ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা যুদ্ধে আলোকিত যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 08/07/2020


Thumbnail

বাংলাদেশে করোনার চার মাস পূর্ণ হলো আজ। এই চার মাসে জনস্বাস্থ্য যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি অর্থনীতির ধকলও সামলাতে হচ্ছে দেশকে। এই যুদ্ধে একাই লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং করোনা যুদ্ধে বাংলাদেশ যে সুখবরগুলো পাচ্ছে বা যা কিছু ইতিবাচক সব কিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি দিনরাত ২৪ ঘন্টা একাকার করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছেন, কর্মপরিকল্পনা করছেন। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে কিছু মানুষ সঙ্কট মোকাবেলায় যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছেন এবং শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিচ্ছেন। তাদের উদ্যোগের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমাহীন ব্যর্থতার পরেও বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছে। বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলেও অর্থনৈতিক চাকা সচল রেখে নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে করোনার সঙ্গে লড়ে যারা আলোকিত হয়েছেন তাদের নিয়েই এই প্রতিবেদন-

ড. আহমেদ কায়কাউস

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় করোনা মোকাবেলার সব দিক দেখভাল করছে, নির্দেশনা দিচ্ছে। ড. আহমেদ কায়কাউস যেখানে স্থবিরতা, দূর্নীতি, অনিয়ম সেখানেই নজর দিচ্ছেন এবং কাজে গতি আনার জন্য পরিশ্রম করছেন। ড. আহমেদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বেশিদিন নয়। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পেরেছেন, যোগ্যতা প্রমাণ করে করোনা মোকাবেলায় একটি বিশ্বস্ততার নামে পরিণত হয়েছেন। অনেক সংসদ সদস্য বলেছেন যে, তাকে যেকোন সময় ফোনে পাওয়া যায়। ফোনে করোনা সংক্রান্ত বা ত্রাণ সংক্রান্ত কোন সমস্যার কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধানের জন্য কাজ করেন এবং আন্তরিকতার পরিচয় দেন।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

প্রধানমন্ত্রীর সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসেছেন গত জানুয়ারি মাসের পরে। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি তার যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন। করোনা সঙ্কটে তিনি আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি টিম তৈরি হয়েছে যে টিমটি সারাদেশের করোনা সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো দেখাশোনা করছেন। কোথাও যেন সমস্যা না হয়, সঙ্কট যেন দ্রুত সমাধান হয় সে ব্যাপারে তাঁরা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সচিব সারাদেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা করার বিষয়টিতে মূখ্য সচিবের সঙ্গে একসাথে কাজ করেছেন এবং সর্বত্র বিভিন্ন ধরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

বর্তমান করোনা সঙ্কটে নামীদামি অনেক চিকিৎসক যখন নামকাওয়াস্তে কাজ করে নিজেদের দায় মেটানোর চেষ্টা করছেন, সেখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ স্বেচ্ছা প্রনোদিত হয়েই করোনা নিয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলছেন। চিকিৎসকদের দাবিগুলো তুলে ধরছেন, একই সঙ্গে রোগীদের দুরবস্থার কথাগুলোও তিনি কোনোপ্রকার রাখঢাক না করেই বলছেন।

শেখ ইউসুফ হারুন

জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনও করোনা মোকাবেলায় আলোচিত এবং আলোকিত নাম হিসেবে সামনে এসেছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৬ হাজার নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন যে, আন্তরিকতা থাকলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন বাঁধাই বড় হয়ে দাঁড়াতে পারেনা। এছাড়াও জনপ্রশাসন সচিব এই সংকটাপন্ন সময়ে প্রশাসনকে চলমান রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

 মো. আবদুল মান্নান

সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান প্রতিকূল পরিবেশের মাঝে নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের ১ সপ্তাহের মধ্যে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তার দুই সন্তান করোনায় আক্রান্ত হন। এই পরিস্থিতির মাঝেও আবদুল মান্নান কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত কাজ করছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরেই দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে দুর্নীতির সিন্ডিকেট তা ভেঙে দেওয়ারও তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আবদুল মান্নানই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে কোভিড চিকিৎসা চালু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আগামীকাল তিনি ২৪ টি হাসপাতালে ১৪৫ জন টেকনোলজিস্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন, এছাড়াও আরো ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

হেলাল উদ্দিন

স্থানীয় সরকার সচিব হেলাল উদ্দিন-ও করোনা মোকাবেলার সময়ে আলোচিত হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির সময় ত্রাণ লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। করোনা সঙ্কটের সময় যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের ত্রাণ চুরি করেছে সেই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আইইডিসিআরের মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আলোচনায় আসেন। তিনি সাবলীলভাবে কোনোরকম আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে বৈজ্ঞানিক শিষ্টাচার মেনে অত্যন্ত শান্ত, ধীরস্থিরভাবে যেভাবে টানা সংবাদ সম্মেলন করে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করেছেন- তাতে তিনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ করেছেন। আইইডিসিআরকে তিনি যেমন জনগণের কাছে পরিচিত করেছেন, ঠিক তেমনিভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তিনি যে একজন যোগ্য পরিচালক, সেটিও প্রমাণ করেছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭