ইনসাইড আর্টিকেল

শেখ হাসিনার মুক্তির পেছনে সেরা ১১ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/07/2020


Thumbnail

২০০৭ সালের এইদিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবং এই গ্রেফতারটা ছিল একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাজনীতিকরণ এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্যই এই গ্রেফতার। শেখ হাসিনার গ্রেফতারের পর শুধু রাজনৈতিকভাবে নয়। রাজনীতির বাইরেও অনেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সেরা এগারো জন যারা।  

১। প্রয়াত জিল্লুর রহমান

শেখ হাসিনা গ্রেফতারের পরপরই তিনি জিল্লুর রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেন। জিল্লুর রহমান দলকে একত্রিত করেন। শেখ হাসিনার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন। এবং তার জন্যই অবস্থানের কারণে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উদ্দীপ্ত থাকে। এবং শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনের জন্য তারা কাজ করে।

২। প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

আবদুল জলিল গ্রেফতার হওয়ার পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হয়েছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তিনিও শেখ হাসিনার পক্ষে সুদৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন। এবং শেখ হাসিনাকে নেতৃত্বকে সংহত করার জন্য কাজ করেছিলেন।

৩। মতিয়া চৌধুরী

শেখ হাসিনার গ্রেফতারের পর দলকে সংগঠিত করা থেকে শুরু করে মাইনাস টু ফর্মুলার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তিনি সংগ্রাম করেছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে মতিয়া চৌধুরীর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

৪। প্রয়াত এডভোকেট সাহারা খাতুন

প্রয়াত এডভোকেট সাহারা খাতুন আইনি লড়াইয়ের সূচনা করেছিলেন। তিনি আদালতে ছুটে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনার জামিনের জন্য। আইনি লড়াইয়ের সূচনা তার হাত দিয়ে হয়েছিল। শেখ হাসিনা প্রথম টেলিফোন তাকেই করেছিলেন।

৫। শেখ ফজলে নূর তাপস

শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার সময়ে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম রুহুল উদ্দিন মাহমুদের মতো আইনজীবীরা শেখ হাসিনার মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এই সময়ে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস আইনি লড়াইয়ের জন্য এগিয়ে আসেন। এবং শেখ হাসিনার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন।

৬। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ

শেখ হাসিনা গ্রেফতারের পর আইনি লড়াইয়ে যারা ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তার সঙ্গে আরও আইনজীবীরা যুক্ত হয়েছিলেন। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ শেখ হাসিনার মুক্তির ক্ষেত্রে আইনি লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৭। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক দেশের প্রবীণ আইনজীবী। শেখ হাসিনা গ্রেফতারের পর তিনিও আইনি লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৮। অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী

অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। অসুস্থতার জন্য শেখ হাসিনার মুক্তি দরকার এই দাবি তিনি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন। তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে তিনি অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।

৯। ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক। তিনিও চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

১০। ড. হাছান মাহমুদ

ড. হাছান মাহমুদ শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন। শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পরপরই তিনি রাজনৈতিক দলকে সংগঠিত করা, আইনি লড়াই, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শেখ হাসিনার মুক্তির পেছনে তার ভূমিকা অনেক বেশি।

১১। ড. গওহর রিজভী

ড. গওহর রিজভী শেখ হাসিনার মুক্তির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক এবং ক্ষমতাসীন মহলে কথাবার্তা বলেছিলেন। শেখ হাসিনাকে মুক্তির পেছনে তিনি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭