ইনসাইড বাংলাদেশ

‘সীমিত পরীক্ষায় সর্বনাশ হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 07/07/2020


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘যে সময়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো দরকার, সে সময়ে পরীক্ষা কমানো হয়েছে। কেন এটা কমানো হয়েছে, সেটা আমার বোধগম্য নয়। কিন্তু এই সীমিত পরীক্ষার কারণে করোনার সংক্রমণ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এবং আমাদের সর্বনাশ হচ্ছে।’ বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর প্রধান উপায় হলো পরীক্ষা, পরীক্ষা এবং পরীক্ষা। আমরা করোনার শুরু থেকেই বলছিলাম, যত বেশি সম্ভব মানুষকে পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। যারা আক্রান্ত তাদের আলাদা করতে হবে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের পৃথক করতে হবে। এটাই হলো করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর উপায়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবিকার প্রয়োজনে সব খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কিন্তু একজন মানুষ যদি পরীক্ষার বাইরে থাকে এবং তার যদি উপসর্গ না থাকে, তাহলে তিনি দ্রুতই অন্যদের করোনা ছড়িয়ে দেবেন। ফলে চারিদিকে করোনা ছড়িয়ে পড়বে। এটা এখন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন, দ্রুত পরীক্ষা। আমরা বলেছিলাম দিনে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের যেন পরীক্ষা করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৩০ হাজার তো দূরের কথা, পরীক্ষা করছে মাত্র ১৪/১৫ হাজার করে। এটি কখনোই কাম্য নয়। কেন পরীক্ষায় দেরি হচ্ছে, কেন পরীক্ষা ধীর গতিতে হচ্ছে, সে সম্পর্কে আমরা কোনো ব্যাখ্যাও পাচ্ছি না। আমরা শুধু দেখছি। প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, সারাদেশে আরটিপিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠার কথা। কিন্তু আরটিপিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও বিলম্ব হচ্ছে। এখন আমরা শুনছি যে পরীক্ষার জন্য যে মেশিনগুলো আনা হয়েছে, সেগুলো পুরনো মডেলের। তাহলে কারা এর সঙ্গে জড়িত, কারা এই কাণ্ডটা করলো, তাদেরকে চিহ্নিত করা দরকার এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এখন শুনছি যে, পরীক্ষার কিটেরও নাকি সংকট দেখা দিয়েছে। সবকিছু মিলে একটা অরাজক অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থা কাম্য নয়। এই অব্যবস্থাপনাগুলো দূর করা দরকার।’

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যদি দ্রুত পরীক্ষা না করা যায়, তাহলে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণেই পরীক্ষার ক্ষেত্রে গাফেলতির জন্য যারা দায়ী, তাদেরকে অবিলম্বে চিহ্নিত করা দরকার এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। কারণ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, করোনার চিকিৎসাকে নিয়ে কোনো রকম দুর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কিন্তু আমরা পত্র পত্রিকায় দেখছি যে, আরটিপিসিআর মেশিন কেনা, কিট ইত্যাদি নিয়ে নানারকম দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এই বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা উচিৎ এবং এসবের পেছনে কারা জড়িত সেটাও খুঁজে বের করা উচিৎ।’

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বলেন, `এখন আমাদের দ্রুত বেশি মানুষের পরীক্ষা করা দরকার এবং কারা কারা আক্রান্ত তাদের চিহ্নিত করা দরকার। এটাই করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়।`



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭