নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 02/07/2020
করোনা পরীক্ষা নিয়ে এমনিতেই মানুষের নাজেহাল অবস্থা। পরীক্ষা করার জন্য দীর্ঘ লাইন দিতে হচ্ছে। নানা রকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তার মধ্যে প্রথমে ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল বুথে গিয়ে পরীক্ষা করলে দুইশো টাকা, বাড়িতে ৫০০ টাকা।
আজ বেসরকারী হাসপাতালগুলোর জন্য নতুন নিয়ম ঘোষণা করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বললো যে বেসরকারী হাসপাতাল যদি বাড়িতে এসে পরীক্ষা করে তাহলে সাড়ে চার হাজার টাকা, হাসপাতালে পরীক্ষা করলে সাড়ে তিন হাজার।
সরকারী এবং বেসরকারী হাসপাতালের মধ্যে এই আকাশ পাতাল পার্থক্য কেন? এর ফলে গরীব মানুষরা হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনৈতিক এই মন্দার বাজারে এমন বিপুল টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের পরীক্ষা করা সম্ভব না। তাহলে কি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেনে বুঝে মধ্যবিত্ত মানুষের পরীক্ষার পথ বন্ধ করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিলো?
করোনা মোকাবিলার শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল। এটি আরেকটি চরম জনস্বাস্থ্য বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরীক্ষার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছিল। প্রথমে আইইডিসিআরকে দিয়ে দিনে ১০০ পরীক্ষা করানো হচ্ছিল। বারবার বিশেষজ্ঞরা বলছে, বেশি পরীক্ষা করাতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে বলছে টেস্ট টেস্ট টেস্ট। করোনা ঠেকানোর এটাই একমাত্র উপায়। সেখানে শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই করোনা পরীক্ষা নিয়ে নানা রকম ছলচাতুরি করছে। পরে যখন তারা আরটি পিসিআর মেশিন আনলো তা ২০০৯ মডেলের। যেখানে বেশি পরীক্ষা করার সক্ষমতা নেই। আবার এখন এই অবাস্তব মূল্য ধার্য করা হয়েছে। যে টাকা দিয়ে এখন বাংলাদেশের খুব কম মানুষেরই পরীক্ষা করা সম্ভব।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭