ইনসাইড আর্টিকেল

জুমাবার যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 29/05/2020


Thumbnail

শুক্রবারকে বলা হয় ইয়াওমুল জুমাআ বা পবিত্র জুমার দিন বলা হয়ে থাকে। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হল জুম্মাবার। আরবি শব্দ জুমুআ-এর অর্থ একত্র হওয়া। মহান রাব্বুল আলামীন এই দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।

বিভিন্ন হাদিসে নবী করীম (সা.) জুমার দিনের বৈশিষ্ট্য, মর্যাদা ও ফজিলতের বিষয়ে বলেছেন। জুমা বারে মারা গেলে কবরের আজাব থেকে নিরাপদ থাকার সুসংবাদ দিয়েছেন। মুমিনদের জন্য কবরের আজাব কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমালাভ হয়। অবশ্য সুদখোর, ঘুষখোরদের হিসাব আলাদা, তাদের ব্যাপারে হাদিসের কথা এভাবে হতে পারে। অন্যান্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, যারা কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকবে, তারাই কেবল কবরের আজাব থেকে নিরাপদ থাকবে। দ্বিতীয়ত, কোনো কোনো গোনাহগার মানুষ ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বিনাহিসাবে জান্নাতে যাবে। যাদের ভাগ্যে এমন সৌভাগ্য হয়, কেবল তারাই এদিনে মারা যায়। তবে যা-ই হোক, জুমার দিন ক্ষমালাভের সুসংবাদ রয়েছে। তাই যারা এদিন মারা যায়, তারা বড়োই সৌভাগ্যবান।

সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে জুম্মা দিনের ফজিলত অনেক বেশি। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) এক হাদীস থেকে জানা যায় নবী করীম (সা.) বলেন, জুমার দিনে ফেরেশতাগণ বিশেষ রেজিস্টার নিয়ে মসজিদের প্রতিটি দরজায় দাঁড়িয়ে যান। তারা মসজিদে আগমনকারী মুসল্লিদের নাম পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ করতে থাকেন। অতঃপর যখন ইমাম সাহেব এসে যান, তখন তারা রেজিস্টার বন্ধ করে খুতবা শুনতে থাকেন। অন্য আরেকটি হাদীসে নবী করীম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুন্দর করে গোসল করবে, অতঃপর তেল ব্যবহার করবে এবং সুগন্ধি নেবে, তার পর মসজিদে গমন করবে, দুই মুসল্লির মাঝে জোর করে জায়গা নেবে না, সে নামাজ আদায় করবে এবং ইমাম যখন খুতবা দেবেন, চুপ করে মনোযোগসহকারে তার খুতবা শুনবে দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

জুম্মাবারে মুমিন বান্দাদের বিশেষ করনীয় হল সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা। এই সূরা তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়, যারা জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাদের জন্য একটা নূর সৃষ্টি করবেন, যা কিয়ামতের দিন তাদের জন্য আলোর কারণ হবে। সেইসাথে পবিত্র এই দিনটিতে মুসলিমদের জন্য রয়েছে কিছু বিশেষ আমল। মুমিনগণ এই সমস্ত আমলের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয়। জুম্মাবারে মসজিদে গিয়ে আমাদের কর্তব্য হলো, ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করা, চুপচাপ খুতবা শোনা, সামর্থ্য অনুযায়ী দান-খয়রাত করা, নবী করীম (সা.) প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা ও আল্লাহর কাছে প্রচুর পরিমাণে দোয়া করা। বুখারি শরিফের একটি হাদীসে বলা হয়, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেওয়া হয়। আর এ সময়টি হলো জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭