ইনসাইড আর্টিকেল

বিভিন্ন ধর্মের যত উৎসব ও পবিত্র দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 04/07/2020


Thumbnail

ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে মুসলিমরা যেমন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে। সেইসাথে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে মসজিদে জুম্মা আদায়ের পাশাপাশি পবিত্র মাহে রমজানে রোজা পালন করে। তেমনি অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের অনুসারীরাও এই রকমভাবে বিভিন্ন উৎসব পালন করে থাকে। প্রতিটি ধর্মেই রয়েছে বেশ কিছু উৎসব ও পবিত্র দিন। যেমনঃ হিন্দুরা দুর্গা পূজা, সরস্বতী পূজাসহ বিভিন্ন পূজা ও উপবাস পালন করে থাকে। সেইসাথে একটা নির্দিষ্ট দিনে মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করে থাকে। তাই চলুন জেনে নেই ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্মের উৎসব ও পবিত্র দিনগুলো সম্পর্কে জেনে নেই। 

ইহুদি ধর্মঃ

পাস ওভার

মিশরীয়দের দাসত্ব থেকে ইহুদিদের মুক্তি পাওয়ার উপলক্ষে এই উত্সব। আট দিনের উত্সবের প্রথম সন্ধ্যায় বিশেষ ভোজনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘হাগাদা’ থেকে ‘পাস ওভার’-এর কাহিনি পাঠ করা হয়। এই ভোজের খাদ্য ও বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। সাবাথ

ঈশ্বর ছয় দিনে বিশ্ব নির্মাণ করে সপ্তম দিন বিশ্রাম নিয়েছেন। এই বিশ্বাস থেকেই ইহুদি সম্প্রদায় প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত সাবাথ পালন করেন। ইহুদিদের কাছে সাবাথ বিশ্রামের সময়। সন্ধেবেলা মোমবাতি জ্বালানো, এক সঙ্গে খাওয়াদাওয়া আর সিনাগগে গিয়ে প্রার্থনায় অংশ নেওয়া — এই সব মিলিয়েই সাবাথ উদযাপন।

রোশ হাশানা

ঈশ্বরের মানুষকে সৃষ্টি করার দিনটিকে ইহুদিরা নববর্ষ হিসেবে পালন করেন। ‘রোশ হাশানা’র দু’দিনে ঈশ্বর তাঁর বিচার সম্পূর্ণ করেন এবং মানবজাতির ভবিষ্যত নির্ধারণ করে দেন। এই উত্সবের দিনেই ইহুদিরা ঈশ্বরের কাছে কৃতকর্মের জন্য বিচার প্রার্থনা করেন এবং ঈশ্বরের ক্ষমা ও অনুগ্রহ ভিক্ষা করেন। এই উত্সবের মাধ্যমেই ইহুদি নববর্ষের সূচনা হয়।

হানুক্কর

নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসে আলোর উত্সব হানুক্কর পালিত হয় আট দিন ধরে।

ইয়োম কিপপুর

‘রোশ হাশানা’–র দশ দিন পর এই উত্সব পালিত হয়। এই দিনেই ঈশ্বর ইহুদিদের ক্ষমা প্রদর্শন করেছিলেন। এই দিন ইহুদিরা যাবতীয় পাপ ও অশুভ কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্তের জন্য উপবাস পালন করেন ও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে প্রায়শ্চিত্ত করেন।

খ্রিষ্টান ধর্মঃ

যিশু খ্রিস্টের জন্ময়জন্তী

প্রত্যেক খ্রিস্টানের কাছেই সব থেকে আনন্দের উত্সব যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উদযাপন বা বড়দিন পালন করা। সারা পৃথিবী জুড়েই এই উত্সব ২৫ ডিসেম্বর তারিখে পালিত হয়।

হোলি উইক বা পবিত্র সপ্তাহ

যিশু খ্রিস্টের জীবনের শেষ সপ্তাহের স্মরণে খ্রিস্টান সম্প্রদায় হোলি উইক বা পবিত্র সপ্তাহ পালন করেন। এই সপ্তাহের কয়েকটা দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মন্ডি থারসডে

জীবনের শেষ সপ্তাহে প্রভু যিশু এই বৃহস্পতিবার এই লাস্ট সাপার-এ অংশ গ্রহণ করেন। এই রাতেই তিনি নিজে হাতে তাঁর বারো জন শিষ্যের পা ধুইয়ে দেন। এবং ঘটনাক্রমে এই রাতেই তাঁর এক অন্যতম শিষ্য যে তাঁকে রোমানদের হাতে তুলে দেবেন সে কথা বলেন।

গুড ফ্রাইডে

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটি দু:খের দিন। এই দিন প্রভু যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। এই দিন উপবাস পালিত হয়। গির্জাতেও ঘণ্টাধ্বনি করা হয় না।

ইস্টার সানডে

গুড ফ্রাইডের এক দিন পরের রবিবারটি ‘ইস্টার’ হিসেবে পালিত হয়। মোটামুটি ভাবে ইহুদি ক্যালেন্ডারের ‘নিসান’ মাসের চতুর্দশতম কিংবা পঞ্চদশতম দিন অথবা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ২২ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণের পর এই দিনই প্রভু যিশুর রিসারেকশন বা পুনর্জীবন লাভের ঘটনাটি ঘটে।

এসবের বাইরেও পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা তাদের ধর্মীয় রীতি মেনে পবিত্র দিনগুলোতে বিভিন্ন উৎসব আয়োজন করে থাকে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭