ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারানের জোড়া ভুল, রিয়ালের লজ্জার বিদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 08/08/2020


Thumbnail

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গতকালে রাতটা ভুলে যেতে চাইবে ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রদি, সাথে ভুলে যেতে চাইবেন বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে। রিয়ালের হয়ে ৯ বছরের ক্যারিয়ারে এমন ভয়াবহ ৯০ মিনিট কখনো পার করেননি ভারানে। ডু অর ডাই ম্যাচে তাঁর জোড়া ভুলেই জোড়া গোল হজম করতে হয় রিয়ালকে। আর এর ফলে ম্যানচেষ্টার সিটির কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে বিদায় ঘণ্টা বাজে স্পেনের এই হেভিওয়েট ক্লাবটির। সার্জিও রামোসবিহীন রিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে জেসুস-স্টার্লিংরা।

পরের রাউন্ডে যেতে রিয়ালকে দুই গোল করতে হত। রিয়াল উলটো হজম করলো দুই গোল। তার আগ পর্যন্ত সিটির রক্ষণ যে খুব পেপ গার্দিওলাকে খুব একটা স্বস্তি দিচ্ছিল তেমনটাও না। প্রথমার্ধ পর্যন্তও ম্যাচের ভাগ্য ছিল ঝুলে। ম্যাচের প্রথমার্ধের ৯ মিনিটে রিয়ালের রক্ষণভাগের দায়িত্ব থাকা রাফায়েল ভারানের শিশুতোষ ভুলে রাহিম স্টার্লিং গোল করেছিলেন। নিচ থেকে বিল্ড আপ করার চেষ্টা করছিল রিয়াল। স্টার্লিং, হেসুসরা প্রেস করে যাচ্ছিলেন রিয়ালের বক্সের ভেতর পর্যন্ত। হেসুসের প্রেসেই চাপে পড়ে গেলেন ভারান, বল হারালেন, হেসুস করলেন কাটব্যাক। গোলের সামনে থাকা স্টার্লিংয়ের শুধু বলটা পুরে দিতে হলো জালে। স্বপ্নের শুরুটা সিটি পেল উপহার থেকে (১-০)।

মিনিট বিশেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর রিয়াল ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিল। করিম বেনজেমা, হ্যাজার্ড দুইজনই গোলে শট নিলেন। কিন্তু দুইবারই এডারসন বাধা হয়ে দাঁড়ালেন। ২৯ মিনিটে আর বেনজেমাকে আটকানো গেল না। রদ্রিগো বাম প্রান্তে দারুণভাবে কাটিয়ে ক্রস করলেন। বেনজেমার কাছ থেকেই পাস পেয়েছিলেন রদ্রিগো, তিনি বাইলাইনের কাছাকাছি যেতে যেতে ফ্রি রান নিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন বেনজেমা। তার সঙ্গে আর তিন ডিফেন্ডার ছিলেন, সেন্টারব্যাক পজিশনে থাকা ফার্নানদিনহোরই দায়িত্বটা ছিল। বেনজেমা তাকে দর্শক বানিয়ে লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করে রিয়ালকে ফিরিয়ে আনেন ম্যাচে।

প্রথমার্ধের শেষের ঠিক আগে ও দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরপর দারুণ সুযোগ তৈরি করেন কেভিন ডি ব্রুইন ও রহিম স্টার্লিং। রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার দৃঢ়তায় মেলেনি সাফল্য। তবে রিয়ালের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখার কাজটি ঠিকঠিক করতে পারছিল তারা। এরপর বারবার রিয়ালের বক্সে আক্রমণ চালাতে থাকে গার্দিওলার শিষ্যরা। যার সুফলও পেয়ে যায় ৬৮ মিনিটের সময়। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন প্রথম গোলের যোগানদাতা গ্যাব্রিয়েল হেসুস। এবারও ভারানের ভুল। দুইবার সুযোগ পেয়েও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি এ ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার। সুযোগ পেয়ে বল দখলে নিয়েই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ হেসুস।

দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়া রিয়ালের ম্যাচে ফেরার সুযোগ ততক্ষণে একেবারেই শেষ। আর জিনেদিন জিদানকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট রাউন্ড থেকে বিদায় করালেন গার্দিওলা। এর আগে ২০১০-১১ মৌসুমে বার্সেলোনার কোচ হয়ে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় করেছিলেন গার্দিওলা। এবার দ্বিতীয়বার একই কাজ করলেন। ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবকে দুইবার বাদ দেওয়া কোচের তালিকায় আগে ছিলেন শুধু মার্সেলো লিপ্পি আর অটোমার হিটজফিল্ড। এবার সে তালিকায় নাম লেখালেন গার্দিওলাও।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭