ইনসাইড আর্টিকেল

মধুকবি: ৪৯ বছরের জীবনটাই যার মহানাটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 29/06/2020


Thumbnail

কে বাংলা সাহিত্যকে প্রথম নাটক ও প্রহসনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন? কে প্রথম বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতা রচনা করে বাংলা কবিতার এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন? কে চিরাচরিত বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণের জনক? এসব প্রশ্নের উত্তরে একজনের নামই আসে- মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম এই ব্যক্তিত্ব স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এ সাহিত্যে এনেছিলেন ভিন্ন চিন্তা, কল্পনা ও সৃষ্টির এক সুবিশাল ঢেউ। অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন বাংলা কবিতার জগতে চিরকালই এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। বাংলায় নাটক ও প্রহসন লেখার সূচনা করে তিনি এই সাহিত্যকে সবসময়ের জন্য তার কাছে ঋণী করে গেছেন। মধুসূদনের ৪৯ বছরের ছোট জীবন একদিকে যেমন ছিল সৃষ্টিতে পরিপূর্ণ, অন্যদিকে দুঃখ, কষ্ট আর যন্ত্রণার এক অগ্নিপরীক্ষা। মধুকবির জীবনের কয়েকটি ঘটনাই একটু দেখে নেওয়া যাক-

সালটা ১৮৩৩, কলকাতায় এসে খিদিরপুর স্কুলে দু’বছর পড়ার পর মধুসূদন ভর্তি হলেন তৎকালীন হিন্দু কলেজে (অধুনা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়)। তার বহুমুখী প্রতিভার বিকাশের সূত্রপাত এই অধ্যয়নকালেই। কলেজে সহপাঠী হিসাবে পেলেন রাজনারায়ণ বসু, ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, গৌরদাস বসাকের মতো একঝাক জ্যোতিষ্কদের। তবে ওই বয়সেই স্বকীয় মেধায়, মননশীলতায় তিনি ছাপিয়ে গিয়েছিলেন বাকিদের। ভর্তির পরের বছরেই কলেজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের লেখা ‘নাট্য-বিষয়ক প্রস্তাব’ আবৃত্তি করে হয়ে উঠলেন সকলের মধ্যমণি।

পাশাপাশি সেইসময় হিন্দু কলেজে আধিপত্য করছেন ডিরোজিও’র অনুগামীরা, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন মধুসূদনও যোগ দিলেন ইয়ং-বেঙ্গলে। সমাজের গোঁড়া ধর্মান্ধতা, কুসংস্কারের বিপ্রতীপে শিক্ষা আর যুক্তির স্বচ্ছ আলোয় শানিয়ে নিতে শিখলেন দেখার চোখ। তাঁর ধারণা ছিল, বিদেশে যেতে পারলেই বড়ো কবি হওয়া যাবে। তাই তখন থেকেই ভারতীয় রীতিনীতির চেয়ে যা-কিছু ইউরোপীয়, তার উপরেই ছিল ‘মনের যোল আনা টান, আঠারো আনা আস্থা’।

একবার কলেজ চত্বরে খবর ছড়াল, স্ত্রীশিক্ষা বিষয়ে ইংরাজিতে একটি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা হবে, তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীকে সোনা এবং রুপোর মেডেল দিয়ে পুরস্কৃত করবেন রামগোপাল ঘোষ। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে কেবলমাত্র প্রথম আর দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রেরাই। তবে খবরটা কানে পৌঁছানো মাত্র দুই শ্রেণিরই ইয়ং বেঙ্গল-ঘেঁষা ছাত্ররা জানিয়ে দিল, তারা প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না। অধিকাংশ ছাত্ররাই যোগ দিতে অনিচ্ছুক দেখে বন্ধু তথা সহপাঠী মধুসূদনকে অনেক বুঝিয়ে শেষমেশ রাজি করালেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়।

যথাসময়ে প্রতিযোগিতা হল, এবং কিছুদিন পর ফলাফল বেরোতে দেখা গেল, মধুসূদন প্রথম হয়েছেন। ইংরাজি ভাষায় তাঁর অসাধারণ দক্ষতার পুরস্কার স্বরূপ স্বর্ণপদক পেলেন মধুসূদন। তবে সোনার মেডেল পাওয়ার পরেও এমন সোনার টুকরো ছাত্রকে নিয়ে মিস্টার রিজ কিন্তু মনে মনে অখুশিই। ডি. এল. রিজ তখন হিন্দু কলেজের প্রথম আর দ্বিতীয় শ্রেণীর অঙ্কের শিক্ষক। ক্লাসে ঢুকেই দেখেন, গণিত গেছে চুলোয়, মধুসূদন পড়ছেন ইংরাজি সাহিত্যের বই। শেক্সপিয়র অথবা মিলটন। আবার কোনো কোনো দিন হয়তো নিজেই কবিতা লিখছেন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে একই বেঞ্চে পাশাপাশি দুই বন্ধু, অর্থাৎ মধুসূদন এবং ভূদেব। অঙ্কের প্রতি বন্ধুর এমন অমনোযোগ দেখে তিনিও বেশ বিচলিত হয়ে ওঠলেন। মধু যদি আদৌ মন না দেয়, তাহলে তো পরীক্ষায় নির্ঘাত ফেল। কী করে বাঁচানো যায়?

“মধু, অঙ্কের দিকে তোমার মনোযোগ দেওয়া উচিত, না দেওয়ার ফল কী হতে পারে, তাও অজানা নয় তোমার”।

মধুসূদন নির্বিকার। তখনতার শয়নে-স্বপনে শুধুই শেক্সপিয়র আর শেক্সপিয়র। বিরক্ত হয়ে ভূদেব একদিন বলেই ফেললেন শেষ পর্যন্ত –

“দ্যাখো মধু, নিউটন ইচ্ছে করলে শেক্সপিয়রের মতো কবি হতে পারবেন, কিন্তু চাইলেই শেক্সপিয়র কখনোই নিউটন হয়ে উঠতে পারবেন না। গণিতের জন্যে দরকার দৃঢ় অধ্যবসায় আর মনোযোগ”।

নিজের কবি হওয়ার সংকল্পে অটুট থাকলেও, প্রিয় বন্ধু ভূদেবের কাছ থেকে এমন কঠিন ভর্ৎসনা যেন তাঁর বুকে বিঁধল বিষ-মাখানো তিরের ফলার মতো। জবাবে হয়তো ভেবেছিলেন বলবেন –

“দ্যাখো ভূদেব, আমি যে অঙ্ক পারি না বলেই করি না, তা ঠিক নয়। করি না, যেহেতু করতে পছন্দ করি না”।

কিন্তু কথায় জবাব না দিয়েই সেদিন বেরিয়ে গেলেন কলেজ থেকে। অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদ্ভাবক তো আর এত সহজে হাল ছেড়ে দিতে পারেন না। মনের ভেতর-ভেতর শুরু করলেন এক যজ্ঞের আয়োজন। তিনি রোজকার মতো স্বাভাবিকভাবেই কলেজ যেতেন আবার ফিরে আসতেন। মাঝের সময়ে, কলেজের ক্লাসে যেমন তার কবিতায় তন্ময় হয়ে থাকা, তাও আগের মতই। ফলে কেউই টের পায় না, কতখানি দীর্ঘ সময় দিয়ে গোপনে তিনি চর্চা করে চলেছেন অঙ্কের জটিল সমস্ত সমস্যাবলী। তিনি পণ করছিলেন যেভাবেই হোক অঙ্ক তাকে শিখতেই হবে, সসম্মানে পাশ করতেই হবে অঙ্কে। তা না হলে যে অপমান হবে, সে তো শুধু তাঁর নয়, শেক্সপিয়রেরও।

এইভাবেই প্রায় মাস তিনেক কেটে গেছে। একদিন ক্লাসে এসে রিজ সাহেব এমন কঠিন একটা অঙ্ক দিয়েছেন, ক্লাসের বাঘা-বাঘা ছাত্ররাও কুপোকাত। পাশে বসা ভূদেব হঠাৎ অবাক হয়ে দেখলেন, মধুসূদন ঘাড় নুইয়ে অঙ্কের খাতায় নিবিষ্ট। শুধু নিবিষ্টই নয়, প্রায় শেষও করে এনেছেন উত্তর। তা দেখে বন্ধুর গর্বে গর্বিত ভূদেব রিজকে জানালেন,

“স্যার, মধু পেরেছে”।

“তাই নাকি? মধু?”

রিজ সাহেব ডাকলেন মধুসূদনকে।

“মধু, বোর্ডে অঙ্কটা কষে দেখিয়ে দাও তো সবাইকে”।

নিপুণ চিত্রকর যে ক্ষিপ্রতার সাথে ক্যানভাসে তুলির আঁচড় কাটেন, বোর্ডে গিয়ে মধুসূদনও ঠিক সেভাবেই এক নিঃশ্বাসে অঙ্কের সমাধান করে দেখিয়ে দিলেন যে তিনি চাইলেই তা পারেন। রিজের ঠোঁটের কোণে যেন ফুটে উঠল হালকা একটা হাসির রেখা। এদিকে ক্লাসের ছাত্ররা তো অবাক। এও কি সম্ভব? সারাদিন সাহিত্যে ডুবে থাকা মধু কষে ফেলল সবচেয়ে কঠিন অঙ্কটা?

ক্লাস শেষে, স্যার বেরিয়ে যেতে মধুসূদন ঘুরে তাকালেন ভূদেবের দিকে।

“কেমন ভূদেব? শেক্সপিয়র যে চেষ্টা করলেই যে নিউটন হতে পারেন, প্রমাণ পেলে তো?”

ভূদেব আলিঙ্গনে জড়ালেন সুহৃদ মধুকে। তবে তাঁর জন্য আরও চমক তখনও অপেক্ষা করছে। মধুসূদন বললেন, “কিন্তু এটা আরম্ভ নয়। এইখানেই আমার গণিত শিক্ষার ইতি”।

ভূদেব যেন শুনলেন আরো একটু বেশি।

“আমি যে হতে চাই বিরাট কবি। গণিত কী করে হবে আমার অমৃত?”

১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামের সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মধুসূদন দত্ত। বাবা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতা সদর দেওয়ানি আদালতের খ্যাতনামা উকিল, মা জাহ্নবী দেবী ছিলেন জমিদারকন্যা। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন মধু। জন্মের সময় যে সন্তানের জন্মের খুশিতে পিতা প্রজাদের রাজস্ব কমিয়ে দিয়েছিলেন, সেই সন্তানকেই একদিন ত্যাজ্য করেছিলেন তিনি।

জমিদারকন্যা হওয়ার সুবাদে মায়ের জ্ঞানচর্চার সুযোগ ঘটেছিলো। তাই মায়ের কাছেই হয় মধুসূদনের পড়ালেখার প্রথম পাঠ। মায়ের হাত ধরেই পরিচিত হন নিজ ধর্ম, দেব-দেবী, রামায়ণ, পুরাণ কিংবা মহাভারতের সাথে। কিন্তু গৃহশিক্ষা অচিরেই শেষ হয়ে যায় মধুসূদনের, পরবর্তী শিক্ষা হয় পাশের গ্রামের এক ইমাম সাহেবের কাছে।

ছোটকালেই আরবি, বাংলা ও ফারসি ভাষায় বেশ দক্ষ হয়ে ওঠেন মধু। জ্ঞানলাভ করেন সংস্কৃত ভাষাতেও। এক্ষেত্রে বলে রাখতে হয়, মোট তেরোটি ভাষাতে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তিনি। মাত্র তেরো বছর বয়সে যশোর ছেড়ে কলকাতায় চলে আসতে হয় তাকে, ভর্তি হন স্থানীয় এক স্কুলে। এই স্কুল থেকে পাশ করে তিনি ভর্তি হন হিন্দু কলেজে। এই কলেজে পড়ার সময় তার মনে সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ জন্ম নেয়, হৃদয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিদেশ যাওয়া আর বিশ্বকবি হওয়ার অদম্য বাসনা। নিজের পিতৃপুরুষের সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রতি কবির মনে একধরনের অবহেলার সঞ্চার হয়, হিন্দুদের অবজ্ঞা করে `হিঁদেন` বলে ডাকতে শুরু করেন তিনি। এই অবজ্ঞা আর অবহেলাই কবিকে মাত্র উনিশ বছর বয়সে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণে উৎসাহী করে তোলে।

১৮৪৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, আগের দিন থেকে মধুসূদন নিরুদ্দেশ। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করবেন। ঐদিন ওল্ড মিশন চার্চ নামক এক অ্যাংলিক্যান চার্চে মাইকেল খ্রিস্টান ধর্ম ও `মাইকেল` নাম গ্রহণ করেন। কয়েকদিন থেকেই মধুসূদনের ধর্মত্যাগের কথা দেশে রাষ্ট্র হয়ে গেছিলো, তাই উৎসুক জনতার ভিড় ও কোনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে আগে থেকেই গির্জার চারদিকে সশস্ত্র পাহারা বসানো হয়েছিলো। মাইকেল মধুসূদন দত্ত নতুন ধর্মে দীক্ষা নেওয়ার পর কয়েকদিন গির্জার মধ্যেই অবস্থান করেন। তবে এই নিজ কূল ও ধর্মত্যাগ তার জন্য সুখকর হয়নি। এর ফলে তিনি হারিয়েছিলেন নিজের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, এমনকি নিজের বাবা-মাকেও। পিতার ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণার কারণে জমিদারী থাকা সত্ত্বেও নিদারুণ অর্থাভাবের মধ্য দিয়ে তার জীবন কাটে, এমনকি কপর্দকহীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

ব্যক্তিজীবনে মধুসূদন মাদ্রাজে যাওয়ার পর প্রথমে বিয়ে করেন রেবেকা ম্যাকটিভিস নামের এক যুবতীকে। উভয়ের দাম্পত্যজীবন স্থায়ী হয়েছিলো আট বছর। রেবেকার অসহিষ্ণুতা ও কষ্ট স্বীকারে অনভ্যস্ত জীবন মধুর দারিদ্র্যক্লিষ্ট ও অগোছালো জীবন মেনে নিতে পারেনি। তাদের বিচ্ছেদের পরে কবি বিয়ে করেন সোফিয়া (মতান্তরে হেনরিয়েটা) নামের এক ফরাসি নারীকে। এই বিবাহ তাদের আজীবন স্থায়ী হয়। তাদের ঘর আলো করে এসেছিলো তিন সন্তান- শর্মিষ্ঠা, মিল্টন ও নেপোলিয়ন।

ভাগ্যের খোঁজে নিজের স্ত্রী-সন্তানকে দেশে রেখে কবি ইংল্যান্ডে যান। সেখানে অভাব ও বর্ণবাদের কারণে বেশিদিন টিকতে পারেননি। ১৮৬০ সালে ইংল্যান্ড থেকে চলে যান ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে, চরম অর্থসংকটের মধ্যেও তিনি সেখানে তার আইনের পড়াশোনা শেষ করতে পেরেছিলেন। তাতে তাকে সাহায্য করা যে একজন মানুষের কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আরো অনেকের পাশাপাশি তিনি বাংলা সাহিত্যের এই কাণ্ডারীকেও দুর্দিনে আপ্রাণ সাহায্য করেছিলেন। সেখান থেকে এসে কলকাতার আদালতে কিছুকাল আইন ব্যবসার চেষ্টা চালালেও সফল হননি।

মধুসূদনের সমস্ত পৈত্রিক সম্পত্তি প্রায় সবই দখল করে নেয় তার আত্মীয়স্বজন। যে আপনজনদের চিরকাল পরম আত্মীয় বলে জেনে এসেছিলেন তিনি, কালের চক্রে তাদেরই পরিবর্তিত রূপ জীবনের চরম বাস্তবতা শিখিয়ে দেয় তাকে। জমিদারের পুত্র হয়েও শেষ জীবনে অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে অসমর্থ হন তিনি। ১৮৭৩ সালে কলকাতার হেনরি রোডের বাড়িতে শয্যাশায়ী স্ত্রীর পাশের কক্ষে নিদারুণ রোগ ভোগ করতে থাকেন তিনি। মৃত্যুর আগে আশ্রয় নিয়েছিলেন অলীপুরের দাতব্য চিকিৎসালয়ে। স্ত্রীর মৃত্যুর তিনদিন পর, ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন অর্থাৎ আজকের দিনে বাংলা সাহিত্যের এই নক্ষত্রের জীবনের ইতি ঘটে।

সূত্র: বঙ্গদর্শন



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭