ইনসাইড আর্টিকেল

বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/08/2020


Thumbnail

পুরো পৃথিবী একদিকে আর আমি অন্যদিক, সবাই বলে করছ ভুল আর তোরা বলিস ঠিক, তোরা ছিলি তোরা আছিস জানি তোরাই থাকবি, বন্ধু বোঝে আমাকে, বন্ধু আছে আর কী লাগে? বন্ধু নিয়ে শিল্পী তপুর খুবই জনপ্রিয় একটি গান এটি। পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষটিরও একজন ভাল বন্ধু থাকে। বন্ধু ছাড়া জীবন কাটানো যেন অসম্ভব একটি বিষয়। কিন্তু এমন বন্ধুত্বও কিন্তু একদিন দুইদিনে গড়ে উঠে না। দীর্ঘ সময়ের পথ পরিক্রমায় গড়ে উঠে। আমরা অনেকেই একে অন্যের সাথে বন্ধুত্ব করি। একে অপরকে বলি তুই আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। কিন্তু সত্যিকারে বন্ধু বানানো যায় না। বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এটা অনেকটাই সহজাতভাবে কিংবা আপনাআপনি।

খেলার সাথী

বন্ধুত্ব মানেই দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়া। বন্ধুত্ব মানেই নিঃস্বার্থ আবেগ আর ভালোবাসা। আর বন্ধুত্ব মানেই যেন শৈশবের বন্ধুত্ব। শৈশবের সেই দুরন্তপনার সময় থেকেই গড়ে উঠে বন্ধুত্ব। একসাথে খেলাধুলা, বৃষ্টিতে ভেজা, পুকুর ঝাঁপ দিয়ে গোসল করা, তপ্ত দুপুরে মাঠে ছুটোছুটি কিংবা কারো গাছের ফল চুরি। এসব স্মৃতিকাতরতা যেন আর আকুল করে তুলে। বয়সের একটা সময়ে বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই শৈশব নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করতে দেখা যায়। সেইসাথে প্রবীণদের অনেকেই জানান, জীবনের এই দীর্ঘ পথচলায় অনেক রকম বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। কিন্তু দিনশেষে সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবে শৈশব বা স্কুল জীবনের বন্ধুরাই থেকে যায়। কারণ সম্পর্কের গভীরতাটা এখানেই বেশি।


স্কুল জীবন

স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র। কোথাও নেই আমাদের বন্ধু? এসবের বাইরেও অনেক সময় বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। কিন্তু এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকুলতা কাজ করে স্কুল জীবনের বন্ধুদের নিয়ে। কারণ জীবনের একটা পর্যায়ে এসে আমরা ম্যাচিউর হয়ে উঠি। অনেক কিছু বুঝতে শিখি। তখন আবেগ কাজ করে না বললেই চলে। কিন্তু স্কুল জীবনের ঐ সময়ে একটা সহজাত সরলতা কাজ করে। সেইসাথে কোন স্বার্থকেন্দ্রিকতা কাজ করে না। মান, অভিমান, আবেগ বা ভালোবাসা সবকিছু মিলিয়ে স্কুল জীবনের বন্ধুত্বই যেন সেরা।


সমমনা বন্ধুত্ব

শৈশব কিংবা স্কুলের বাইরেও আরেক রকম বন্ধুত্ব জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। এই ধরণের বন্ধুত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা যে কোন জায়গায়ই গড়ে উঠতে পারে। জীবনের সবচেয়ে বেশি বন্ধুত্ব গড়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। কিন্তু এই বন্ধুত্ব যেন অনেকটাই সচেতন। অনেক সময় এখানেও ব্যক্তিস্বার্থের বিষয় থাকতে পারে। আবার অনেক সময় শুধু আড্ডা দেওয়া বা সময় কাটানোর জন্য কিছু বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। যেখানে বন্ধুত্ব অনেকটাই মৌখিক, সম্পর্কের গভীরতা বলতে কিছু বিষয় থাকে না। কিন্তু জীবনের এই সময়েও এক ধরণের বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এটাকে সমমনা বন্ধুত্ব বলা যায়। এই ধরণের বন্ধুত্বে হয়তো কিছুটা ফরমাল আচরণ থাকে। কিন্তু তারপরও এখানে সম্পর্কের গভীরতা থাকে। এই বিষয়ে বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলা জানা যায়। সমমনা বন্ধুত্ব মানেই সমান মনের অধিকারী। ব্যক্তিগত জীবনদর্শন বা চিন্তা-ভাবনাগত দিক থেকে এমন বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। অনেক সময় এমন বন্ধুরা একসাথে মিলে কাজও করে। সাহিত্যিকদের মধ্যে এমন বন্ধুত্বের উদাহরণ নিতান্ত কম নয়। যেমনঃ ইংরেজ সাহিত্যিক উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ও স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের মধ্যেও এই ধরণের বন্ধুত্ব ছিল। তারা একসাথে মিলে প্রকাশ করেন রোমান্টিক যুগের মেনিফেস্টো লিরিক্যাল ব্যালাডস্।                        



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭