লিভিং ইনসাইড

বন্যা শেষে যত করণীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/08/2020


Thumbnail

দেশের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত। অনেকেই ধারণা করেছিলো এবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হতে যাচ্ছে। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে ইতোমধ্যে অনেক জায়গায়ই পানি নামতে শুরু করেছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজেদের বাড়ি ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। ঘর মেরামত করা শুরু করেছেন। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখতে হবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়া মানেই বিপদ শেষ হয়ে যাওয়া নয়। কারণ বন্যা শেষে নানাবিধ রোগব্যাধী ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সময়ে মানুষের যেমন নানাবিধ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমনি গবাদি পশুপাখির ক্ষেত্রেও এমন সম্ভাবনা থাকে। তাই বন্যা শেষে রয়েছে বেশ কিছু করণীয় কাজ।

ঘরবাড়ি পরিষ্কার

পানি কমতে শুরু করার পর আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরছেন সবাই। কিন্তু বন্যার পানি নেমে গেলে কিছু করণীয় কাজ শেষে ঘরে উঠা উচিত। কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়া ঘরে উঠা হতে পারে বিপদের। বন্যা শেষে নানা রকম পানি বাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বাড়িতে উঠার আগে চারপাশ ভালো করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন। সেইসাথে নলকূপ, শৌচাগার ইত্যাদি ভালো করে প্রস্তুত করে নিন। তা না হলে যে কোন সময় স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় বাড়ি ঘর একদম শুকানোর পর ঘরে উঠতে পারলে। সেইসাথে দীর্ঘদিন ধরে না থাকার কারণে বাড়িতে সাপ বা অন্য কোন প্রাণী আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে। তাই সতর্কতার সাথে সবকিছু নাড়াচাড়া করে তারপর উঠুন। এতে কোন রকম ঝুঁকি থাকার সম্ভাবনা নেই।    
       
ফসলি জমি

বন্যার পানিতে কচুরিপানা, পলি, বালি এবং বিভিন্ন রকম আবর্জনা ভেসে আসে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্ত আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর কাদাযুক্ত ধান গাছ পানি দিয়ে পরিস্কার করে দিতে হবে। প্রয়োজনে স্প্রে মেশিন দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই সার প্রয়োগ করা ঠিক না। এতে ধান গাছ পচে যেতে পারে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ধানের চারায় নতুন পাতা গজানো শুরু হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করা ভালো। বন্যার পরবর্তী সময়ে ধান গাছে মাজরা, বাদামি ও সাদা পিঠ গাছ ফড়িং, পাতা মোড়ানো এবং পামরি পোকার আক্রমণ করতে পারে। এসব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবার জন্য পোকা বিশেষে হাত জাল, পার্চিং এবং প্রয়োজন হলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

সতর্কতা

বন্যা পরবর্তী সময়ে একটু সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে পানিবাহিত রোগের বিষয়ে এই সময়ে সতর্ক থাকা ভালো। গবাদি পশু থেকে শুরু করে বাচ্চাদেরকেও বেশ কয়েক দিন সাবধানে রাখা উচিত। এই সময়ে গবাদি পশুকে খড় বা শুকনা খাবার দেওয়া ভালো। কারণ এই সময়ে মাঠের ঘাস খাওয়ালে পশু অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ পানি নেমে গেলেও এই সময়ে ঘাসে কাঁদা বা বিভিন্ন জীবাণু লেগে থাকে। তাই তা পশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বাচ্চারাও এই সময়ে পানিতে অনেক ছুটাছুটি করে। এসব বিষয়ে একটু সতর্ক হওয়া উচিত। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭