ইনসাইড পলিটিক্স

জিয়া কি বাংলাদেশের নিকৃষ্টতম স্বৈরশাসক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 30/05/2020


Thumbnail

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত যে রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করেছিলেন, সেই ব্যবস্থাগুলোর ফলে অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম একনায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান। কেন?

১. জাতির পিতাকে হত্যাকাণ্ডের সময় জিয়াউর রহমানের একটা ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল যে, জিয়াউর রহমান জানতেন সবকিছু। তিনি নীরব ছিলেন। উপ সেনাপ্রধান হিসেবে জিয়াউর রহমানের সবকিছু জানার পরও, নীরব থাকাটা ছিল একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। কাজেই মনে করা যায় যে, জিয়াউর রহমান জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।

২. জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নির্মমভাবে সামরিক বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করতে থাকেন। কর্নেল তাহেরকে তিনি হত্যা করেন। সতেরো হাজার সেনা কর্মকর্তাকে তিনি বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসির দড়িতে ঝোলান। যারাই তার বিরুদ্ধবাদ করেছেন, তাদের তিনি নির্মমভাবে দমন করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এইরকম, নির্মম, নিষ্ঠুর এক নায়ক কখনো দেখা যায়নি। 

৩. জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে পুনর্বাসিত করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন শাহ আজিজুর রহমানকে। এরপর তিনি যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে দেশে আসার অনুমতি দেন। তিনি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সুযোগ করে দেন এবং তিনি জামাতকে আবার পুনর্বাসিত করেন রাজনীতিতে।

৪. জিয়াউর রহমান রাজনীতিকে ক্রিটিক্যাল করার নামে, লুটেরা, কালোটাকার মালিক, দুর্বৃত্তদের রাজনীতিতে আনেন।

৫. রাজনীতিতে সন্ত্রাস, অস্ত্র এবং পেশীশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া শুরু করেন জিয়াউর রহমান।

ফলে ইতিহাসের বিবেচনায় বলাই যায় যে, জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে নিষ্ঠুর একনায়কদের অন্যতম। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭