হতে পারে। বার বার কোমা দেখা দিলে বা কোমার পরবর্তীতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে রোগীর মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে নিয়ে আসতে পারে।

ডায়াবেটিক কোমার পূর্ব লক্ষণগুলো কী?

ডায়াবেটিক কোমা দেখা দেওয়ার আগ মুহুর্তে খাবার খাওয়া সত্ত্বেও খুব বেশি ক্ষুধা লাগে, পিপাসা লাগে, ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস কষ্ট হয়, অসুস্থ বোধ হয়, অনেক সময় শ্বাসের সঙ্গে মিষ্টি ফলের মতো একটা গন্ধ আসে।

কী করবেন?

গ্লুকোজ অনেক বেশি কমে গেলে এবং ঘরে গ্লুকোজ ট্যাবলেট না থাকলে এক থেকে দুই চা চামচ চিনি বা মধু বা গুড় খেয়ে নিবেন। অথবা অর্ধেক গ্লাস চিনির শরবত পান করুন।

আর গ্লুকোজ বেড়ে গেলে ইনসুলিন নিতে হবে। পানি শুন্যতা রোধ করতে লবন পানি পান করুন। এরপরও অবস্থা স্বাভাবিক না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।


ডায়াবেটিস বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন 

বাংলা ইনসাইডার/এমএ/টিআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭