ইনসাইড আর্টিকেল

শাওয়ালের রোজা বা সাক্ষী রোজা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 26/05/2020


Thumbnail

অফুরন্ত রহমতের মাস পবিত্র ‘রমজান’ আমাদের মাঝ থেকে চলে গেল। প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান মাত্রই ১২ মাসের মধ্যে এই রমজান মাসের জন্য অপেক্ষা করেন। কারণ এ মাসের রহমত আর বরকতের পরিমাণ বহুগুণ বেশী। তাছাড়া রোজার পুরষ্কার আল্লাহ তা’আলা নিজ হাতে প্রদান করবেন। হাদিসে এসেছে, সিয়াম আমারই জন্য এবং এর পুরস্কার আমি নিজেই দান করব।

এক মাসে রোজা রাখবার উপহারস্বরূপ আল্লাহ’তালা আমাদের এত নেয়ামত দিবেন। একবার চিন্তা করুন তো রোজা রাখবার কারনে যে ফজিলত ও রহমত আমরা পাই সেটা যদি বাকি ১১ মাসে পাওয়া যেত তাহলে কতই না ভাল হতো। কিন্তু ৩৬৫ দিন রোজা রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু মন খারাপ বা হতাশ হবার কিছু নেই। রাসুল (সাঃ) এর সহজ সমাধান আমাদের দিয়ে গেছেন।

১২মাসে ১ বছর আর এই ১২ মাসের মধ্যে মাত্র একটি মাস আমরা ফরজ রোজা রাখি বাকী ১১ মাস রাখিনা। নবী করীম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোযা রাখার পরেই শাওয়াল মাসে ৬টি রোযা রাখে, সে যেনো পূর্ণ এক বছর (৩৬৫ দিন) রোযা রাখার সমান সওয়াব লাভ করে। হযরত উবাইদুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত একদিন নবী করীম (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারবো? তখন রাসুল সা: বললেন, তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে। কাজেই তুমি সারা বছর রোজা না রেখে, রমজানের রোজা রাখ এবং রমজানের পরবর্তী মাস শাওয়ালের ছয় রোজা রাখ। তাহলেই তুমি সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাব।

হাদিসে বলা হয়েছে, রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখলে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে, সুবহানাল্লাহ। বান্দার উপর আল্লাহ কতই না পরম দয়ালু ও অশেষ মেহেরবান যে তিনি অল্প আমলের বিনিময়ে অধিক সওয়াব দিবেন। শাওয়াল মাসের ৬ রোজা পালন সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব প্রাপ্তির এমনি একটি পরম সুবর্ণ সুযোগ। যদিও ঈমানদার মুসলিম এর কাছে কোন ব্যখ্যার অবকাশ রাখে না। কারণ রাসুল সাঃ বলেছেন সেটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। ধর্মীয় বিষয়ে নবী করীম (সা.) এর কাছে আল্লাহ যা ওহী দিয়েছেন শুধু তিনি তাই বলেছেন।

শাওয়াল মাসের ছয় রোজা, মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ঈদের দিন ছাড়া (ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম) মাসের শুরু থেকে শেষ সময় পর্যন্ত পালন করা যাবে। ধারাবাহিক ও অধারাবাহিক যেভাবেই হোক না কেন, রোজাদার অবশ্যই এর সওয়াবের অধিকারী হবেন। আমরা জানি রমজান মাসে মহিলাদের ছুটে যাওয়া রোযা অথবা অসুস্থতা বা সফরে থাকার কারণে রোযা আদায় করতে না পারলে তা অন্যমাসে কাযা আদায় করা ফরয।

মুসলিম শরীফে বলা হয়, যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখল অতঃপর এ রোজার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল। আমাদের দেশে শাওয়াল মাসের ৬ রোযাকে অনেকে সাক্ষী রোজা বলে থাকেন। যা একটি প্রচলিত ভুল। কারণ কোরান হাদীসের কোথাও একে সাক্ষী রোযা বলা হয়নি আর রোজার জন্য কোন সাক্ষী প্রয়োজন নেই আল্লাহ স্বয়ং এর সাক্ষী।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭