ইনসাইড গ্রাউন্ড

জয়টা স্রেফ ‘ছিনতাই’ করলো ইংল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/08/2020


Thumbnail

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের সম্মানজনক রান এবং ইংল্যান্ডের আত্মসমর্পণে পাকিস্তানের জয়টা হাতের মুঠোতেই মনে হচ্ছিল। অবশ্য ইতিহাস তো তাদেরই পক্ষে ছিল। ২০০৮ সালের পর ওল্ড ট্রাফোর্ডে রান তাড়া করে জয়ের কোন নজির নেই, সেখানে ২৭৭ রানের লক্ষ্যটা স্বাগতিক ইংলিশদের সামনে প্রায় পাহাড়সমই ছিল। তবে ১ যুগ পর রান তাড়ায় নজির গড়ে জয়টা রীতিমতো ‘ছিনতাই’ করলো ইংলিশরা। রোমাঞ্চ ছড়ানো টেস্টে ৩ উইকেটের দারুণ জয়ে ১-০ তে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড। 

গতকাল (শনিবার) ৮ উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ১৬৯ রান। শেষ ২ উইকেটে ৩২ রান যোগ করে সফরকারীরা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান ইয়াসির শাহর। আগের দিন ১২ রান করা এই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টি ঘরানার ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে করেন ৩৩ রান। নাসিমকে বোল্ড করে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে দেন জফরা আর্চার।

উইকেটে বোলারদের জন্য যথেষ্ট সহায়তা ছিল। পাকিস্তানের বোলাররা সেই সহায়তা কাজে লাগিয়ে শুরু থেকেই চেপে ধরে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের। তবে মাটি কামড়ে লড়াই করেন দুই ওপেনার। ররি বার্নসকে ফিরিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ আব্বাস। ডম সিবলি ও জো রুট কঠিন সময় পার করে এগিয়ে নিতে থাকেন ইংলিশদের। ১১৪ বলে ৩৬ রান করা সিবলিকে ফিরিয়ে ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন ইয়াসির। আস্থার সঙ্গে খেলা রুটকে দারুণ এক ডেলাভারিতে বিদায় করেন নাসিম।

বেন স্টোকস ও অলি পোপের দ্রুত বিদায়ে ম্যাচ ঝুঁকে পড়ে পাকিস্তানের দিকে। ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড প্রতিরোধ গড়ে বাটলার ও ওকসের ব্যাটে। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে দুই জনে রান তুলতে থাকেন দ্রুত। সব যে মাঝ ব্যাটে খেলতে পেরেছেন এমন নয়। তবে দুই জন খেলে গেছেন নিজের মতো করে। একই ওভারে ফিফটি স্পর্শ করেন দুই ব্যাটসম্যান।

বিশেষ করে লেগ স্পিনার ইয়াসির তাদের যথেষ্ট ভোগাচ্ছিলেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত ইয়াসিরের হাত ধরেই আসে সাফল্য। বাটলারকে এলবিডব্লিউ করে ভাঙেন ১৩৯ রানের জুটি। ১০১ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করে ফিরেন বাটলার। ততক্ষণে জয়ের বেশ কাছে চলে গেছে ইংল্যান্ড।

পরে স্টুয়ার্ট ব্রডকেও ফিরিয়ে দেন ইয়াসির। কিন্তু ওকস দলকে নিয়ে যান জয়ের ঠিকানায়। ১০ চারে ১২০ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। ম্যাচে ৪ উইকেট ও চমৎকার এই ইনিংসের জন্য তিনি জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৯৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার ইয়াসির। প্রথম ইনিংসেও নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।

১ম টেস্ট, ওল্ড ট্রাফোর্ড

পাকিস্তান প্রথম ইনিংসঃ ৩২৬/১০ (১০৯.৩ ওভার) (মাসুদ ১৫৬, বাবর ৬৯; ব্রড ৩/৫৪, আর্চার ৩/৫৯)

ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসঃ ২১৯/১০ (৭০.৩ ওভার) (পোপ ৬২, বাটলার ৩৮; ইয়াসির ৪/৬৬, আব্বাস ২/৩৩)

পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসঃ ১৬৯/১০ (৪৬.৪ ওভার) (ইয়াসির ৩৩, শফিক ২৯; ব্রড ৩/৩৭, ওকস ২/১১)

ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসঃ ২৭৭/৭ (৮২.১ ওভার) (ওকস ৮৪*, বাটলার ৭৫; ইয়াসির ৪/৯৯, আব্বাস ১/৩৬)

ফলাফল- ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭