ইনসাইড গ্রাউন্ড

চট্টগ্রাম আর ওল্ড ট্রাফোর্ড যেখানে মিলেমিশে একাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/08/2020


Thumbnail

হওয়ার কথা ছিল রেলের টিকেট কালেক্টর, হয়ে গেলেন ভারতের ট্রফি কালেক্টর। থামলেন ইতিহাসের সর্বকালের সফলতম অধিনায়ক হয়ে। যাকে ভাগ্য দেবতা দুই হাতে দিয়েছেন, ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনিও তা দুই হাতে দুই দস্তানা পরে সমানে কাজে লাগিয়েছেন। সাদা পোশাকে বিদায়টা বলে দিয়েছেন বছর পাঁচেক আগে, করোনার কারণে নিজের ইচ্ছাকে দূরে ঠেলে এবার রঙ্গীন পোশাকের ক্রিকেটকেও বিদায় জানালেন। তবে তাঁর শুরু আর শেষটা একই সুতোতে গেঁথে রইলো। একটা বৃত্তের মতো। যেখানে চট্টগ্রাম আর ওল্ড ট্রাফোর্ড মিলেমিশে একাকার।

মহেন্দ্র সিং ধোনির এই বৃত্তের শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রামে, ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে; টাইগারদের বিপক্ষে। সমাপ্তি সুদূর বিলেতে, ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর এই সময় দুটোকে জুড়ে দিয়েছে রান আউট। হ্যাঁ। অভিষেকের মতো বিদায়ী ম্যাচেও রান আউট হয়েছেন ক্যাপ্টেন ক্যুল খ্যাত এমএস ধোনি।

২০০৪ সালে ২ টেস্ট আর ৩ ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশে আসে ভারত দল। সেই সফরে অভিষেক ঘটে ঝাঁকড়া চুলের এক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে হওয়া প্রথম ওয়ানডেটা দুঃস্বপ্নের মতো ঘটে ধোনির কাছে। ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১ বল খেলে শূন্য রানে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ধোনি। কে জানতো এই ধোনিই একটা সময় ভারতকে সব জেতাবে। ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রপি জেতাবে! হয়তো খোদ ধোনিও ভাবেননি।

২২ গজকে বিদায় জানানোর শেষ ম্যাচেও সেই একইভাবে রান আউটের ফাঁদে পড়েন। তবে এবারের রান আউটটা ভারতকে ভুগিয়েছে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ফেভারিট হয়েও ভারতকে বাদ পড়তে হয় সেমিফাইনালে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে রান তাড়া করতে থাকা ভারতের শেষ আশার স্থল ধোনি প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৫০ রানে, সেই রান আউটেই। যেন ক্যারিয়ারের শেষ আর শুরুটাকে একই সুতোয় বেঁধে দিলেন ভাগ্য দেবতা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭