ইনসাইড টক

‘৭৫ এর পরে ভীরুতা, কাপুরুষতা, দোদুল্যমানতায় প্রতিবাদ করতে পারেনি আ. লীগ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/08/2020


Thumbnail

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বাঙালী জাতির ইতিহাসে কলঙ্কময় একদিন। জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারেনি আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কার্যকর প্রতিবাদ করতে পারেনি, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধানে বাংলা ইনসাইডার মুখোমুখি হয়েছিল সে সময়ের ছাত্রনেতা, এখন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের। অকপটে তিনি বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যর্থতা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং বিভ্রান্তির গল্প।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘৭৫ এর পরে ভীরুতা, কাপুরুষতা, দোদুল্যমানতায় প্রতিবাদ করতে পারেনি আ. লীগ’

ইতিহাসের পাতা খুলে বাংলা ইনসাইডারকে নানক বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট দিনটি ছিল আমাদের ছাত্র সমাজের কাছে একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ এই দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পদার্পণ করার কথা ছিল। ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। সুন্দর একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো আনন্দে আত্মহারা। আমরা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমি তখন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সেই হিসেবে আমাকে তখন আগের দিন ঢাকা ডাকা হয়েছিল। কামাল ভাই ডেকেছিলেন। আপনারা জানেন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হওয়ার সাথে সাথে ছাত্র সমাজেরও একটি ইউনাইটেড ছাত্র ফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। সেটি হলো জাতীয় ছাত্রলীগ। সেই জাতীয় ছাত্রলীগের জেলা সম্পাদক হিসেবে আমাকে ডেকেছিলেন কামাল ভাই। আমি ঢাকা এসেছিলাম। ঐদিন রাতে আমি এবং আমার বন্ধু ছাত্রনেতা কাশেম, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় উঠেছিলাম। হোস্টেল থেকে এসে সবসময় তার বাসায়ই আমরা উঠতাম। আমরা ঐদিন রাতে ১১ টার দিকে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার পরেই সর্বপ্রথম দেখা হয় কামাল ভাইয়ের সঙ্গে। কামাল ভাই তখন বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আমাকে দেখেই তিনি জিজ্ঞেস করলেন কি খবর? তিনি আদর করে আমায় ‘নানকা’ বলে ডাকতেন। বললেন, ‘কিরে নানকা কি অবস্থা?’

সেদিন সমস্ত ডিপার্টমেন্টগুলো সাজানো হয়েছিল ভিন্ন ভিন্নভাবে। কামাল ভাই বললেন, ‘আমার সোশিওলজি ডিপার্টমেন্টটা দেখিস কেমন হইসে’। তো আমরা দেখব, এ রকম সময়ে তিনি বললেন, ‘আমি যাই’। তখন রাত সাড়ে ১২ টা থেকে ১ টা হবে। কামাল ভাই বললেন, ‘আমি গিয়ে তৈরি হয়ে চলে আসছি’। আমাকে বললেন, ‘নানক তুই চলে যা। জহুরুল হক হলে চলে যা, খুব সকালে তৈরি হয়ে চলে আসিস’। এই ছিল শেষ কথা, শেষ দেখা শ্রদ্ধেয় কামাল ভাইয়ের সঙ্গে। রাতে আর ঘুমালাম না। আমরা যখন উঠে তৈরি হচ্ছিলাম, তখন কামানের শব্দ শুরু হয়ে গেল। আমরা আতংকিত হয়ে গেলাম। খবর নেওয়ার চেষ্টা করলাম কোথায় কি হচ্ছে? আর কয়েক ঘণ্টা পরেই বঙ্গবন্ধু আসবেন।

আমরা খবর নিতে নিতেই খবর প্রচার হয়ে গেলো। কেউ কেউ রেডিওতে শুনল। আমরা যখন খবরটি শুনলাম। আমরা তখন রওনা করে চলে গেলাম আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায়। আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় আমি এবং আমার বন্ধু কাশেম গিয়েই দেখি সব শেষ হয়ে গেছে। হাসান ভাইয়ের একজন বডিগার্ড ছিলেন হাবিলদার শামসুর। তিনি আমাদের দেখেই বললেন, ‘ভাই তাড়াতাড়ি চলে যান এখান থেকে। সব শেষ হয়ে গেছে। সবাইকে মেরে ফেলেছে’। আমরা তখন ওখান থেকে বেরিয়ে গেলাম। আলু বাজারে খালার বাসায় তখন আমু ভাই থাকে। আমু ভাই তখন ঝালকাঠির গভর্নর হিসেবে ট্রেনিং নিতে এসেছিলেন। আমরা আমু ভাইয়ের বাসায় গেলাম।

আমু ভাই বাইরে এসে দোতলা থেকে বললেন, কি ব্যাপার? আমরা দোতলায় উঠলাম। নিচে পুলিশ গার্ড। উঠেই আমু ভাইকে আমরা বললাম ঘটনা। বলার পর উনি বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেন। একপর্যায়ে আমরা আমু ভাইকে নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। আমরা পলাশীর মোড়ে যখন এসেছি হাঁটতে হাঁটতে পথে দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় মিছিল হচ্ছে। একপর্যায়ে পলাশী মোড়েই আমু ভাই আমাকে বললেন, ‘নানক ইউনিভার্সিটিতে গেলে কি ছাত্রদের পাওয়া যাবে প্রতিবাদ করার জন্য?’ আমরা বললাম যে, ‘লিডার, আসলে সবাই হল ছেড়ে চলে গিয়েছে’। আমরা পরে আত্মগোপনে থাকলাম। এক পর্যায়ে আমু ভাই গ্রেফতার হয়ে গেলেন।

আমু ভাই গ্রেফতার হওয়ার পর আমি ঢাকায়ই ছিলাম। তখন আমরা বিভিন্ন গোপন সভা করি। জগন্নাথ হলে যে পুরাতন এসেম্বলি, সেখানকার ছাদে আমাদের গোপন মিটিং হতো। আমরা লিফলেট ছাপিয়ে আগের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ফ্লোরে ফ্লোরে দিয়ে আসতাম। এগুলো হলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরের ঘটনা। একটি পর্যায়ে আমার মনে আছে ২১ আগস্ট মধুর ক্যান্টিন থেকে আমরা একটি মিছিল বের করি। আমরা ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্র মিলে একটা ঝটিকা মিছিল করলাম। মিছিল শেষে আমরা যখন মধুর ক্যান্টিনে ফিরলাম, তখন হকিস্টিক ও চাপাতি নিয়ে ডালি গ্রুপ আমাদের আক্রমণ করল। তারা কাঁঠালবাগান ছাত্রলীগের লুকু নামের একটা ছেলেকে বেধড়ক পিটিয়েছিল। তার রক্তে জায়গাটা সয়লাব হয়ে গেলো। আমরা যে যেদিকে পারি পালিয়ে গেলাম।

এরপরে অনেক ঘটনা আছে। সভা সমাবেশ করা, গোপন মিটিং করা, গোপনে গোপনে সংগঠিত করা ছিল আমাদের দৈনিন্দন কাজ। একটি পর্যায়ে খন্দকার মোশতাক যখন সমস্ত এমপিদেরকে ডাকলেন, তখন আমরা চিঠি দিয়ে সমস্ত এমপিদের সঙ্গে দেখা করলাম। আমাদের একেকজনের উপর কয়েকজন করে এমপির দায়িত্ব পড়ল। আমরা তাদের বারণ করলাম খুনি মোশতাকের মিটিং এ যোগ না করার জন্য। বলতে কোন দ্বিধা নেই কাউকে কাউকে আমরা মৃত্যুর হুমকিও দিয়েছি। বলেছিলাম যে, ‘যদি যান খুনির আমন্ত্রণে তাইলে কিন্তু বাঁচতে পারবেন না’। এছাড়াও অনেক ঘটনা প্রবাহ আছে। এইভাবেই আমরা সংগঠিত করতে থাকি। ৩ নভেম্বর আমরা একটি পূর্ব নির্ধারিত মিছিল বের করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার মিছিল আমরা অর্গানাইজ করি।

এই মিছিল নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করার পরেই নীলক্ষেতে আমাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করে এই মিছিল নিয়ে আমরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর পর্যন্ত যাই। এই সর্বপ্রথম রাজপথে একটি মিছিল হয় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। সেদিনকার ইত্তেফাক বা দৈনিক সংবাদ যদি দেখেন, সেখানে কভার পেইজে সেই মৌন মিছিলের একটি ছবি ছাপা হয়েছিলো। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি হাতে আমি ছিলাম। আমার বিষয়গুলো আমি ফোকাস করার জন্য না। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গেলাম বঙ্গবন্ধুর ভবন পর্যন্ত গিয়ে মাঝখানে কলাবাগান থেকে রাশেদ মোশারফের মা যোগদান করলেন। এই ছিল ঘটনা প্রবাহ।

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী হতে হতে পুরান ঢাকা থেকে গোপনে আমরা পোস্টার বের করলাম। গোপনে মিটিং করলাম। তখন মানিকগঞ্জের মহিউদ্দিন ছিল, এখন তিনি মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট। ওই সময় তার একটি প্রেস ছিল। সেই প্রেসে আমরা পোস্টার ছাপিয়েছি। পুরান ঢাকার আরও বিভিন্ন প্রেসে পোস্টার ছাপিয়ে সেই পোস্টারগুলো আমরা লাগানোর চেষ্টা করেছি।

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী যখন আসল তখন আমি বরিশালে চলে যাই। প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে আমি বরিশালে হরতাল আহ্বান করি। হরতাল আহ্বানের প্রস্তুতি সভা যখন বরিশাল বিএম কলেজের খেলার মাঠে গোপনে করছিলাম, তখন সমস্ত কলেজ ঘেরাও করে আমাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করে পুলিশ। আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু পুলিশ আমাকে অনুসরণ করে একটি বাড়ির ভেতর থেকে আমাকে ধরে নিয়ে আসে। সেদিন ছিল শবে বরাতের রাত, ৮ আগস্ট। সেই শবে বরাতের রাতে সারারাত আমাকে থানায় ফ্যানের রিঙের সঙ্গে উল্টো করে ঝুলিয়ে আমাকে নির্যাতন করে। আমার কাছে আমির হোসেন আমুর অস্ত্র চায়, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর অস্ত্র চায়, ক্যাপ্টেন রবের অস্ত্রের খোঁজ চায়।

তাদের সর্বপ্রথম কথা ছিল যে হরতাল ডেকেছিস, সেই হরতাল বন্ধ করতে হবে। হরতাল হতে পারবে না। আমি কোন কথার উত্তর দেই না। সারারাত নির্যাতন করার পরের দিন আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে পাঠানোর পর আমাকে আমার আপন লোকরাও দেখে চিনতে পারে নাই। এমনভাবে আমার চেহারা পাল্টে দিয়েছিল। তবে যাই হোক, আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, ১৫ আগস্ট বরিশালে আংশিক হরতাল পালিত হয়েছিলো। আমি গ্রেফতার হওয়ার পরে এলাকার প্রথম কাতারের নেতারা, দ্বিতীয় কাতারের নেতারা, তৃতীয় কাতারের নেতারা সবাই এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে পুলিশের দাপটে। একটি পর্যায়ে একদম নিচের লেভেলের কর্মীরা হরতাল পালন করে।

সে সময় আওয়ামী লীগের বিভ্রান্তির কিছু উদাহরণ দিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমু ভাইকে নিয়ে আমি যখন আত্মগোপনে ছিলাম। তখন আমু ভাই আমাকে সংসদ হোস্টেলে পাঠিয়েছিলেন। সেই হোস্টেলে পাঠিয়েছিলেন কয়েকজন এমপির সঙ্গে দেখা করার জন্য। তাদের নাম বললাম না। এক নেতার রুমে গিয়ে দেখলাম হাঁসের মাংস আর ভুনা খিচুরি খাচ্ছে। তিনি মঞ্জু গ্রুপ করতেন। বরিশালের নুরুল ইসলাম মঞ্জু। আমাকে দেখেই তারা হৈচৈ করে অট্টহাসি দিয়ে উঠলেন। হাসি দেওয়ার পর আমি একটু হতভম্ব হয়ে গেলাম। তখন শাজাহান ওমর আমাকে ইশারা দিয়ে বাইরে নিয়ে গেলেন। নিয়ে বললেন, ‘এখানে মরতে আসছ। দেখ না হাঁসের মাংস আর খিচুড়ি খাচ্ছে। হাসাহাসি করছে। আনন্দ করছে। তাড়াতাড়ি এখান থেকে চলে যা’। আমি সেখান থেকে চলে গেলাম। সেদিন আমার বুক ফেটে গিয়েছে যে, বরিশালে আনন্দ মিছিল বের করেছিলো। আনন্দ মিছিল যারা বের করেছিলো, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভেঙ্গেছে যারা তারাও কিন্তু এখন বর্ণচোরা আওয়ামী লীগ হয়ে গিয়েছে।

আ স ম ফিরোজের মতো মানুষ সেদিন বরিশালে আনন্দ মিছিল বের করেছিলো বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতার মালা লাগিয়ে। আমু ভাইয়ের সঙ্গে আমি যখন আত্মগোপনে ছিলাম, তিনি প্রাণান্তভাবে চেষ্টা করেছিলেন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে একটা প্রতিবাদ দাঁড় করানোর জন্য। কিন্তু প্রতিদিন প্রতিক্ষণে আমরা বিধ্বস্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। তার কারণ আমরা খবর পাচ্ছিলাম ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সাহেব গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন টিএন্ডটি কলোনি থেকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হয়ে যাচ্ছিলেন। বিশ্বাসঘাতকতার এক লম্বা সারি দেখলাম। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভার অধিকাংশই দেখলাম সেদিন মোশতাকের ক্যাবিনেটে। এরই মধ্যে আমরা কতিপয় লোক চেষ্টা করেছি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য। এরা ধারণা করেছিলো আর কোনদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জায়গা ইতিহাসে হবে না। আর ফিরে আসবে না। এই যে দোদুল্যমানতা, এই যে ভীরুতা!

সেদিন জহুরুল হক হল থেকে আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় যেতে আমি দেখেছি মানুষের যে কি অবস্থা। আবার ট্যাংকের উপর আনন্দও দেখেছি। কিন্তু সেদিন শুধু একটি ডাকের দরকার ছিল। একটি ডাকের প্রয়োজন ছিল। তৎকালীন যারা ছিলেন, তারা সেই ডাকটা দিতে পারেন নাই। তখন আমি এবং আমু ভাই দুজনেই রক্ষীবাহিনীর যশোরের লিডার ইসমাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু আমরা শুনতে পাই রক্ষীবাহিনীও আত্ম-সমর্পণ করেছে। কেউ তখন এগিয়ে আসে নাই। হয় ভীরুতা, নয় কাপুরুষতা, আর না হয় দোদুল্যমানতা, আর না হলে গোপনে তাদের সঙ্গে কোনো সংযোগ ছিল। এ কথা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নাই।       



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭