ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরিসংখ্যানে বার্সা-বায়ার্ন দ্বৈরথ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/08/2020


Thumbnail

আজ রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি দুই ফেভারিট দল বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখ। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে পরিসংখ্যান, শক্তিমত্তা এবং অর্জনের দিক দিয়ে সমানে সমান উভয় দল। লিসবনের এই কোয়ার্টার ফাইনাল অবশ্য এবার ভিন্ন। করোনার কারণে এবার দুই লেগের বদলে এক ম্যাচেই নির্ধারিত হবে ম্যাচের ফলাফল। বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে এর আগে ছয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। বায়ার্নের জয় তিনটি, বার্সেলোনার দুইটি। অন্য ম্যাচটি ড্র। তবে দুই লেগ মিলিয়ে নকআউট পর্ব পেরোনোর হিসেবে বার্সেলোনা দুইবার এবং বায়ার্ন একবার সফল। এবার যেহেতু এক লেগে নির্ধারিত হবে বিজয়ী, তাই এসব পরিসংখ্যান একটু হলেও গুরুত্ব হারিয়েছে। তবুও হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিল তাঁদের পূর্বের সাক্ষাতগুলো।

২০০৮-০৯ কোয়ার্টার-ফাইনাল: জয়ী বার্সেলোনা

বার্সেলোনার মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৮ এপ্রিল। নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধের নবম মিনিটে লিওনেল মেসি দলকে এগিয়ে নেওয়ার তিন মিনিট পর সামুয়েল এতোর গোলে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। এরপর ৩৮তম মিনিটে মেসি আবারও গোল করলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বায়ার্ন মিউনিখ। ৪৩তম মিনিটে থিয়েরি অঁরির লক্ষ্যভেদে স্কোরলাইন ৪-০ করে নেওয়া বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত জিতেছিল ওই ব্যবধান ধরে রেখে। এরপর ১৪ এপ্রিল আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার ফিরতি লেগে সেসময়ের পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে আটকাতে পারেনি বায়ার্ন। ৪-০ ঘাটতি পোষাতে রেকর্ড গড়তে হতো বুন্ডেসলিগার দলটিকে। ফ্রাঙ্ক রিবেরি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান সেইডু কেইটা। ১-১ ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ। ৫-১ এগ্রিগ্রেটে সেমি-ফাইনালে ওঠা বার্সেলোনা ওই মৌসুম চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ট্রেবল জিতেছিল।

২০১২-১৩ সেমি-ফাইনাল: জয়ী বায়ার্ন

তিতো ভিলানোভার বার্সেলোনাকে সেবার দুই লেগেই দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছিল বায়ার্ন। ২৩ এপ্রিলে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম লেগে ৪-০ গোলে জিতেছিল জার্মানির দলটি। মুলার করেছিলেন জোড়া গোল। পহেলা মে’র ফিরতি লেগে কাম্প ন্যুতে চোটের কারণে খেলতে পারেননি মেসি। জমজমাট লড়াইয়ের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষের পর দ্বিতীয়ার্ধেও বার্সেলোনার ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেনি কেউ। উল্টো রবেন বায়ার্নকে এগিয়ে নেওয়ার পর বার্সেলোনার জেরার্দ পিকে করেন আত্মঘাতী গোল। এরপর মুলারের লক্ষ্যভেদে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-০ গোলের এগ্রিগ্রেটে সেমিফাইনাল পেরোয় বুন্ডেসলিগার দলটি। ১৯৬৪ সালের পর সেমি-ফাইনালে এটাই দুই লেগ মিলিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। সেবার ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বায়ার্ন।

২০১৪-১৫ সেমি-ফাইনাল: জয়ী বার্সেলোনা

কাম্প ন্যুতে ৬ মে’র প্রথম লেগের শেষ ভাগে মেসি হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। বার্সেলোনাও উপহার দিয়েছিল স্মরণীয় রাত। ৭৭ থেকে ৮০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করেন মেসি। ৯৪তম মিনিটে নেইমার ঠুকে দেন শেষ পেরেক। কাতালুনিয়ার দলটি জিতে ৩-০ গোলে। সেসময় বায়ার্নের ডাগআউটে ছিলেন বার্সেলোনাকে মুঠোভরে সাফল্য এনে দেওয়া কোচ গুয়ার্দিওলা। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার ফিরতি লেগে গুয়ার্দিওলার বায়ার্নের শুরুটা ছিল দারুণ। সপ্তম মিনিটে বেনাতিয়ার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু ১৫ ও ২৯ মিনিটে নেইমারের জোড়া গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পরে রবের্ত লেভানদোভস্কি ও মুলারের গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে পিছিয়ে ছিটকে যায়। সেবার ফাইনালে ইউভেন্তুসকে হারিয়ে শিরোপায় চুমু এঁকেছিল লুইস এনরিকের বার্সেলোনা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭