কালার ইনসাইড

তারকাদের শত্রুতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/08/2020


Thumbnail

শোবিজে ঝগড়াটা নতুন নয়। এক সঙ্গে কাজ করতে গেলে ঝগড়া বাঁধবেই। নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনার মতো একজন অন্যজনকে তুলোধুনা করে। তবে তারকাদের এমন ঝগড়া-ঝাটি ভক্তদের মধ্যেও বেশ প্রভাব ফেলে। ভক্তরা হয়ে যায় দ্বিধা বিভক্ত। একে অন্যকে নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করে। স্যোশাল মিডিয়ায় ভক্তদের এমন ঝগড়া মাত্রাতিরিক্তও হয়ে যায়। ঝগড়াটা কখনো রুপ নেয় শত্রুতায়। প্রকাশ্যে কে কার কতটা ক্ষতি করলো সেটা বোঝা না গেলেও কেউ যে কাউকে ছাড়ার পাত্র নন সেটা বোঝা যায়। বন্ধু দিবসে তাই শত্রুতার খবর জানানো হলো।

আসিফ আকবরের সঙ্গে শফিক তুহিন- প্রীতমদের ঝগড়া বেশ আলোচনায় এসেছিল। কিন্ত সেই ঝগড়াটা এমন রুপ নেয় যে শফিক তুহিনের মামলায় জেলে যেতে হয় আসিফের। পাঁচদিন কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর। ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় চার্জ‌শিট দা‌খিল পর্যন্ত তার জা‌মিন মঞ্জুর করা হ‌য়।

শাকিব খানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব জায়েদ খানের। শাকিব খানের সঙ্গে তখন অপুর বিচ্ছেদ হয়নি। প্রকাশ্যেও আসেনি দুজনার বিয়ের খবর। এমনই সময় একদিন জায়েদ খান গেলেন অপু বিশ্বাসের বাসায়। জায়েদ খানের ভাষ্যে, বাসার নিচে দাড়িয়ে সিনেমা নিয়ে কথা বলছিলেন। শাকিব খান কোথা থেকে গিয়ে অপু বিশ্বাসকে লাত্থি, চড় থাপ্পড়। শাকিব খান পরবর্তীতে বলেছেন, অপু বিশ্বাসকে তিনি একজনের সঙ্গে হাতেনাতে ধরেছেন। কাকে ইঙ্গিত করে তিনি এই কথা বলেছেন সেটা বুঝতে কারো বাকি নেই। শাকিব খানের সঙ্গে এখন প্রকাশ্য শত্রুতা চলছে প্রযোজক সেলিম খানের সঙ্গে। অন্যদিকে রিয়াজ মনে করে শাকিব খানই তাকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের করেছেন। তাই এ নিয়ে শাকিবের বিরুদ্ধে কথা বলতেও শোনা যায়।

মিশা সওদাগরের সঙ্গে মৌসুমী- ওমরসানীর ছিলো জিগরি দোস্তি। এমনকি মিশার ছেলে আমেরিকায় মৌসুমী- ওমরসানীর ছেলের সঙ্গেই পড়াশুনা করে। কিন্তু শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে তাদের শত্রুতা চরমে ওঠে। একে অপরকে এখন প্রায়ই তুলোধুনো করতে দেখা যায়। 

একটা সময় কিংবদন্তি দুই কন্ঠশিল্পী, সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লার মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। একসঙ্গে গান করা তো দূরের কথা। একে অপরের কোন প্রসঙ্গও তুলতেন না বলে শোনা যায়। হয়তো শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। অনেক বছর পর সম্পর্কটা জোড়া লাগে ‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’ গানটি দিয়ে। ফারুক আর জাফর ইকবালের ঝগড়াটাও কিন্তু কমদিনের জন্য ছিল না। সমসাময়িক হওয়াতে একজন আরেকজনের অভিনয় নিয়ে নিয়মিতই সমলোচনার ঝড় বইয়ে দিতেন। তবে তার চেয়ে বড় গুঞ্জন ছিলো ববিতার প্রেমে দুজনেই মগ্ন ছিলেন। ববিতা -রোজি আফসারীর ঝগড়াটাও ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি ববিতাকে রোজি আফসারি মারধর করেছেন এমন গুঞ্জনও আছে সিনেমামহলে।

সালমান শাহ ও মৌসুমীর চলচ্চিত্র জীবনের যাত্রা শুরু একই সঙ্গে। প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছিল সুপারডুপার হিট। প্রথম ছবির পর প্রযোজক পরিচালকদের ভীড় লেগে যায় তাদের দ্বারে। কিন্তু কি এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ জুটির ভাঙন ধরে। তাদের একসঙ্গে আর কোন ছবিতে দেখা যায়নি। দুজনের জুটি ভাঙ্গার পরও একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে কখনো দোষারোপ কিংবা সমলোচনা করেননি।

চলচ্চিত্রে প্রায় একই সময়ে যাত্রা শুরু করেন মৌসুমী ও শাবনূর। পপির যাত্রাটা তাঁদের চার বছর পরে। ঠিক কী দ্বন্দ্ব তা স্পষ্ট না হলেও মৌসুমী আর শাবনুর দীর্ঘ ১৩ বছর একসঙ্গে কোন কাজ করেননি। প্রয়াত নায়ক মান্না তাদের সে ঝগড়া মিটিয়ে দিয়েছিলেন। সম্পর্কে ফুপাতো-মামাতো বোন হওয়া সত্ত্বেও দ্বন্দ্বের কারণে মৌসুমী-পপি ১৪ বছর একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি। সেই দ্বন্দ্ব একটা সময়ে এসে মিটে গেছে। পপির পেশাগত দ্বন্দ্ব ছিল শাবনুরের সঙ্গেও। তাদের একসঙ্গে কোন ছবিতে দেখা যায়নি। একই সঙ্গে কোন শোতেও দেখা যেত না।

সালমান পরবর্তী সময়ে রিয়াজের সঙ্গে জুটি বাঁধে শাবনূর। এই জুটি বেশ প্রশংসিতও হয়। চাহিদা তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০২ সালে ভেঙে যায় তাদের জুটি। আর এর কারণ শাবনুর- রিয়াজ জুটির হিটের পেছনে মানুষ শাবনুরকেই বেশি ক্রেডিট দিতো। এ নিয়ে প্রকাশ্যে ঝগড়া না হলেও মনোমালিন্য ছিলো।

পূর্ণিমার সঙ্গে শাকিবের দ্বন্দ্বের শুরু হয় ‘ভালোবেসে মরতে পারি’ ছবির সেটে। শুটিং স্পট থেকে পূর্ণিমা চলে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্ব খুব বেশিদিন হয়নি মিটেছে।

শাকিবের জের ধরে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বুবলির ঝগড়া প্রকাশ্য। শাকিব খানকে নিয়ে একে অন্যের বিপক্ষে তীর্যক বাক্য নিয়মিত বলে যাচ্ছে। বুবলি- অপুর ঝগড়ার কারণে প্রকাশ্যে আসে শাকিব-অপু বিশ্বাসের বিয়ের খবরও।

দেবদাস ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মৌসুমী। অথচ ঐ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র পার্বতীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অপু বিশ্বাস। পার্বতীর পরিবর্তে চন্দ্রমুখী মৌসুমী কেন পুরস্কার পাবে এই প্রশ্ন নিয়ে অপু বিশ্বাস একটি স্ট্যাটাস দেন। আর এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল তাদের ভেতরের ঠান্ডা যুদ্ধ।

শাকিল খান আর পপির ঝগড়ার খবর নিশ্চয়ই কারো অজানা নয়। সে ঝগড়ায় সেদিন দুজনেই আবার তাও দিয়েছিল। তবে মিডিয়ায় খুব বেশি গরম করতে পারেনি।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নাটক পাড়ায় ঝগড়াও কম হয় না। এই যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ত্রিমুখী ঝগড়ায় অবতীর্ন হয়েছিলেন মম-বিন্দু আর মিম। একবার মম তার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বিন্দু ও মমতো এখনো পড়ালেখাই শেষ করেননি।’ এরকম সমলোচনামূলক আরও কিছু তথ্য। আর এতেই পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করেছিলেন মিম ও বিন্দু।

ফারিয়া শাহরিনের সঙ্গে তো রীতিমতো বাকযুদ্ধ মেতেছিলেন নওশীন, বন্যা মির্জা, নাফিসারা। ফারিয়া শাহরিন মিডিয়ার কিছু খারাপ দিক তুলে ধরাতে এই যুদ্ধ বাধে। এখনো কেউ কাউকে বলার কোন সুযোগ পেলে ছাড়ে না।

তারকাদের ভার্চূয়াল যুদ্ধও হয়। এই যেমন ফারিয়া আর স্পর্শিয়ার ভার্চুয়াল ঝগড়া। স্পর্শিয়ার একটি ভিডিও পোস্ট দেওয়া নিয়ে তাদের ভেতর ঝামেলার সূত্রপাত হয়। নুসরাত ফারিয়া কারো নাম প্রকাশ না করে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘কাউকে নিয়ে অযথা মজা করা কখনোই ভালো ব্যাপার নয়। কিন্তু কেউ একজন এটাই করেছে। তবে এটা নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই কারণ সেখানে আমার জন্য শুভকামনাও ছিল। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে ঐ ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে পাবলিক আকর্ষণের জন্য।আমি তাকে বলবো যে, বড় হতে হলে সহকর্মীদের সম্মান দিতে হবে।’ এরকমই আর এক ঝগড়ায় লিপ্ত হয় মেহজাবিন ও নুসরাত ফারিয়া। ক্রিকেটার রুবেলকে নিয়ে হ্যাপির সঙ্গে ভার্চুয়াল ঝগড়া হয় উপস্থাপিকা আমিব্রিন ও মৌসুমী হামিদের।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭