লিভিং ইনসাইড

বিচ্ছেদও হতে পারে অপরূপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 29/06/2020


Thumbnail

আধুনিক সময়ে বিচ্ছেদ অনেকটাই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সাথে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদের ধারনাটাও প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেটে থাকে। এতে করে অনেকে আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হয়ে উঠে। ফলে একটু স্বাধীনচেতা হতে গিয়ে অনেক সময় এমন পরিণতি ডেকে আনে। অবশ্য শিক্ষিত হলেই যে এমনটা হয়, গবেষণা ছাড়া এমন কথা বলা যায় না। কিন্তু এটা বলা চলে যে ব্যক্তি বিশেষের উপর এটা নির্ভর করে। নানা কারণে বিচ্ছেদ কিংবা সম্পর্ক টেনে নিতে কেউ নাই চাইতে পারেন। তাই বলে সম্পর্কের ইতিটা খুব খারাপভাবে করা দরকার কি! দুজনে মিলে বুঝাপড়ার মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে সম্পর্কটা শেষ করতে পারেন। বন্ধ করে দিতে পারেন একসাথে জীবনের পথ চলা। কিন্তু বন্ধুত্বটা থেকে যাক। তাই চলুন জেনে নেই কিভাবে সম্পর্কে ইতি টানতে পারেন সেই বিষয়ে।
      
পারস্পরিক বুঝাপড়া

কোনও বিচ্ছেদই যেমন কাম্য নয়। তেমনি একসাথে থাকা না গেলে একটা মৃত সম্পর্ককে অহেতুক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মানেও হয় না। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কোনও সম্পর্ককেই আর চিরকালীন বলা যায় না। এই হাতে হাত রেখে পথ চলা, তো এই দুজনের পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে। চুক্তির মুক্তি ঘটিয়ে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকা। তবে যে কোনও ক্ষেত্রে বিচ্ছেদের পর সম্পর্ক কিভাবে এগোবে। সেটা একটা বড় প্রশ্ন চিহ্নের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তাই সবার আগে নিজেদের মধ্যে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করুন। পারস্পরিক বুঝাপড়ার মাধ্যমে নিজেরাই ঠিক করুন করণীয় সম্পর্কে। এতে করে মামলা মোকদ্দমা কিংবা আইন আদালতের ঝামেলা করতে হবে না। 

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক

আধুনিক সময়ে বিচ্ছেদ কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে বিচ্ছেদ মানে কিন্তু চির শত্রু হয়ে যাওয়া নয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে বেরোনো যায়। চাইলে পরে আগের মতো বন্ধু থাকা সম্ভব। সম্পর্কের একটি বিশেষ পরিণতিতে ইতি টানি আমরা। কিন্তু তার মানে কিন্তু মানুষটাকে নিজের জীবন থেকে বাদ দেওয়া নয়। হয়তো আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বুঝাপড়া ঠিকভাবে হচ্ছিল না। কিংবা আমরা একে অপরের প্রতি সম্মান দেখাতে পারছিলাম না। তাই বলে এই নয় যে, আমরা একে অন্যের শত্রু হয়ে উঠেছি। আমরা একে অন্যের অনিষ্ট কামনা করি। সম্পর্কের ইতি টানলেও পরিচয় থেকে যায়। থেকে যায় বন্ধুত্ব।

প্রেম ভেঙ্গে গেলে

এক সঙ্গে অনেকদিন পথ চলা। ভালো, মন্দ দুধরনের স্মৃতি থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু অপর প্রান্তের মানুষটির ওপর রাগ পুষে রাখবেন না। মনটা একটু বড় করে দেখুন। সম্পর্কে তিক্ততার মধ্যে দিয়ে শেষ না করে, হালকা যোগাযোগ রাখুন। পারলে বন্ধু থাকুন। জীবনের অন্য কোনও বাঁকে এই বন্ধুটিই হয়তো আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। ভবিষ্যতে অন্য কোনও সম্পরকে জড়ালে তাঁর সঙ্গেও প্রাক্তনের দেখা করান, সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। জীবন খুব ছোট, মালিন্য রাখবেন না। সুন্দর স্মৃতি মনে রাখুন। বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে সে সব নিয়ে খোলামেলা আলোচনাও করুন।

বিয়ে ভাঙলে

বিয়ে ভাঙা মানেই জীবন শেষ। এমন ধারণা নিয়ে পড়ে থাকবেন না। আশেপাশের কেউ এরকম ভাবলে। তাকেও ভাবনার বদল আনতে সাহায্য করুন। একটি বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে অন্য সম্পর্কতে যাওয়া যায় বৈধভাবে। সেক্ষেত্রে আপনার প্রাক্তন স্বামী অথবা স্ত্রীয়ের সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন। রাস্তা ঘাটে দেখা হলে যাতে মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে না হয়। সেইটুকু সখ্য বজায় রাখুন। সন্তান থাকলে কিছু বাড়তি দায়িত্ব থেকে যায়। সন্তানকে অল্প বয়সেই বাবা মায়ের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিন। তবে নিজেদের মধ্যে মনমালিন্য হলে সন্তানকে বুঝতে না দেওয়াই ভালো। বিচ্ছেদের পরেও সন্তানের দায়িত্ব কিন্তু বাবা-মাকে ভাগ করে নিতে হবে। আর নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখুন। যাতে সন্তান নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭