লিভিং ইনসাইড

বহুগামিতা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/07/2020


Thumbnail

বহুগামিতা শব্দটির সাথে এখন কম বেশি সবাই পরিচিত। তাহলে কি সত্যিই আমরা এমন সংস্কৃতির সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি! এই বিষয়ে খুব সহজে বলা যায় না। কেউ বলতে পারেন আমরা এই ধারণার সাথে পরিচিত হয়েছি মাত্র। আর সন্দেহবাদে বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বহুগামিতা এখন সবখানে। বিতর্কের অভ্যাস বাঙ্গালির বহু পুরনো। তবে এই বিতর্ক নিয়েই বলতে হয় যে, বহুগামিতা আমাদের সমাজেই ঘটছে। এই সমাজে বসবাসকারীরাই তা চর্চা করছে। কিন্তু একান্ত গোপনে কিংবা অনেকটা নিষিদ্ধ চর্চার মতো। অবশ্য প্রায়ই এমন ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু অহরহ হয়ে উঠেনি এখনও। তাছাড়া, আরেকটি বিষয় হল অনেকের সম্পর্কেই আমরা জানি না। উচ্চবিত্ত থেকে নিন্মবিত্ত পর্যন্ত অসংখ্য শ্রেণি রয়েছে। আর তাদের জীবনযাপনও ভিন্ন। ফলে বহুগামিতা ঘটতেই। কিন্তু বিষয়টা সমাজের একটা ক্লাশে যেন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।

নৈতিক শিক্ষা

বহুগামিতা যে কোন সমাজের জন্যই ক্ষতিকর। এতে করে সবচেয়ে বড় আঘাতটা আসে পরিবার সংস্কৃতির উপর। এভাবে এমন চর্চা চলতে থাকলে, একটা সময় পরিবার সংস্কৃতি হুমকিতে পড়বে। বহুগামিতা একটা সময় প্রকাশ পেয়ে যায়। জানাজানি হয়ে যায়। আর এতে করে তৈরি হয় পারিবারিক কলহ। এভাবে পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যদের মানসিক বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হয়। বহুগামিতা থেকে দূরে থাকার জন্য সবার আগে দরকার নৈতিক শিক্ষা। কারণ নৈতিক শিক্ষা থাকলে কেউ বহুগামি হয়ে উঠতে পারে না। নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে একজন মানুষের মধ্যে ভালো মন্দ জ্ঞান তৈরি হয়। কোনটা উপকারী আর কোনটা ক্ষতিকর? তা বুঝতে পারে।

পারিবারিক শিক্ষা

অনেকেই বহুগামিতা ঠেকানোর ক্ষেত্রে পারিবারিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। হিউম্যান বিহ্যাভিয়ার ও সাইকোলজি নিয়ে কাজ করে এমন অনেকেই এই রকম মতামত প্রদান করেন। তারা জানান, মানুষের আচার আচরণ থেকে শুরু করে মনুষ্যত্ব সকল কিছুই গড়ে উঠে পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে। ফলে বহুগামিতা যে সমাজের জন্য খারাপ ও ক্ষতিকর তার শিক্ষা পরিবার থেকেই আসা উচিত। সেইসাথে জানা যায়, এমন বহুগামিতায় যারা অভ্যস্ত। তাদের অনেকেরই পারিবারিক বন্ধন দুর্বল। সেইসাথে তাদের মধ্যে নানা রকম আচরণগত অসঙ্গতি থাকে বলেও জানা যায়। মনোবিদেরা জানান, বহুগামিতাকে কোনভাবেই স্বাভাবিক বলা যায় না। বহুগামি রাও স্বাভাবিক মানুষের মতো নয়। তারা সমাজের অন্য আট-দশজন থেকে আচরণ গত দিক থেকে ভিন্ন।

ধর্মীয় শিক্ষা

বহুগামিতা থেকে সুরক্ষিত থাকতে ধর্মীয় শিক্ষা খুব কার্যকর বলে জানান অনেকেই। তারা জানান, ধর্মে জিনা ব্যাভিচার ইত্যাদি কাজকে সবসময় হারাম করা হয়েছে। সেইসাথে এমন কাজের জন্য ভয়াবহ রকমের শাস্তির বিধানও রয়েছে। একজন আলেমের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধর্ম কখনো এমন কাজে উৎসাহ দেয় না। তিনি জানান, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী একজন পুরুষ চারটা বিয়ে করতে পারে। তবে এইরকম বিয়ে করার ক্ষেত্রে ইনসাফের কথা বলা হয়েছে। তিনি জানান, কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে এমন ইনসাফ করা সম্ভব না। ফলে, চারটা বিয়ে করেই কেউ বলে দিতে পারে না ধর্মে চারটা বিয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারণ ধর্ম অনুযায়ী ইনসাফের কথাও বলা হয়েছে।  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭