নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 07/07/2020
গালওয়ান উত্তেজনার পর চীনের কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতজানু হয়ে থাকা রূপটা নতুন করে সামনে চলে আসছে। সাধারণভাবে মোদি দেশের যেকোনো সঙ্কটে যেমন হম্বিতম্বি করে সবটুকু আলো কেড়ে নেন, এবার গালওয়ান উত্তেজনায় তাকে একেবারেই সেই রূপে দেখা যায়নি। সমালোচনার মুখে দু’একবার যেটুকু আস্ফালন করতে চেয়েছেন তিনি, সেটাও ছিল অনেকটা বাঘের মুখে ‘মিউ মিউ’ ডাকের মতো। এজন্য শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠছিল যে, মোদি কি চীনের বশ্যতা স্বীকার করে নিচ্ছেন? গতকাল সোমবার এই প্রশ্নের পালে আরেক দফা হাওয়া বইয়ে দিলেন মোদি।
গতকাল ছিল ভারতে নির্বাসিত তিব্বতী ধর্মগুরু দালাই লামার ৮৫ তম জন্মদিন। অন্য বছরগুলোতে প্রকাশ্যে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেও এবার সে পথে হাঁটলেন না মোদি। শুধু মোদি নয়, ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও দালাই লামাকে শুভেচ্ছা জানানোর সৌজন্য দেখাননি। এমনকি মোদির ডান হাত হিসেবে পরিচিত অমিত শাহও তিব্বতি ধর্মগুরুর জন্মদিনের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
১৯৫৯ সালে চীনা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তিব্বত থেকে দলবলসহ পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন দালাই লামা । তারপর থেকেই তাকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে মনে করে বেইজিং। দালাই লামা বহুবার ভারতের সাহায্য নিয়ে চীনের হাত থেকে তিব্বতকে স্বাধীন করার চেষ্টা করেছেন। সেই নেহেরুর আমল থেকেই তাকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক টানাপড়েন চলেছে। কিন্তু প্রায় সব সরকারের আমলেই তিনি শীর্ষ মহল থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন। এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটলো।
কূটনৈতিক মহল মনে করছে, দালাই লামাকে শুভেচ্ছা না জানিয়ে মোদি তার অবস্থান স্পষ্ট করলেন। মোদি বেইজিংকে বার্তা দিলেন যে, তিনি কোনভাবেই চীনকে চটাতে চান না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদি পাকিস্তানের সঙ্গে যতই আস্ফালন করুন না কেন, চীনের সঙ্গে তিনি এর সিকিভাগও করবেন না। কারণ তিনি খুব ভালো করেই জানেন যে, চীনের সক্ষমতার কাছে তার দেশ কিছু না। সুতরাং চীনকে না রাগিয়ে বরং আপসরফা করেই চলতে চান তিনি।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭