ইনসাইড আর্টিকেল

অর্থ দান করলে কি কোরবানির ওয়াজিব আদায় হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 31/07/2020


Thumbnail

সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। সেইসাথে বন্যার পানিতে বন্দী প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। এমন মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই এবার পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। প্রতি বৎসর ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের সাথে ধর্ম প্রাণ মুসল্লি কোরবানির ওয়াজিব আদায় করে থাকে। কিন্তু দুর্যোগকালীন এই সময়ে কোরবানি নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর খবর শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ নাকি বলছেন যে, দুর্যোগে অর্থ দান করে দিলেই কোরবানির হক আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু এই ধরণের কথাবার্তার কোন দালিলিক ভিত্তি নেই।

ইসলামী শরিয়তে এমন কোন কিছু পাওয়া যায় না। যাতে করে বলা যায় যে অর্থ দানের মাধ্যমে কোরবানির হক আদায় হয়ে যাবে। বরং সামর্থ্য থাকলে কোরবানির ওয়াজিব আদায়ের কথা বলা হচ্ছে। তাছাড়া, দানকে কখনো কোরবানি বলা হবে না। দান করে দেওয়া আর কোরবানি এক জিনিস নয়। কোরবানির বিধান ইসলামী শরিয়তের মধ্যে স্পষ্ট। কোরবানি যদি আপনি না করতে পারেন। তাহলে আপনি সদকা করেন। সদকা করা আপনার জন্য জায়েজ রয়েছে। কিন্তু এর মানে কোরবানির হুকুম সদকার মাধ্যমে আদায় হবে না।    
   
আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানদের কোরবানি দেওয়ার বিষয়ে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, কোরাবানির তিন দিনে কোনো মুসলামানের কাছে যদি জাকাত দেওয়ার ‘নিসাব` পরিমাণ অর্থ অতিরিক্ত থাকে। তাহলে তাকে কোরবানি দিতে হবে। জাকাত ফরজ হতে সারা বছর ধরে ওই পরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ সম্পদ থাকতে হয়। এটাই হলো কোরবানির সাথে জাকাতের পার্থক্য। আর হজ এবং কোরবানি একই সময়ে হলেও হজের সাথে কোরবানির সরাসরি সম্পর্ক নেই। ইসলামের বিধান বলছে, কোরবানি না দিলে মুসলমানদের গুনাহ হবে। তবে কেউ যদি মনে করেন তার পক্ষে এই সময়ে কোরবানি দিলে শারীরিক সমস্যা বা অন্য কোনো ক্ষতি হতে পারে। তাহলে তিনি না-ও দিতে পারেন। কিন্তু পরে তাকে স্বাভাবিক সময়ে কাফফারা দিতে হবে। ইসলামি চিন্তাবিদ ও মুফতিরা এমন মত জানিয়েছেন। তাই অর্থ দান করে দিলে কোরবানির ওয়াজিব আদায় হবে এটা ভ্রান্ত ধারণা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭