ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বাদশাই নামদার’ এর গল্পকেও হার মানিয়েছে ‘সম্রাট’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/09/2020


Thumbnail

 

রাজা-বাদশার যুগ শেষ হয়ে গেলেও নামে বাদশা বা সম্রাটের যেন শেষ নেই। কিন্তু  যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট। এই সম্রাট যেন শুধু নামেই সম্রাট নয়, কাজেও একেবারে পাক্কা সম্রাট। অবশ্য নাম থেকেই এতো এতো আকাম কিনা- তা জানা যায় না। তবে যেটুকু জানা যায় তাহলো, যুবলীগের বহিষ্কৃত এই নেতা হুন্ডির মাধ্যমে ২২৭ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন। আরও মজার বিষয় হল, এই টাকায় উনি বাড়ি-গাড়ি করেননি। ক্যারিবিয়ান কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার কোন দেশে গিয়ে ‘ব্যক্তিগত দ্বীপ’ও কিনেননি।

ভাবতেই পারেন তাহলে এতো টাকা সম্রাট করল কি? নিল-ইবা কেমনে, আর খরচ-ইবা করল কি করে। যারা এখনো এসব নিয়ে পরে আছেন তারা যে, নবাবী কায়দা-কানুন জানেন না- তা খুব সহজেই বুঝা যায়। ‘বাদশাই নামদার’ বইয়েও মোঘল সম্রাটদের এই রকম বিলাসিতার গল্প পাওয়া যাবে, বলে আমার মনে হয় না। অবশ্য কোথায় দিল্লীর সম্রাট, আর কোথায় আজকের ঢাকা ও তার সম্রাট। অনলাইনে প্রতীকী মুদ্রায় লুডু কম বেশি সবাই খেলে। প্রতীকী এই মুদ্রা ‘খোয়া’ গেলে বা হেরে মুদ্রা দেওয়া লাগলে মনও কম খারাপ হয় না।

কিন্তু আমাদের সম্রাট পাচার করা টাকার বড় অংশের অর্থই তিনি ওই সকল দেশের জুয়ার আসর ‘মেরিনা বে-স্যান্ডস’ ক্যাসিনোতে খরচ করেছেন। আর এই রকমটাই পাওয়া গেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে। ঢাকার সম্রাট যে, কতটা বিলাসী ছিলেন তা তো এখন খুব সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু দুঃখ শুধু একটাই, সম্রাটদের এই বিলাসী জীবনযাপনকে খারাপ চোখে দেখে রাষ্ট্র। বাংলাদেশের একটা শিশু যেখানে জন্ম নেয় মাথাপিছু ঋণ নিয়ে, সেখানে সম্রাটরা শত শত কোটি টাকা উড়িয়ে দেন ক্যাসিনোতে গিয়ে। হায়রে! ‘বাদশাই নামদার’। হায়রে! ঢাকার ‘সম্রাট’।

 
 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭