প্রকাশ: 26/09/2020
বর্তমান সময়ে প্রায় সবাই কম বেশি প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি বিজ্ঞানের একটি অংশ। বিজ্ঞানের ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি নেতিবাচক দিকও রয়েছে। করোনা সংক্রমনের এই সময়ে সেই নেতিবাচকতা প্রভাবিত হয়েছে সোমার জীবনে। পড়ালেখা থেকে বিরতি পেয়ে সে যেন অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। মোবাইলে বিভিন্ন রকমের গেম, সামাজিক সাইটগুলো তাকে খুবই আসক্ত করে ফেলেছে। তার মেধা, শারীরিক বিকাশ, সব যেন থমকে গিয়েছে।।এছাড়াও তার মাথা ব্যাথা, চোখ ব্যাথা ইত্যাদির লক্ষন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে তার অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সোমা দিনরাত শুধু মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আমরা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত। লকডাউনে যেন আমাদের হাত বেধে রেখেছে। অপরদিকে সোমার বান্ধবী সীমা এই সময়কে অনেক ভালোভাবে ব্যবহার করেছে। সে তার মা বাবার সাথে সময় কাটাচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের গৃহসামগ্রী বানাচ্ছে। বাগান পরিচর্যা করছে। তার বিষয়ে যখন তার মা বাবার থেকে জানতে চেষ্টা করা হয়, তখন তারা বলেন, "লকডাউন শিশুদের জন্য খুবই দীর্ঘ বিরতি। কিন্তু এই বিরতিতে আমরা সীমার জন্য ইতিবাচকতা কিছু সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছি। তার সাথে আমরা সঠিকভাবে সময় কাটাচ্ছি, লুডু,ক্যারাম সহ অনেক ধরণের ইনডোর গেম খেলার চেষ্টা করেছি। যেন প্রযুক্তির ছোয়া তার মানসিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে। আমরা এটাও জানি মোবাইলের মত ইলেকট্রনিক জিনিস ব্যবহার করার কারণে শিশুরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মনোবিজ্ঞানী সুনিতী সেন কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "লকডাউনে শিশুদের জন্য খুবই সুবর্ণ সময়। মানসিক বিকাশ উভয় নির্ভর করে তার পরিবারের উপর। বিশেষ করে মা বাবার উপর। এ সময়টাতে বাবা মায়ের উচিত মোবাইল এবং টেলিভিশনের মত ইলেকট্রনিক জিনিস থেকে তাদের দূরে রাখা এবং তাদের সাথে সময় কাটানো। এতে শিশুরা মানসিক এবং মানসিক শারীরিকভাবে ভালো থাকবে।
নাম: অবন্তি রায়।
বয়স :১৬
কলেজ: সরকারী কমার্স কলেজ।।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭