ইনসাইড আর্টিকেল

ঐতিহাসিক যত পর্যটন স্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 03/07/2020


Thumbnail

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থান। এসব ঐতিহাসিক স্থানের কয়েকটির গুরুত্ব অনেক ক্ষেত্রেই আগের চেয়ে কমেছে। কিন্তু তবুও প্রতি বৎসর এসব স্থান ভ্রমনের প্রচুর পরিমাণ পর্যটক ভিড় করে। যেমন- ব্রিটিশদের রাজধানী কলকাতা শহরের কথাই যদি ধরেন। শাসনতান্ত্রিক বা প্রশাসনিক দিক থেকে কলকাতার গুরুত্ব আর আগের মতো নেই। কিন্তু তবুও কি কলকাতা গুরুত্ব কমেছে! প্রতি বৎসর লাখ লাখ পর্যটক এখানকার ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখার জন্য ভিড় করে। একই রকম অবস্থা নিউইয়র্কেরও। শুধু প্রাচীন ঐতিহ্যের কারণেই এসব শহরে প্রচুর পরিমাণ পর্যটক আসে। চলুন জেনে নেই এমন কিছু ঐতিহাসিক প্রাচীন পর্যটন স্থান সম্পর্কে।  
   
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, জিম্বাবুয়ে

অপরূপ সুন্দর ঝর্না ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত অবস্থিত জিম্বাবুয়ের বর্ডার ও জিম্বাজি নদীর কোন ঘেঁষে। এটি পৃথিবীর সবথেকে বড় কিংবা প্রশস্ত জলপ্রপাত নয়। জলপ্রপাতটি ২ কিলোমিটার প্রায় মাইল জায়গা জুড়ে এবং ৩৫৪ ফুট উঁচু। প্রায় ২০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এটি রোমহর্ষক কুয়াশার সৃষ্টি করে। যা ‘গুড়ুম ধোঁয়া’ নামে সেই অঞ্চলে পরিচিত। এই স্থানের পরিদর্শক আগে জিম্বাবুয়ের বেশি হতো। তবে আজকাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার পরিদর্শক এইখানে বেড়াতে আসে। ট্রেন কিংবা বাস দিয়েও এই জলপ্রপাত দেখতে যাওয়া যায়।

তাজমহল, ভারত

ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। সৌধটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে। আর সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে। অবশ্য নির্মাণের পর থেকেই তাজমহল বহু পর্যটককে আকর্ষিত করেছে। বর্তমানে, তাজমহলে ২ থেকে ৩ মিলিয়ন পর্যটক আসে যার মধ্যে ২ লাখ পর্যটক বিদেশী। ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান এটি।

ভেনিস, ইতালি

ভেনিস একটি উপহ্রদ। ইতালির এই উপহ্রদটি শুধুম আশ্চর্যজনকই নয়। বরং সংরক্ষক ও বটে। ভেনিস তার এই সৌন্দর্য্য ৬০০ বছর ধরে ধরে রেখেছে। এ শহরে প্রায় ১১৮ টি দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। অনেক দর্শক এখানে ভিড় জমায় খ্যাতি ও অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গার কারণে। শহরের সবথেকে প্রাচীনতম দেয়ালটি ৩২৫ ফিট উঁচু লম্বা ভিত্তি প্রস্তর। সাধারনত এটাতে লোকে লিফটের মাধ্যমের উঠে। কিন্তু প্রাচীনকালে রোমান সম্রাট ৩য় ফ্রেডরিক ঘোড়ায় সওয়ার হতেন। সেন্ট মার্ক এর রাজপ্রাসাদ এবং সান মার্কো অন্যতম দুইটি ভ্রমণ আকর্ষণ। এটি বিশ্ববিখ্যাত হওয়ার কারণ হলো ভেনিসের দ্য লিডো দি ভেনেজিয়া।

ফেইরি পুলস, স্কটল্যান্ড

ফেইরি পুল যার বাংলা করলে দাঁড়ায় পরী পুল। এটি গ্লেন ভঙ্গুর সৈকত থেকে দুই মেইল দূরে অবস্থিত। গ্লেন ব্রিটেল ফরেস্ট থেকে আসা ধোয়ার এরা একটি বড় অংশ। যা খুব স্পষ্ট শান্ত স্ট্রিম এবং সুন্দর জলপ্রপাত প্রবাহ সৃষ্টি করে। মজার বিষয় হলো বরফ শীতল পানিতে আপনি সাতারের আনন্দ নিতে পারবেন। তবে এটি গ্রীষ্মকালেও বেশ ঠান্ডা থাকে। যাতায়াত ব্যবস্থা এতটা ভাল না এখানে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ও তেমন একটা নেই। তবে আপনি নির্মেঘ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন পুল দিয়ে হেঁটে হেঁটে। যাইহোক, এই জায়গায় পর্বতারোহী, পর্বত বাহককারী, বন্যপ্রাণি বিষয়ক অধ্যয়ন প্রেমীদের জন্য আনন্দদায়ক একা সময় কাটাতে বেশ উপযোগী।

গ্রেট ব্লু হোল

একটি বড় ডুবো সিঙ্কহোল, গ্রেট ব্লু হোল বাতিঘর রীফ কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থিত। এটি একটি বিশেষ ডাইভিং গন্তব্য। যার গভীরতা ৪০৭ ফিট এবং ৯৮৪ ফুট চওড়া। এবং পরিষ্কার পানি এবং সুন্দর সামুদ্রিক জীবন সমৃদ্ধ। আপনি যদি পানিতে ডাইভ করতে ভালবাসেন তাহলে আপনার জন্য এটাই আসল জায়গা। তার সৌন্দর্য্যের কারণে গ্রেট ব্লু হোল এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা তালিকায় আছে। কারণ ২০১২ সালে ডিসকভারি চ্যানেল এর এক রিসার্চে গ্রেট ব্লু হোল পৃথিবীর ১০ সবচেয়ে আশ্চর্যজনক স্থানের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল। এটি একটি সস্তা অভিজ্ঞতা না যদিও, এর জন্য ভাল মাপের খরচ করা প্রয়োজন।

ইনকা সভ্যতা, মাচুপিচু

১৯১৩ সালে আবিষ্কৃত হয়ে ইনকাদের হারানো শহর হিসাবে পরিচিত লাভ করে। ধ্বংসাবশেষ যা সাদা গ্রানাইট ব্লক তৈরি সুন্দর এবং সাবধানতার সাথে লাগানো। এখানে অনেক সুন্দর মন্দির, বাসস্থান, পার্ক ও অভয়ারণ্য আছে। যদি আপনি ইতিহাস প্রেমী হয়ে থাকেন। বলা হয়ে থাকে একটি বিশেষ কারণে এই শহরে তৈরি হয়েছিল।

গ্রেট ওয়াল, চীন

সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার ব্যাপী বিস্তৃত চীনের এ মহাপ্রাচীরটি বিশ্বের মানবসৃষ্ট অন্যতম বড় নিদর্শন।

গ্রেট রিফট ভ্যালি, ইথিওপিয়া

প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার ব্যাপী বিস্তৃত এ এলাকাটি বিশ্বের বৃহত্তম ফাটলের ফলে সৃষ্ট উপত্যকা। রেড সি থেকে লেক মালাউয়ি পর্যন্ত বিস্তৃত এ এলাকাটি ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চওড়া।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭