ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসার অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/09/2020


Thumbnail

কিছুটা নমনীয় হলো ভারত। ভারতের বিভিন্ন স্থলবন্দরে অপেক্ষমান পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দিলো সেদেশের শুল্ক বিভাগ। আজ সন্ধ্যায় তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ অপেক্ষমান পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি না করতে পারলে বন্দরেই নষ্ট হবে বলে ধারণা করছে ব্যবসায়ীরা। 

গত বছরের মতো এবারও একই সময়ে সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত। সোমবার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। কাঁটা টুকরা ও গুঁড়া ছাড়া সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে তাদের এক নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে।  

এই ঘোষণার পর সীমান্তে বাংলাদেশ অভিমুখী পেঁয়াজের ট্রাক আটকে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, প্রতি মেট্রিক টন ২৫০ ডলারের এলসির এই পেঁয়াজ এখন বর্ধিত মূল্য ৭৫০ ডলারে এলসি করলেই সেগুলো ছাড়া হবে।  

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত বছর এই সেপ্টেম্বরেই প্রথমে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি এবং পরে রপ্তানি বন্ধ করেছিল ভারত। এরপর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম, ৫০-৬০ টাকা কেজি দামের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৫০-৩০০ টাকায়।

পরে মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার। নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর গত মার্চে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত।

ভারত ২০২০-২১ অর্থবছরের এপ্রিল-জুনে ২৯ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে, যেখানে গেল অর্থবছরের পুরো সময়ে রপ্তানি করেছে ৪৪ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কয়েকটি দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে।

ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণার পর স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা যায়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭