ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেইমার জাদুতে পিএসজির ইতিহাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/08/2020


Thumbnail

ম্যাচের আগে ফেভারিট ছিল নেইমাররাই। তবে এবারের আসরে ডার্ক হর্স ছিল ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তা। তবে শেষ মুহুর্তের গোলে শেষ হাসি হেসেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। পর্তুগালের লিসবনে বুধবার রাতে এক লেগের কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে উঠল পিএসজি। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার সেমিফাইনালে খেলেছিল তারা। আর ইতিহাস গড়া এই জয়ে তাঁদের নায়ক ২২২ মিলিয়নে কেনা, বিশ্বের সবথেকে দামী খেলোয়াড়- নেইমার জুনিয়র।

আতালান্তা ম্যাচের শুরুর দুই মিনিটের ব্যবধানে দারুণ দুটি সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করতে পারেনি তারা। দশম মিনিটে হান্স হাতেবোরের হেড লাফিয়ে ঠেকানোর পর মাত্তিয়া কালদারার হেডও অসাধারণ নৈপুন্যে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন কোস্টা রিকার গোলরক্ষক। বল দখলে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও আক্রমণ ও গোলে শট নেওয়ায় এগিয়ে ছিল আতালান্তা। সেই ধারাবাহিকতায় ২৬তম মিনিটে গোলের দেখা পায় তারা। সতীর্থের পাস প্রতিপক্ষের পা ছুঁয়ে ডি-বক্সে ফাঁকায় পান মারিও পাসালিচ। প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি উঁচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।

দুই মিনিট পর পাল্টা জবাব দিতে পারতেন নেইমার। তবে ২০ গজ দূর থেকে তার জোরালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট। বিরতির আগে ফের গোলরক্ষককে একা পান তিনি। তবে দুরূহ কোণ থেকে উড়িয়ে মেরে আবারও হতাশা উপহার দেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। প্রথমার্ধে বারবার নিজেদের ঘর অরক্ষিত করে ফেলা আতালান্তা বিরতির পর খেলার ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আনে। তারপরও, এই অর্ধে প্রথম সুযোগটি পায় তারা। তবে, কাজে লাগাতে পারেনি তারা; পাঁচ গজ দূর থেকে বেরাত জিমসিতির ভলি পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে আতালান্তা থিতিয়ে পড়ল কিছুটা। সেই সুযোগে অল আউট অ্যাটাকে আতালান্তার অর্ধেই সময় পার করছিল পিএসজি। তুখল এমবাপেকে ডেকে নামিয়ে দিলেন তখন। এমবাপে নামার পর ডিফেন্ডারদের কাজ তাই বাড়ল আরও। ৭৯ মিনিটে কেইলর নাভাসকে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো। গোলরক্ষক বদলির পরিকল্পনার তুখলের ছিল না। এক চুপো মটিংকেই নামাতে চেয়েছিলেন তিনি। অগত্যা একসঙ্গে দুই বদলি করাতে হলো তুখলকে। সেই চুপো মটিং ম্যাচ শেষে হয়ে গেলেন নায়ক।

চ্যাম্পিয়নস লিগে আগের ৩২ ম্যাচের সবগুলোতে গোল করেছে পিএসজি। তাদের আটকে রাখা সহজ নয়। মার্কিনিয়োসের গোলটা যদিও চোখের জন্য তৃপ্তিদায়ক কিছু নয়। ডায়াগোনাল বল বক্সের ভেতর বাম পাশে পেয়েছিলেন নেইমার। এরপর নিচু ক্রস করেছেন তিনি গোলের সামনে। সেই পাস আটালান্টার খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে গেল আরেক ব্রাজিলিয়ানের কাছে। মার্কিনিয়োস তখন এক টোকায় ম্যাচে ফেরালেন দলকে। ১৪৯ সেকেন্ড পর নেইমার বক্সের ঠিক বাইরে থেকে সেই একই জায়গায় বল বাড়ালেন এমবাপের উদ্দেশ্যে। আরেকবার কাটব্যাক, মার্কিনিয়োস ফাঁকায় ছিলেন। চুপো মটিংকে দৌড়ে কিছুটা জায়গা করে নিয়ে বলের শেষ মাথায় পৌঁছে স্লাইড মেরে বল ঢুকিয়ে দিলেন জালে। শেষে এসে দুইটি অপ্রত্যাশিত গোলেই কপাল খুলল তাদের।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭