ইনসাইড হেলথ

ব্রাঞ্চ কি শরীরের জন্য ভালো?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/07/2020


Thumbnail

আমাদের অনেকেই নিয়মিত সকালের নাশতা না করে একেবারে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে এমন অনেক শিক্ষার্থীকে দেখা যায়, যারা নিয়মিত সকালের নাশতা আর দুপুরের খাবার একসাথে করে নেয়। বিদেশে এমন খাবারকে ব্রাঞ্চ বলা হয়ে থাকে। সকালের ব্রেকফাস্ট ও দুপুরের লাঞ্চ শব্দদ্বয়কে একত্রে ব্রাঞ্চ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এমন খাদ্য সংস্কৃতি কি আমাদের শরীরের জন্য সত্যিই ভালো? এটা নিয়ে অনেকেই অনেক রকম মতামত দিয়ে থাকেন।


অর্থ সাশ্রয়
আমাদের দেশে যারা সকালের খাবার খান না। তারা দুপুরের খাবারে সাধারণত বাড়তি ক্যালরি যুক্ত খাবার খান না। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এমন প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তারা সকালের খাবারকে অবহেলা করে দুপুরের খাবার খেয়ে নেন। এতে করে অর্থের একটা সাশ্রয় হয়। এটা সত্য। কিন্তু শরীরের জন্য দরকারি ক্যালরি পাওয়া যায় কিনা এই বিষয়ে একটা শঙ্কা থেকে যায়। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের অনেকেই এমন ক্ষেত্রে বাড়তি ক্যালরি যুক্ত করে খাবার গ্রহণ করতে বলে থাকেন।


অতিরিক্ত খাবার
সারারাত এমনিতেই আমাদের শরীর কোন খাবার পায় না। আবার সকালে খাবার না গ্রহণ করলে এতে করে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেকেরই এতে করে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা দেখা দেয়। সেইসাথে লো প্রেশারের ক্ষেত্রেও বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর বাইরেও রয়েছে নানা রকম সমস্যা। সকালে খাবার গ্রহণ না করলে, দুপুরে খাবারের ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে বেশি করে খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। এতে করেও শরীরের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। একসাথে অধিক খাদ্য গ্রহণের পর শরীর ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। সেইসাথে বাড়তি শর্করা শরীরে মেদ আকারে জমা হতে পারে।


পরিমিত খাদ্য গ্রহণ
পুষ্টিবিদরা পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতিটা দেশেরই নিজস্ব খাদ্য সংস্কৃতি থাকে। আমরা আমাদের ভৌগোলিক পরিবেশে যে সমস্ত খাদ্য পাওয়া যায় সেই সব খাদ্য গ্রহণ করে থাকি। আবার খাবার ক্ষেত্রে খাদ্য সংস্কৃতি মেনে খাদ্য গ্রহণ করি। যেমন বাংলাদেশে সাধারণত তিনবেলা খাবার খাওয়া হয়ে থাকে। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ হল, পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করা। আমাদের শরীরের ওজন ও শারীরিক পরিশ্রমের উপর ভিত্তি করে পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করা। সেইসাথে খাদ্য তালিকায় সকল ধরণের খাবার রাখা। এতে করে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন ভালো থাকে। সেইসাথে ভালো থাকে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য।


সুষম খাদ্য তালিকা
অনেকেই বলে থাকেন একটি পরিবারের জন্য প্রয়োজন বিবেচনা করে একটি আদর্শ সুষম খাদ্য তালিকা করা যেতে পারে। পরিবারের জন্য এর গুরুত্বও অনেক বলে মনে করেন তারা। তাদের মতে, পরিবারের সকল সদস্যের জন্য এক রকম খাদ্য দরকার পড়ে না। সেইসাথে সবার জন্য সমান পরিমাণ খাদ্যেরও দরকার নেই। যার যতটুকু খাদ্য প্রয়োজন সেই অনুপাতে একটি সুষম খাদ্য তালিকা তৈরির বিষয়ে গুরুত্ব দেন তারা। তাই খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের সকলকেই যত্নবান হওয়া উচিত। খাদ্য গ্রহণ করা উচিত শরীরের চাহিদা বিবেচনা করে।      



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭