ইনসাইড হেলথ

বর্ষায় ঘরোয়া অ্যান্টিবায়োটিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/07/2017


Thumbnail

মনকে উদাস করে দেওয়ার মতো বর্ষা যতোই আবেগপ্রবণ হোক না কেন, এর আছে নানা বিড়ম্বনাও। বর্ষাকাল বাড়িতে ডেকে আনে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ নানা ভাইরাসজনিত সমস্যা। ফলে উপভোগ করা হয়ে উঠেনা এই সময়ের সৌন্দর্য্য। তাই এই বর্ষায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সঙ্গী করুন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিককে। সেই সঙ্গে প্রাণখুলে মেতে উঠুন বর্ষা উৎসবে।



নারকেল তেল

ন্যাচারাল অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে নারকেল তেল বেশ জনপ্রিয়। লরিক অ্যাসিড, ক্যাপরিক অ্যাসিডের মত একাধিক স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকার পাশাপাশি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাসের বিরুদ্ধে লড়তে নারকেল তেল খুবই কার্যকরি। তাই বর্ষায় ত্বকে নারকেল তেল মেখে নিলে ইনফেকশনের নানা সমস্যা প্রতিরোধও করা সম্ভব হবে।



রসুন

সর্দি-কাশি সারতে রসুনের তেল ব্যবহার করুন। এর অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান যে কোন ফাংগাল ইনফেকশন সারাতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন, রসুন ব্যবহারের ১০-১৫ মিনিট আগে খোসা ছাড়িয়ে নিতে। এতে বাতাসে থাকা অক্সিজেন রসুনে অ্যালিসিন উৎপাদনে সাহায্য করে এর কার্যকারিতা বাড়াবে।



কাঁচা মধু

কাঁচা মধুতে প্রচুর পরিমাণ অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। সেই সঙ্গেই একদম কাঁচা মধুতে বি পোলেন ও প্রোপোলিস থাকে। এই দুই উপাদান যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, তেমনই ক্ষত সারানোর অ্যান্টিবায়োটিক গুণও রয়েছে। বর্ষাকালে ডায়াবেটিকদের ফুট আলসার ড্রেসিং করতে পারেন মধু দিয়ে।



অরিগ্যানো অয়েল

বাঙালি রান্নাঘরে অরিগ্যানো ওয়েল ততোটা পাওয়া গেলেও বেশ পরিচিত। এই অরিগ্যানো অয়েল স্যানিটাইজার হিসেবে খুবই উপকারি। তাই এর ব্যবহার জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করবে। তাই নিয়মিত ৬০০ মিলিগ্রাম অরিগ্যানো অয়েল খাওয়া হলে তা মানুষের খাদ্যনালীতে পরজীবী ব্যাকটেরিয়া মারতে সাহায্য করে।

বাংলা ইনসাইডার/এমএ/টিআর


Save



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭