ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বৈরুত বিস্ফোরণ: নেপথ্যে ইসরায়েল, হিজবুল্লাহ নাকি অন্য কেউ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 07/08/2020


Thumbnail

বৈরুত বিস্ফোরণের ২ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনও এই বিস্ফোরণের নেপথ্য কারণ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শেষ হচ্ছে না কিছুতেই। লেবাননের সরকার বারবার বলছে এটা একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এই দাবি মানতে চাইছে না অনেকেই। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত এই বিস্ফোরণকে হামলা বলে অভিহিত করছেন।

বিস্ফোরণের পরপরই সন্দেহের আঙুলটা সর্বপ্রথম যেদিকে গেছে সেটা হলো ইসরায়েল। বেশকিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছেন। বিস্ফোরণের আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর একটি টুইট ঘিরে এই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। মঙ্গলবার লেবাননে বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগেই এক টুইট বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, আমরা আস্তানায় আঘাত করি এবং এখন প্রেরণাদানকারীদের আঘাত করছি। আত্মরক্ষার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবো। আমি হিজবুল্লাহসহ তাদের সবাইকে বিষয়টি বিবেচনার পরামর্শ দিচ্ছি।

ইসরায়েলি এই প্রধানমন্ত্রী দেশটির সেনাবাহিনী গত সোমবার অধিকৃত গোলান উপত্যকায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলা ঠেকিয়েছে বলে দাবি করেন। টুইটে তিনি বলেন, এসব নিরর্থক কোনও কথা নয়। ইসরায়েল রাষ্ট্রের ওজন আছে এবং এটার পেছনে আছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত।

নেতানিয়াহুর এসব কথার কারণেই বৈরুত ট্রাজেডির খলনায়ক ভাবা হচ্ছে তাকে। তবে এখন পর্যন্ত নেতানিয়াহু বা ইসরায়েলি বাহিনীর জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলে সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বৈরুতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এটা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কোনও ঘটনা নয়। অন্যদিকে, ইসরায়েলের চিরবৈরী শত্রু হিসেবে পরিচিত ইরানও বৈরুত বিস্ফোরণের সঙ্গে তেলআবিবের জড়িত থাকার ধারণা নাকচ করে দিয়েছে।

অনেকে বৈরুত বিস্ফোরণের পেছনে হিজবুল্লাহকেও দায়ী করছে। ২০১৭ সালে হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহর ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে হামলা চালানোর হুমকির একটি ভিডিও গত দুদিনে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মাধ্যমে ‘পারমাণবিকের মতো’ বিস্ফোরণ ঘটানোর হুমকি দিয়েছিলেন নাসরুল্লাহ। এছাড়া অনেকেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের একটি পুরোনো টুইট শেয়ার করছেন। এই টুইটে ইরান এবং হিজবুল্লাহর একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের কিছু ছবি প্রকাশ করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

এসব ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে পুনরায় ছড়িয়ে পড়লেও লেবাননের কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের স্থানটি ছিল একটি গুদাম; যেখানে জব্দকৃত রাসায়নিক মজুত ছিল। এটি হিজবুল্লাহর গুদাম ছিল না বলে জানিয়েছেন তারা।

এছাড়া বৈরুত হামলার পেছনে আরও বেশকিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে সেগুলোর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭