ইনসাইড হেলথ

করোনাকালে আশা জাগাচ্ছে টেলিমেডিসিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 03/06/2020


Thumbnail

টেলিমিডিসিন হচ্ছে দূর চিকিৎসা। শহর থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা পৌছে দেবার যে প্রক্রিয়া এটিই টেলিমেডিসিন নামে পরিচিত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় টেলিমেডিসিন সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থসেবার মানোন্নয়নে একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশ এখন বেসামাল। লকডাউনের মধ্যে সবার জন্য সামাজিক দূরত্ব রক্ষা অপরিহার্য। চিকিৎসক রা অনেকেই মহামারী থেকে বাঁচতে চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ অবস্থায় সময়ের প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবায় নতুন ধারার সৃষ্টি হয়েছে। তা হলো টেলিমেডিসিন সেবা। এই টেলিমেডিসিন সেবা হলো ভিডিও কলের মাধ্যমে রোগী দেখা এবং রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেয়া। করোনা বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন এর অগ্রযাত্রাকে সমৃদ্ধ করে দিয়েছে। দেশে টেলিমেডিসিন সেবায় কার্যত বিপ্লব ঘটে গেছে।

করোনার কারণে অধিকাংশ হাসপাতাল সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে। অনেক হাসপাতাল করোনা থেকে বাঁচতে রোগী ভর্তিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে বিপদে পড়েছেন সাধারণ ডায়াবেটিস, কিডনী, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন অসুখে ভোগা রোগীরা। এসব রোগীরা স্বাভাবিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাছাড়া মফস্বল বা পল্লী অঞ্চলের অনেক রোগীর ঢাকা এসে পয়সা খরচ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর সামর্থ নেই। বা কোন জটিল রোগী যাকে চিকিৎসকের কাছে আনতে দেরি হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন রোগীরা। করোনার সময়েও রোগীদের স্বাভাবিক সেবা পেতে, এমন ব্যবস্থা করে দিয়েছে প্রযুক্তি। টেলিফোনে, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ফেসবুক ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে সরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুরু করে প্রাইভেট হাসপাতাল। সেইসাথে এমন সেবা চালু করেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন, ব্যাংক ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। ২৬ মার্চ থেকে করোনার বিশেষ ছুটি চলছে। ছুটি চলাকালীন সময়ে লকডাউনে দেশে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্যসেবা বা টেলিমেডিসিন এর চাহিদা তীব্রভাবে বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরাও সংক্রমন হতে পারে এমন জায়গায় থাকতে চান না। আর স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে টেলিমেডিসিন সেবা পদ্ধতি চিকিৎসক ও রোগী উভয়ের জন্য একটি সহজ সমাধান। এটা এক ধরণের অবিশ্বাস্য বিষয়। করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে এটা একটি সফল মাধ্যম। একই সঙ্গে এটা শুধু বর্তমানই নয়। ভবিষ্যতের জন্যও একটি সফল মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে এবং বাড়বে বলে উল্লেখ করেন তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টেলিমেডিসিন সেবা ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন’ চালু করে। শুরুতে দিনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ফোন কল আসতো। কিন্তু এখন এই ফোন কলের পরিমাণ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীসহ সারাদেশের অধিকাংশ হাসপাতাল এই টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে। করোনার কারণে গত মার্চ থেকে ব্যাপক পরিসরে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়। আর প্রতিদিনই এই সেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭